শরিফুল হাসান

৪৩তম বিসিএসে আবেদন করেছিলেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০ জন প্রার্থী। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো এই বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে পারেনি সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। খুব শিগগিরই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হবে—এমন কথা বলা হচ্ছে। তবে এই বিসিএসে প্রথমবারের ক্যাডার পদের সঙ্গেই নন-ক্যাডার পদেরও ফলাফল প্রকাশ করা হবে—এমন তথ্যে আন্দোলনে নেমেছেন প্রার্থীরা। এমনটা হলে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ অধিকাংশ প্রার্থীকে শূন্য হাতে ফিরতে হবে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
১ হাজার ৮১৪ জন ক্যাডার কর্মকর্তা নেওয়ার জন্য ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি।২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ২২৯ জন। ২০২২ সালের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষা হয়। এই ফল প্রকাশ করতে এক বছরের বেশি সময় নেয় পিএসসি। চলতি বছরের ২০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে তাঁরা এখন চূড়ান্ত ফলের অপেক্ষায়।
এর মধ্যেই ১৪ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএসে নন-ক্যাডারের ১ হাজার ৩৪২টি শূন্য পদের কথা জানিয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন করতে বলেছে পিএসসি। এই বিজ্ঞপ্তিকে প্রহসনমূলক আখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন, পিএসসির সামনে মানববন্ধন, কাফনের কাপড় পরিধান থেকে শুরু করে নানা কর্মসূচি পালন করছেন প্রার্থীরা। তাঁরা বলছেন, এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় বলা হয়নি যে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল একসঙ্গে হবে; বরং ৩২ অনুচ্ছেদে আগের বিসিএসের মতোই নন-ক্যাডারে নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল।
প্রার্থীদের অভিযোগ, আগের বিসিএসগুলোতে বিপুলসংখ্যক প্রার্থী নন-ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছেন। সবশেষ ৪১তম বিসিএস থেকে ৪ হাজার ৫৩ এবং ৪০তম বিসিএস থেকে ৪ হাজার ৪৭৮ জনকে নন-ক্যাডারে নিয়োগের জন্য পছন্দের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। অথচ ৪৩তম বিসিএস থেকে নন-ক্যাডারে মাত্র ১ হাজার ৩৪২ পদের কথা বলা হচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ প্রার্থীদের জন্য নবম ও দশম গ্রেডের পদ আছে মাত্র ৭৫টি। বাকিগুলো বিশেষায়িত পদ। ফলে অধিকাংশই চাকরি পাবেন না।
তাঁরা বলছেন, ১ হাজার ৩৪২ পদের মধ্যে ৮৮৮টি পদই ৪১তম থেকে ফেরত আসা। যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় সেগুলো খালি ছিল। সেই হিসাবে নতুন পদ এসেছে মাত্র ৪৫৪টি। আর এবার নন-ক্যাডারে নবম শ্রেণির পদ মাত্র ১৯৬টি। এটি প্রহসন ও বৈষম্যমূলক।
আন্দোলনরতরা চারটি দাবি তুলে ধরেছেন। এগুলো হলো—ক্যাডার ও নন-ক্যাডার ফল পৃথক সময়ে প্রকাশ করা, নন-ক্যাডার থেকে অধিকসংখ্যক প্রার্থীকে সুপারিশ করা, আগের বিসিএস থেকে ইতিমধ্যে সুপারিশ করা প্রার্থীদের সমপদে ফের সুপারিশ না করা এবং ক্যাডার ও নন-ক্যাডার নিয়োগে প্যানেলের ব্যবস্থা করা।
মূলত ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্যই বিসিএস পরীক্ষা নেওয়া হয়। বিসিএস থেকে নন-ক্যাডারে নিয়োগের বিষয়টা বুঝতে হলে ১৩ বছর আগে ফিরতে হবে। তখন একটা বিসিএসে দুই থেকে আড়াই লাখ প্রার্থী আবেদন করতেন এবং ছয় থেকে সাত হাজার প্রার্থী চূড়ান্ত উত্তীর্ণ হতেন। কিন্তু পদস্বল্পতার কারণে বেশির ভাগই চাকরিবঞ্চিত হতেন। এই প্রার্থীদের প্রথম শ্রেণির অন্যান্য শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্যই ২০১০ সালে নন-ক্যাডার নিয়োগে বিশেষ বিধিমালা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
