Ajker Patrika

আজব হলেও গুজব নয়

সম্পাদকীয়
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ০৩
আজব হলেও গুজব নয়

বলেই মনে হতে পারে। তবে আজব মনে হলেও এমন ঘটনা একেবারেই গুজব বা বানানো কথা নয়। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, ওয়াসা বোর্ডকে পাশ কাটিয়ে চট্টগ্রাম নগরের পয়োনিষ্কাশনের প্রথম পর্যায়ের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কোরীয় একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ওই প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে আরও কিছু অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে অনুমোদিত প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকা বেশি।

হাজার বা লাখ টাকার বিষয় নয়, একেবারে ২০০ কোটি টাকা বেশি! কি বলা হবে একে!—পুকুরচুরি, নদীচুরি, নাকি সাগরচুরি?

চট্টগ্রাম নগরের পয়োনিষ্কাশনের প্রথম পর্যায়ের প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজটি পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক নির্মাণপ্রতিষ্ঠান তাইইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে অর্ধ যুগ ধরে জড়িত।

ওই প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যাদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদনের বিষয়ে বোর্ডকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে। প্রকল্পটির অনুমোদিত দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় ২ হাজার ৪৩৭ দশমিক ৯২ কোটি টাকা হলেও কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৬২৭ দশমিক ৯৪ কোটি টাকায়। আরও অভিযোগ উঠেছে, তাইইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড যেন কাজটি পায়, তা নিশ্চিতে দরপত্রে কঠিন সব শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় কয়েকজন মন্ত্রী এভাবে কার্যাদেশ দেওয়া নিয়ে আপত্তি তুলে পুনরায় দরপত্র আহ্বানের কথা বললেও শেষ পর্যন্ত অনুমোদন পায় প্রস্তাবটি।

এই কোরিয়ান নির্মাণপ্রতিষ্ঠানটি এর আগেও চট্টগ্রাম ওয়াসার একাধিক প্রকল্পে ব্যয় বাড়িয়েছে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদও কয়েক বছর বাড়ানোর অভিযোগ আছে। এ ছাড়া বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই প্রকল্পের বিভিন্ন ধাপে একাধিক উপঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে এই কোরীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি বিতর্কিত হয়েছে। এত সব সত্ত্বেও একই প্রতিষ্ঠানকে নতুন একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়োনিষ্কাশন প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব কেন দেওয়া হচ্ছে, কে বা কারা এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন, তা খুঁজে দেখা দরকার।

কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানটিকে কাজ দিতে দরপত্র আহ্বান থেকে দরপত্র মূল্যায়ন নিষ্পন্ন করা পর্যন্ত বিভিন্ন অস্বচ্ছতার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। সরকারের বাড়তি টাকা অপচয়ের এ প্রচেষ্টা বন্ধ করা উচিত বলে বোর্ড সদস্যরাও মনে করেন।

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক উত্থাপিত সব অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও জনগণের টাকা অপচয়ের যেকোনো অপচেষ্টা রোধ করা দরকার। কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ পূরণের কাজ কেন ‘উপর মহলের’ নজর এড়ায়, সেটা বোধগম্য নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত