মো. শফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আর উঁচু দেহের কারণে প্রথম দেখায় মনে হতে পারে এই বুঝি তেড়ে আসছে কোনো উটপাখির বাচ্চা। কিন্তু মুহূর্তেই ভুল ভেঙে যাবে গলার স্বরে। এ তো দেখি মোরগ! তবে পা ও গলা অন্য সব মোরগ-মুরগির চেয়ে অনেক বেশি লম্বা। তোড়জোড় দেখে মনে হবে অত্যন্ত জেদি স্বভাবের এটি।
মোগল শাসনামল থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পাওয়া যাচ্ছে ‘হাসলি’ বা ‘আঁচিল’ নামের এ মোরগ। জেদি স্বভাবের কারণে এটি ‘যুদ্ধবাজ মোরগ’ নামেও বেশ পরিচিত। মোরগ লড়াইয়ের জন্যই শৌখিন ব্যক্তিরা এই মোরগ লালনপালন করেন। তবে আরেকটি ক্ষেত্রে এ মোরগ আলাদা জায়গা দখল করে আছে। একেকটি মোরগের দাম ৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। শৌখিনতার পাশাপাশি কেউ কেউ তাই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেও পালন করছেন হাসলি মোরগ।
জনশ্রুতি আছে, ষোড়শ শতকে ইরান থেকে প্রথম সরাইলে হাসলি মোরগ নিয়ে আসেন সরাইল পরগনার জমিদার দেওয়ান মনোয়ার আলী। তখন থেকেই এ অঞ্চলে মোরগের লড়াই হয়ে আসছে। প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিলে লড়াই বেশি জমে। ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাসলি মোরগের দল নিয়ে আসা হয়। আবার সরাইলের মোরগগুলোও দেশের বিভিন্ন স্থানে লড়াইয়ের জন্য ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া হয়। এক দলে ১০-১৫টি মোরগ থাকে। তবে মূল দলে থাকে ৮টি। একেকটি মোরগকে ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করতে হয়।
যে মোরগ লড়াইয়ে যত অভিজ্ঞ, সেটির দামও তত বেশি। একটি হাসলি মোরগের উচ্চতা ২৮-৩২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। দেড় বছর বয়স থেকে লড়াই শুরুর পর সর্বোচ্চ চার বছর পর্যন্ত লড়াইয়ের সক্ষমতা থাকে একটি মোরগের। এরপর সেগুলো প্রজননের কাজে ব্যবহার করা হয়। এদের দৈনন্দিন খাবার তালিকায় থাকে ধান, গম, ভুট্টাসহ অন্যান্য স্বাভাবিক খাবার। তবে লড়াইয়ের কয়েক মাস আগে থেকে কবুতরের মাংস, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, কিশমিশ, সিদ্ধ ডিমসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হয়।
সরাইলে এখন শৌখিন মোরগ পালনকারীর সংখ্যাই বেশি। তবে ২০-২৫টি পরিবার আছে, যারা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেও হাসলি মোরগ পালন করছে। বছরে ৫-৭টি মোরগ বিক্রি করতে পারে একেকটি পরিবার। মূলত মোরগের বয়স, শারীরিক অবস্থা, দেহের আকার এবং লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী দাম ৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক মৃদুল আজকের পত্রিকাকে জানান, হাসলি মোরগের জিনোম সিকোয়েন্স সংরক্ষণে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানটির প্রাণিবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই জাত বাংলাদেশের কোথাও পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি পৃথিবীর কোনো দেশ এখন পর্যন্ত তাদের নিজস্ব জাত হিসেবেও দাবি করেনি। হাসলি মোরগ বাংলাদেশের মূল জাত হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতির দাবি আদায়ে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা।
তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আর উঁচু দেহের কারণে প্রথম দেখায় মনে হতে পারে এই বুঝি তেড়ে আসছে কোনো উটপাখির বাচ্চা। কিন্তু মুহূর্তেই ভুল ভেঙে যাবে গলার স্বরে। এ তো দেখি মোরগ! তবে পা ও গলা অন্য সব মোরগ-মুরগির চেয়ে অনেক বেশি লম্বা। তোড়জোড় দেখে মনে হবে অত্যন্ত জেদি স্বভাবের এটি।
মোগল শাসনামল থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পাওয়া যাচ্ছে ‘হাসলি’ বা ‘আঁচিল’ নামের এ মোরগ। জেদি স্বভাবের কারণে এটি ‘যুদ্ধবাজ মোরগ’ নামেও বেশ পরিচিত। মোরগ লড়াইয়ের জন্যই শৌখিন ব্যক্তিরা এই মোরগ লালনপালন করেন। তবে আরেকটি ক্ষেত্রে এ মোরগ আলাদা জায়গা দখল করে আছে। একেকটি মোরগের দাম ৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। শৌখিনতার পাশাপাশি কেউ কেউ তাই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেও পালন করছেন হাসলি মোরগ।
জনশ্রুতি আছে, ষোড়শ শতকে ইরান থেকে প্রথম সরাইলে হাসলি মোরগ নিয়ে আসেন সরাইল পরগনার জমিদার দেওয়ান মনোয়ার আলী। তখন থেকেই এ অঞ্চলে মোরগের লড়াই হয়ে আসছে। প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিলে লড়াই বেশি জমে। ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাসলি মোরগের দল নিয়ে আসা হয়। আবার সরাইলের মোরগগুলোও দেশের বিভিন্ন স্থানে লড়াইয়ের জন্য ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া হয়। এক দলে ১০-১৫টি মোরগ থাকে। তবে মূল দলে থাকে ৮টি। একেকটি মোরগকে ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করতে হয়।
যে মোরগ লড়াইয়ে যত অভিজ্ঞ, সেটির দামও তত বেশি। একটি হাসলি মোরগের উচ্চতা ২৮-৩২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। দেড় বছর বয়স থেকে লড়াই শুরুর পর সর্বোচ্চ চার বছর পর্যন্ত লড়াইয়ের সক্ষমতা থাকে একটি মোরগের। এরপর সেগুলো প্রজননের কাজে ব্যবহার করা হয়। এদের দৈনন্দিন খাবার তালিকায় থাকে ধান, গম, ভুট্টাসহ অন্যান্য স্বাভাবিক খাবার। তবে লড়াইয়ের কয়েক মাস আগে থেকে কবুতরের মাংস, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, কিশমিশ, সিদ্ধ ডিমসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হয়।
সরাইলে এখন শৌখিন মোরগ পালনকারীর সংখ্যাই বেশি। তবে ২০-২৫টি পরিবার আছে, যারা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেও হাসলি মোরগ পালন করছে। বছরে ৫-৭টি মোরগ বিক্রি করতে পারে একেকটি পরিবার। মূলত মোরগের বয়স, শারীরিক অবস্থা, দেহের আকার এবং লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী দাম ৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক মৃদুল আজকের পত্রিকাকে জানান, হাসলি মোরগের জিনোম সিকোয়েন্স সংরক্ষণে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানটির প্রাণিবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই জাত বাংলাদেশের কোথাও পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি পৃথিবীর কোনো দেশ এখন পর্যন্ত তাদের নিজস্ব জাত হিসেবেও দাবি করেনি। হাসলি মোরগ বাংলাদেশের মূল জাত হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতির দাবি আদায়ে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