নন-ক্যাডারের এই নিয়োগ বিধিমালা করার কারণ হিসেবে ওই সময়ের চেয়ারম্যান প্রয়াত সা’দত হুসাইন বলেছিলেন, একেকটি বিসিএসে ৮ থেকে ১০ হাজার প্রার্থী উত্তীর্ণ হলেও বেশির ভাগ চাকরি পান না। অন্যদিকে রাষ্ট্রের অনেক পদ শূন্য। বিসিএস উত্তীর্ণদের মধ্য থেকেই যদি প্রথম শ্রেণির বিভিন্ন পদে সুপারিশ করা যায়, তাহলে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর মেধাবী কর্মকর্তা পাবে। বিসিএস থেকে নিয়োগ দিলে নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতিও কমবে। ২০১৪ সালে বিধিমালা সংশোধন করে প্রথম শ্রেণির সঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণির পদেও বিসিএস থেকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় পিএসসি।
পিএসসি ও চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে দীর্ঘ দুই দশকের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতায় বলতেই হবে, বিসিএস উত্তীর্ণদের থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা (বর্তমানে ৯ম থেকে ১২ গ্রেড) নিয়োগের জন্য নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালার উদ্যোগটি দারুণ ছিল। বিধিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি বিসিএসে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর প্রার্থীদের কাছ থেকে নন-ক্যাডারে আবেদন নেওয়া হতো। পরের বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগপর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে যত চাহিদা আসত, সেই অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হতো। এভাবেই নন-ক্যাডারে বিপুলসংখ্যক ছেলেমেয়ে চাকরি পেয়েছেন।
তবে ২০২২ সালে পিএসসির বর্তমান কমিশন জানায়, এখন থেকে প্রতিটা বিসিএসে ক্যাডারের পাশাপাশি নন-ক্যাডারের পদ উল্লেখ করতে হবে। একটা বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে যত চাহিদা আসবে ওই বিসিএসে ঠিক ততগুলো নন-ক্যাডারের পদই থাকবে।
৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর দেখা গেল পিএসসি ৪০, ৪১, ৪৩ ও ৪৪ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তির তারিখ অনুযায়ী শূন্য পদ আলাদা করার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যেহেতু ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দেওয়া হয়েছে, কাজেই ওই তারিখের মধ্যে যেই পদের চাহিদা শুধু সেই পদই ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডারের জন্য থাকার কথা।
৪০তম বিসিএস উত্তীর্ণ প্রার্থীরা তখন এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন শুরু করেন। তাঁদের বক্তব্য, পিএসসির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে ৪০, ৪১, ৪৩ ও ৪৪তম নন-ক্যাডার প্রার্থীদের ওপর বিপর্যয় নেমে আসবে। তবে আন্দোলনের মধ্যেই পিএসসি নন-ক্যাডার নিয়োগবিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। ফলে ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডারের নিয়োগ আটকে ছিল প্রায় এক বছর। অবশেষে ২০২৩ সালের জুন মাসে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।
নতুন বিধিমালার ৪ ধারা অনুযায়ী, এখন থেকে বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাডার পদের পাশাপাশি নন-ক্যাডার পদের সংখ্যাও উল্লেখ থাকবে। তবে বিধিমালা প্রকাশের আগে যেসব সংখ্যা উল্লেখ ছিল না, সে ক্ষেত্রে বিসিএস অনুযায়ী নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা নির্ধারণ ও পছন্দ আহ্বান করা হবে।
এই বিধিমালা অনুযায়ী কিন্তু বিসিএসের বিজ্ঞপ্তির সঙ্গেই নন-ক্যাডারের বিজ্ঞপ্তি যাওয়ার কথা। অথচ গত ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও নন-ক্যাডারের সংখ্যা বলা হয়নি। এর দায় কার?
