আজকের পত্রিকা ডেস্ক
সময়ের সঙ্গে প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা নীতিতে বিভিন্ন ধরনের মৌলিক পরিবর্তন এনেছে বিশ্বের শক্তিধর অনেক দেশ। বিশেষ করে ২০২১ সালে এই পরিবর্তন ছিল চোখে পড়ার মতো। যেমন পুরোনো প্রযুক্তির যুদ্ধাস্ত্র ও সৈন্য সংখ্যার পেছনে ব্যয় কমিয়ে প্রতিরক্ষা খাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং সাইবার প্রযুক্তিতে বাজেট বাড়িয়েছে যুক্তরাজ্য।
এ সবই এমন এক সময়ে ঘটছে যখন রুশ বাহিনী ইউক্রেন সীমান্তে জড়ো হয়েছে এবং ন্যাটোকে ওই অঞ্চলে সামরিক তৎপরতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে মস্কো। এদিকে তাইওয়ান পুনর্দখলে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন। এ ছাড়া ইথিওপিয়ায় গৃহযুদ্ধ, ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংঘাত, সিরিয়ায় বিদ্রোহ এবং আফ্রিকার কিছু অংশে তাণ্ডব চালাচ্ছে আইএস। অর্থাৎ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলেই দ্বন্দ্ব-সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে আগামীতে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর যুদ্ধের কৌশল কেমন হতে যাচ্ছে কিংবা ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কীভাবে নিজেদের প্রস্তুত করছে পশ্চিমা শক্তিগুলো, সেই প্রশ্ন মুখ্য হয়ে উঠেছে। যার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
‘ভবিষ্যৎ যুদ্ধের’ কৌশল দৃশ্যমান
বলা যায়, ‘ভবিষ্যৎ যুদ্ধের’ অনেক কৌশল আমরা এরই মধ্যে দেখতে শুরু করেছি। পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়া বা চীনের মধ্যকার সংঘাতে কী ধরনের প্রযুক্তি ও কৌশল ব্যবহার হতে পারে, মহড়ার মধ্য দিয়ে তা ইতিমধ্যেই আমাদের সামনে দৃশ্যমান।
গত বছরের ১৬ নভেম্বর মহাকাশে একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে নিজেদেরই একটি উপগ্রহ ধ্বংস করেছে রাশিয়া। গত গ্রীষ্মে চীন পরীক্ষা চালিয়েছে উন্নত হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের, যা শব্দের গতির চেয়েও দ্রুত ছুটতে সক্ষম। এ ছাড়া বিভিন্ন উদ্দেশ্যে আক্রমণাত্মক সাইবার হামলা এখন দৈনন্দিন ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা পরিচিত হয়ে উঠেছে পরোক্ষ যুদ্ধ হিসেবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন এবং ওবামার শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল নির্ধারণে পেন্টাগনের নীতিবিষয়ক প্রধানের পদে কাজ করা মিশেল ফ্লোরনয়ের মতে, বিগত দুই দশক ধরে পশ্চিমাদের মনোযোগ ছিল মধ্যপ্রাচ্যে। আর সেই সুযোগে সামরিক দিক দিয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছে তাদের প্রতিপক্ষ দেশগুলো।
মিশেল বলেন, ‘আমরা সত্যিকার অর্থেই একটি কৌশলগত পরিবর্তনের মুখে রয়েছি। কারণ, আমরা অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং আমাদের মিত্ররা দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সন্ত্রাসবাদ ও বিদ্রোহ দমনে মনোযোগ দেওয়ায় অন্যান্য ক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছি এবং এখন বিশাল প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছি।’
এ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি ‘কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী’ হিসেবে রাশিয়া ও চীনের নাম উচ্চারণ করে মিশেল বলেন, ‘আমরা যখন মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, এই দেশগুলো তখন যুদ্ধের পশ্চিমা পদ্ধতি রপ্ত করেছে এবং তারা নতুন নতুন প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্যাপক মাত্রায় বিনিয়োগ শুরু করেছে।’