পিএসসি বলছে, বিধিমালা অনুযায়ী, ৪৩তম বিসিএসে নন-ক্যাডারের ১ হাজার ৩৪২ পদে আবেদন চাওয়া হয়েছে। ৪৩তম বিসিএসের কয়েক শ প্রার্থীর দাবি, তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন। কারণ, প্রতিটি বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর পিএসসি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শূন্য পদের চাহিদা চেয়ে চিঠি ও পরে তাগাদা দিত। পাশাপাশি প্রার্থীরাও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে খোঁজখবর করতেন এবং চাহিদা পাঠানোর অনুরোধ করতেন। ফলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর থেকে অনেক চাহিদা যেত। এখন ক্যাডারের সঙ্গেই নন-ক্যাডারের ফল প্রকাশ করা হলে নতুন চাহিদা আসবে না। ফলে অধিকাংশই চাকরি পাবেন না।
এখানে দীর্ঘসূত্রতাও আরেকটি সমস্যা। এখন একেকটা বিসিএস শেষ করতে তিন থেকে চার বছর লেগে যাচ্ছে। সেই হিসাবে ২০২৪ সালে যদি সরকারের কোনো দপ্তর নন-ক্যাডার পদে চাহিদা পাঠায় এবং তিন-চার বছর পর ওই দপ্তর কর্মকর্তা পায়, তাহলে ভবিষ্যতে নন-ক্যাডারে নিয়োগের আগ্রহ হারাবে, যার প্রভাব পড়বে ভবিষ্যতে।
একটা বিষয় স্বীকার করতেই হবে। বিসিএস থেকে নন-ক্যাডারের নিয়োগের ফলে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে। যোগ্য ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন দপ্তরে যাচ্ছেন। কাজেই ৯ম থেকে ১২তম গ্রেড পর্যন্ত যত বেশিসংখ্যক পদ বিসিএস থেকে নিয়োগ দেওয়া যায়, ততই রাষ্ট্রের মঙ্গল। এখানে আইন বা বিধিমালা বেশি প্রার্থীর চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হওয়া উচিত নয়; বরং বেশি নিয়োগ দেওয়ার জন্য পিএসসির চেষ্টা করা উচিত। প্রতিটি বিসিএসের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। প্রয়োজনে বিসিএস উত্তীর্ণ সবাইকে চাকরি দেওয়া হোক।
এ বছরের জানুয়ারিতে সংসদে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনো সরকারের ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি পদ খালি। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির শূন্য পদ ৪৩ হাজার ৩৩৬টি। দ্বিতীয় শ্রেণিতে খালি আছে ৪০ হাজার ৫৬১টি পদ। কাজেই প্রতি বিসিএসে উত্তীর্ণ বিপুলসংখ্যক প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে পিএসসিকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে তাদের চাহিদা পাঠানো ও তাগাদা দিতে হবে। অতীতে পিএসসির চেয়ারম্যানরা কিন্তু সেটি করেছেন। পিএসসির প্রতি এক যুগে যে আস্থা তৈরি হয়েছে, সেটি ধরে রাখতে হবে।
আরেকটা কথা। যেহেতু ক্যাডার পদের জন্যই বিসিএস পরীক্ষা নেওয়া হয়, কাজেই ক্যাডারের সঙ্গে নন-ক্যাডারের ফল না দেওয়াই ভালো; বরং ক্যাডার পদের ফল প্রকাশের পর নন-ক্যাডারের আবেদন চাইলে প্রার্থীদের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ। আর কয়েক মাস সময় পেলে নতুন করে চাহিদা আনার জন্যও চেষ্টা করতে পারেন প্রার্থীরা। পিএসসিও এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।
পাশাপাশি নন-ক্যাডার নিয়োগে বেশিসংখ্যক প্রার্থীর চাকরি নিশ্চিত করতে সমপদে সুপারিশ করা বন্ধ করতে পারে পিএসসি। প্যানেলের ব্যবস্থাটাও ভালো। প্যানেল করে নিয়োগ দিলে পদ আর শূন্য থাকবে না। আসলে চার বছরের অপেক্ষার পর কেউ যেন শূন্য হাতে না ফেরেন।
আরেকটা বিষয়। বিসিএসের নিয়োগের দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে আনা খুব জরুরি। একটা বিসিএসের ফল প্রকাশ ও নিয়োগে এখন চার বছর লেগে যাচ্ছে। চার বছরে পৃথিবীর বহু দেশে এক সরকার ক্ষমতা শেষ করে আরেক মেয়াদ আসে। চার বছরে পৃথিবীর বহু দেশ তো বটেই, এমনকি বাংলাদেশেও যেকোনো বিষয়ে স্নাতক শেষ করা যায়। কিন্তু চার বছরেও একটা বিসিএসের নিয়োগ-প্রক্রিয়া শেষ হয় না বাংলাদেশে! ফলে একটা চাকরির আশায় তারুণ্যের চার-পাঁচ বছর সময় চলে যাচ্ছে জীবন থেকে। নিয়োগে স্বচ্ছতার পাশাপাশি বিসিএসের এই দীর্ঘসূত্রতা কমাতেই হবে।
লেখক: কলামিস্ট

৪৩তম বিসিএসে আবেদন করেছিলেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০ জন প্রার্থী। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো এই বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে পারেনি সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। খুব শিগগিরই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হবে—এমন কথা বলা হচ্ছে। তবে এই বিসিএসে প্রথমবারের ক্যাডার পদের সঙ্গেই নন-ক্যাডার পদেরও ফলাফল প্রকাশ করা হবে—এমন তথ্যে আন্দোলনে নেমেছেন প্রার্থীরা। এমনটা হলে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ অধিকাংশ প্রার্থীকে শূন্য হাতে ফিরতে হবে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
১ হাজার ৮১৪ জন ক্যাডার কর্মকর্তা নেওয়ার জন্য ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি।২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ২২৯ জন। ২০২২ সালের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষা হয়। এই ফল প্রকাশ করতে এক বছরের বেশি সময় নেয় পিএসসি। চলতি বছরের ২০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে তাঁরা এখন চূড়ান্ত ফলের অপেক্ষায়।
এর মধ্যেই ১৪ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএসে নন-ক্যাডারের ১ হাজার ৩৪২টি শূন্য পদের কথা জানিয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন করতে বলেছে পিএসসি। এই বিজ্ঞপ্তিকে প্রহসনমূলক আখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন, পিএসসির সামনে মানববন্ধন, কাফনের কাপড় পরিধান থেকে শুরু করে নানা কর্মসূচি পালন করছেন প্রার্থীরা। তাঁরা বলছেন, এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় বলা হয়নি যে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল একসঙ্গে হবে; বরং ৩২ অনুচ্ছেদে আগের বিসিএসের মতোই নন-ক্যাডারে নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল।
প্রার্থীদের অভিযোগ, আগের বিসিএসগুলোতে বিপুলসংখ্যক প্রার্থী নন-ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছেন। সবশেষ ৪১তম বিসিএস থেকে ৪ হাজার ৫৩ এবং ৪০তম বিসিএস থেকে ৪ হাজার ৪৭৮ জনকে নন-ক্যাডারে নিয়োগের জন্য পছন্দের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। অথচ ৪৩তম বিসিএস থেকে নন-ক্যাডারে মাত্র ১ হাজার ৩৪২ পদের কথা বলা হচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ প্রার্থীদের জন্য নবম ও দশম গ্রেডের পদ আছে মাত্র ৭৫টি। বাকিগুলো বিশেষায়িত পদ। ফলে অধিকাংশই চাকরি পাবেন না।