কিন্তু ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমা এবং রাশিয়ার মধ্যকার বর্তমান উত্তেজনা অথবা তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বৈরিতা যুদ্ধের রূপ নিলে কী হবে? কেমন হবে সেই যুদ্ধের ধরন? এ বিষয়ে সিনিয়র গবেষক মেইয়া নউয়েন্স বলেন, এ ধরনের লড়াইয়ে প্রথমেই দুই পক্ষের মধ্যে সাইবার হামলা শুরু হয়ে যাবে। উভয়ই একে অন্যের যোগাযোগব্যবস্থা যেমন স্যাটেলাইট ব্যবস্থাকে ‘অকেজো’ করে দেওয়া অথবা তথ্যপ্রবাহে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করবে।
বড় ঝুঁকি কী হতে পারে
‘ভবিষ্যৎ যুদ্ধের’ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সামরিক ঝুঁকির জায়গা হলো অপরিকল্পিত হামলা। কারণ, উপগ্রহব্যবস্থা অচল হয়ে পড়লে বা তথ্যপ্রবাহ বিঘ্নিত হলে বাস্তব পরিস্থিতি অনুমান করতে গিয়ে সমস্যায় পড়বে সেনারা। কঠিন হয়ে দাঁড়াবে লড়াইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়াও। ফলে পিছিয়ে আসা অথবা হামলা জোরদার করার মধ্যে একটি পথই বেছে নিতে হবে তাঁদের, যা আত্মঘাতী হয়েও দাঁড়াতে পারে। অর্থাৎ ভবিষ্যতের যুদ্ধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই যে বড় প্রভাবকের ভূমিকা পালন করবে, সেটি পরিষ্কার।
প্রতিরক্ষা প্রতিযোগিতায় রাশিয়া ও চীনের তুলনায় একটি ক্ষেত্রেই অনেক বেশি পিছিয়ে আছে পশ্চিমারা, তা হলো হাইপারসনিক মিসাইল, যা শব্দের গতির চেয়ে ৫-২৭ গুণ বেশি গতিতে বিশ্বের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম।
সময়ের সঙ্গে প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা নীতিতে বিভিন্ন ধরনের মৌলিক পরিবর্তন এনেছে বিশ্বের শক্তিধর অনেক দেশ। বিশেষ করে ২০২১ সালে এই পরিবর্তন ছিল চোখে পড়ার মতো। যেমন পুরোনো প্রযুক্তির যুদ্ধাস্ত্র ও সৈন্য সংখ্যার পেছনে ব্যয় কমিয়ে প্রতিরক্ষা খাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং সাইবার প্রযুক্তিতে বাজেট বাড়িয়েছে যুক্তরাজ্য।
এ সবই এমন এক সময়ে ঘটছে যখন রুশ বাহিনী ইউক্রেন সীমান্তে জড়ো হয়েছে এবং ন্যাটোকে ওই অঞ্চলে সামরিক তৎপরতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে মস্কো। এদিকে তাইওয়ান পুনর্দখলে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন। এ ছাড়া ইথিওপিয়ায় গৃহযুদ্ধ, ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংঘাত, সিরিয়ায় বিদ্রোহ এবং আফ্রিকার কিছু অংশে তাণ্ডব চালাচ্ছে আইএস। অর্থাৎ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলেই দ্বন্দ্ব-সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে আগামীতে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর যুদ্ধের কৌশল কেমন হতে যাচ্ছে কিংবা ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কীভাবে নিজেদের প্রস্তুত করছে পশ্চিমা শক্তিগুলো, সেই প্রশ্ন মুখ্য হয়ে উঠেছে। যার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
‘ভবিষ্যৎ যুদ্ধের’ কৌশল দৃশ্যমান
বলা যায়, ‘ভবিষ্যৎ যুদ্ধের’ অনেক কৌশল আমরা এরই মধ্যে দেখতে শুরু করেছি। পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়া বা চীনের মধ্যকার সংঘাতে কী ধরনের প্রযুক্তি ও কৌশল ব্যবহার হতে পারে, মহড়ার মধ্য দিয়ে তা ইতিমধ্যেই আমাদের সামনে দৃশ্যমান।