তাঁরা বলছেন, ১ হাজার ৩৪২ পদের মধ্যে ৮৮৮টি পদই ৪১তম থেকে ফেরত আসা। যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় সেগুলো খালি ছিল। সেই হিসাবে নতুন পদ এসেছে মাত্র ৪৫৪টি। আর এবার নন-ক্যাডারে নবম শ্রেণির পদ মাত্র ১৯৬টি। এটি প্রহসন ও বৈষম্যমূলক।
আন্দোলনরতরা চারটি দাবি তুলে ধরেছেন। এগুলো হলো—ক্যাডার ও নন-ক্যাডার ফল পৃথক সময়ে প্রকাশ করা, নন-ক্যাডার থেকে অধিকসংখ্যক প্রার্থীকে সুপারিশ করা, আগের বিসিএস থেকে ইতিমধ্যে সুপারিশ করা প্রার্থীদের সমপদে ফের সুপারিশ না করা এবং ক্যাডার ও নন-ক্যাডার নিয়োগে প্যানেলের ব্যবস্থা করা।
মূলত ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্যই বিসিএস পরীক্ষা নেওয়া হয়। বিসিএস থেকে নন-ক্যাডারে নিয়োগের বিষয়টা বুঝতে হলে ১৩ বছর আগে ফিরতে হবে। তখন একটা বিসিএসে দুই থেকে আড়াই লাখ প্রার্থী আবেদন করতেন এবং ছয় থেকে সাত হাজার প্রার্থী চূড়ান্ত উত্তীর্ণ হতেন। কিন্তু পদস্বল্পতার কারণে বেশির ভাগই চাকরিবঞ্চিত হতেন। এই প্রার্থীদের প্রথম শ্রেণির অন্যান্য শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্যই ২০১০ সালে নন-ক্যাডার নিয়োগে বিশেষ বিধিমালা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
নন-ক্যাডারের এই নিয়োগ বিধিমালা করার কারণ হিসেবে ওই সময়ের চেয়ারম্যান প্রয়াত সা’দত হুসাইন বলেছিলেন, একেকটি বিসিএসে ৮ থেকে ১০ হাজার প্রার্থী উত্তীর্ণ হলেও বেশির ভাগ চাকরি পান না। অন্যদিকে রাষ্ট্রের অনেক পদ শূন্য। বিসিএস উত্তীর্ণদের মধ্য থেকেই যদি প্রথম শ্রেণির বিভিন্ন পদে সুপারিশ করা যায়, তাহলে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর মেধাবী কর্মকর্তা পাবে। বিসিএস থেকে নিয়োগ দিলে নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতিও কমবে। ২০১৪ সালে বিধিমালা সংশোধন করে প্রথম শ্রেণির সঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণির পদেও বিসিএস থেকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় পিএসসি।
পিএসসি ও চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে দীর্ঘ দুই দশকের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতায় বলতেই হবে, বিসিএস উত্তীর্ণদের থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা (বর্তমানে ৯ম থেকে ১২ গ্রেড) নিয়োগের জন্য নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালার উদ্যোগটি দারুণ ছিল। বিধিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি বিসিএসে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর প্রার্থীদের কাছ থেকে নন-ক্যাডারে আবেদন নেওয়া হতো। পরের বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগপর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে যত চাহিদা আসত, সেই অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হতো। এভাবেই নন-ক্যাডারে বিপুলসংখ্যক ছেলেমেয়ে চাকরি পেয়েছেন।
তবে ২০২২ সালে পিএসসির বর্তমান কমিশন জানায়, এখন থেকে প্রতিটা বিসিএসে ক্যাডারের পাশাপাশি নন-ক্যাডারের পদ উল্লেখ করতে হবে। একটা বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে যত চাহিদা আসবে ওই বিসিএসে ঠিক ততগুলো নন-ক্যাডারের পদই থাকবে।
৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর দেখা গেল পিএসসি ৪০, ৪১, ৪৩ ও ৪৪ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তির তারিখ অনুযায়ী শূন্য পদ আলাদা করার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যেহেতু ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দেওয়া হয়েছে, কাজেই ওই তারিখের মধ্যে যেই পদের চাহিদা শুধু সেই পদই ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডারের জন্য থাকার কথা।
৪০তম বিসিএস উত্তীর্ণ প্রার্থীরা তখন এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন শুরু করেন। তাঁদের বক্তব্য, পিএসসির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে ৪০, ৪১, ৪৩ ও ৪৪তম নন-ক্যাডার প্রার্থীদের ওপর বিপর্যয় নেমে আসবে। তবে আন্দোলনের মধ্যেই পিএসসি নন-ক্যাডার নিয়োগবিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। ফলে ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডারের নিয়োগ আটকে ছিল প্রায় এক বছর। অবশেষে ২০২৩ সালের জুন মাসে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।
নতুন বিধিমালার ৪ ধারা অনুযায়ী, এখন থেকে বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাডার পদের পাশাপাশি নন-ক্যাডার পদের সংখ্যাও উল্লেখ থাকবে। তবে বিধিমালা প্রকাশের আগে যেসব সংখ্যা উল্লেখ ছিল না, সে ক্ষেত্রে বিসিএস অনুযায়ী নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা নির্ধারণ ও পছন্দ আহ্বান করা হবে।
এই বিধিমালা অনুযায়ী কিন্তু বিসিএসের বিজ্ঞপ্তির সঙ্গেই নন-ক্যাডারের বিজ্ঞপ্তি যাওয়ার কথা। অথচ গত ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও নন-ক্যাডারের সংখ্যা বলা হয়নি। এর দায় কার?
পিএসসি বলছে, বিধিমালা অনুযায়ী, ৪৩তম বিসিএসে নন-ক্যাডারের ১ হাজার ৩৪২ পদে আবেদন চাওয়া হয়েছে। ৪৩তম বিসিএসের কয়েক শ প্রার্থীর দাবি, তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন। কারণ, প্রতিটি বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর পিএসসি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শূন্য পদের চাহিদা চেয়ে চিঠি ও পরে তাগাদা দিত। পাশাপাশি প্রার্থীরাও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে খোঁজখবর করতেন এবং চাহিদা পাঠানোর অনুরোধ করতেন। ফলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর থেকে অনেক চাহিদা যেত। এখন ক্যাডারের সঙ্গেই নন-ক্যাডারের ফল প্রকাশ করা হলে নতুন চাহিদা আসবে না। ফলে অধিকাংশই চাকরি পাবেন না।
এখানে দীর্ঘসূত্রতাও আরেকটি সমস্যা। এখন একেকটা বিসিএস শেষ করতে তিন থেকে চার বছর লেগে যাচ্ছে। সেই হিসাবে ২০২৪ সালে যদি সরকারের কোনো দপ্তর নন-ক্যাডার পদে চাহিদা পাঠায় এবং তিন-চার বছর পর ওই দপ্তর কর্মকর্তা পায়, তাহলে ভবিষ্যতে নন-ক্যাডারে নিয়োগের আগ্রহ হারাবে, যার প্রভাব পড়বে ভবিষ্যতে।
একটা বিষয় স্বীকার করতেই হবে। বিসিএস থেকে নন-ক্যাডারের নিয়োগের ফলে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে। যোগ্য ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন দপ্তরে যাচ্ছেন। কাজেই ৯ম থেকে ১২তম গ্রেড পর্যন্ত যত বেশিসংখ্যক পদ বিসিএস থেকে নিয়োগ দেওয়া যায়, ততই রাষ্ট্রের মঙ্গল। এখানে আইন বা বিধিমালা বেশি প্রার্থীর চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হওয়া উচিত নয়; বরং বেশি নিয়োগ দেওয়ার জন্য পিএসসির চেষ্টা করা উচিত। প্রতিটি বিসিএসের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। প্রয়োজনে বিসিএস উত্তীর্ণ সবাইকে চাকরি দেওয়া হোক।