গত বছরের ১৬ নভেম্বর মহাকাশে একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে নিজেদেরই একটি উপগ্রহ ধ্বংস করেছে রাশিয়া। গত গ্রীষ্মে চীন পরীক্ষা চালিয়েছে উন্নত হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের, যা শব্দের গতির চেয়েও দ্রুত ছুটতে সক্ষম। এ ছাড়া বিভিন্ন উদ্দেশ্যে আক্রমণাত্মক সাইবার হামলা এখন দৈনন্দিন ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা পরিচিত হয়ে উঠেছে পরোক্ষ যুদ্ধ হিসেবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন এবং ওবামার শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল নির্ধারণে পেন্টাগনের নীতিবিষয়ক প্রধানের পদে কাজ করা মিশেল ফ্লোরনয়ের মতে, বিগত দুই দশক ধরে পশ্চিমাদের মনোযোগ ছিল মধ্যপ্রাচ্যে। আর সেই সুযোগে সামরিক দিক দিয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছে তাদের প্রতিপক্ষ দেশগুলো।
মিশেল বলেন, ‘আমরা সত্যিকার অর্থেই একটি কৌশলগত পরিবর্তনের মুখে রয়েছি। কারণ, আমরা অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং আমাদের মিত্ররা দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সন্ত্রাসবাদ ও বিদ্রোহ দমনে মনোযোগ দেওয়ায় অন্যান্য ক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছি এবং এখন বিশাল প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছি।’
এ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি ‘কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী’ হিসেবে রাশিয়া ও চীনের নাম উচ্চারণ করে মিশেল বলেন, ‘আমরা যখন মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, এই দেশগুলো তখন যুদ্ধের পশ্চিমা পদ্ধতি রপ্ত করেছে এবং তারা নতুন নতুন প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্যাপক মাত্রায় বিনিয়োগ শুরু করেছে।’
কিন্তু ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমা এবং রাশিয়ার মধ্যকার বর্তমান উত্তেজনা অথবা তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বৈরিতা যুদ্ধের রূপ নিলে কী হবে? কেমন হবে সেই যুদ্ধের ধরন? এ বিষয়ে সিনিয়র গবেষক মেইয়া নউয়েন্স বলেন, এ ধরনের লড়াইয়ে প্রথমেই দুই পক্ষের মধ্যে সাইবার হামলা শুরু হয়ে যাবে। উভয়ই একে অন্যের যোগাযোগব্যবস্থা যেমন স্যাটেলাইট ব্যবস্থাকে ‘অকেজো’ করে দেওয়া অথবা তথ্যপ্রবাহে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করবে।
বড় ঝুঁকি কী হতে পারে
‘ভবিষ্যৎ যুদ্ধের’ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সামরিক ঝুঁকির জায়গা হলো অপরিকল্পিত হামলা। কারণ, উপগ্রহব্যবস্থা অচল হয়ে পড়লে বা তথ্যপ্রবাহ বিঘ্নিত হলে বাস্তব পরিস্থিতি অনুমান করতে গিয়ে সমস্যায় পড়বে সেনারা। কঠিন হয়ে দাঁড়াবে লড়াইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়াও। ফলে পিছিয়ে আসা অথবা হামলা জোরদার করার মধ্যে একটি পথই বেছে নিতে হবে তাঁদের, যা আত্মঘাতী হয়েও দাঁড়াতে পারে। অর্থাৎ ভবিষ্যতের যুদ্ধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই যে বড় প্রভাবকের ভূমিকা পালন করবে, সেটি পরিষ্কার।
প্রতিরক্ষা প্রতিযোগিতায় রাশিয়া ও চীনের তুলনায় একটি ক্ষেত্রেই অনেক বেশি পিছিয়ে আছে পশ্চিমারা, তা হলো হাইপারসনিক মিসাইল, যা শব্দের গতির চেয়ে ৫-২৭ গুণ বেশি গতিতে বিশ্বের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৫ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