এ বছরের জানুয়ারিতে সংসদে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনো সরকারের ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি পদ খালি। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির শূন্য পদ ৪৩ হাজার ৩৩৬টি। দ্বিতীয় শ্রেণিতে খালি আছে ৪০ হাজার ৫৬১টি পদ। কাজেই প্রতি বিসিএসে উত্তীর্ণ বিপুলসংখ্যক প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে পিএসসিকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে তাদের চাহিদা পাঠানো ও তাগাদা দিতে হবে। অতীতে পিএসসির চেয়ারম্যানরা কিন্তু সেটি করেছেন। পিএসসির প্রতি এক যুগে যে আস্থা তৈরি হয়েছে, সেটি ধরে রাখতে হবে।
আরেকটা কথা। যেহেতু ক্যাডার পদের জন্যই বিসিএস পরীক্ষা নেওয়া হয়, কাজেই ক্যাডারের সঙ্গে নন-ক্যাডারের ফল না দেওয়াই ভালো; বরং ক্যাডার পদের ফল প্রকাশের পর নন-ক্যাডারের আবেদন চাইলে প্রার্থীদের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ। আর কয়েক মাস সময় পেলে নতুন করে চাহিদা আনার জন্যও চেষ্টা করতে পারেন প্রার্থীরা। পিএসসিও এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।
পাশাপাশি নন-ক্যাডার নিয়োগে বেশিসংখ্যক প্রার্থীর চাকরি নিশ্চিত করতে সমপদে সুপারিশ করা বন্ধ করতে পারে পিএসসি। প্যানেলের ব্যবস্থাটাও ভালো। প্যানেল করে নিয়োগ দিলে পদ আর শূন্য থাকবে না। আসলে চার বছরের অপেক্ষার পর কেউ যেন শূন্য হাতে না ফেরেন।
আরেকটা বিষয়। বিসিএসের নিয়োগের দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে আনা খুব জরুরি। একটা বিসিএসের ফল প্রকাশ ও নিয়োগে এখন চার বছর লেগে যাচ্ছে। চার বছরে পৃথিবীর বহু দেশে এক সরকার ক্ষমতা শেষ করে আরেক মেয়াদ আসে। চার বছরে পৃথিবীর বহু দেশ তো বটেই, এমনকি বাংলাদেশেও যেকোনো বিষয়ে স্নাতক শেষ করা যায়। কিন্তু চার বছরেও একটা বিসিএসের নিয়োগ-প্রক্রিয়া শেষ হয় না বাংলাদেশে! ফলে একটা চাকরির আশায় তারুণ্যের চার-পাঁচ বছর সময় চলে যাচ্ছে জীবন থেকে। নিয়োগে স্বচ্ছতার পাশাপাশি বিসিএসের এই দীর্ঘসূত্রতা কমাতেই হবে।
লেখক: কলামিস্ট

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৯ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

৪৩তম বিসিএসে আবেদন করেছিলেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০ জন প্রার্থী। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো এই বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে পারেনি সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। খুব শিগগিরই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হবে—এমন কথা বলা হচ্ছে।
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

৪৩তম বিসিএসে আবেদন করেছিলেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০ জন প্রার্থী। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো এই বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে পারেনি সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। খুব শিগগিরই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হবে—এমন কথা বলা হচ্ছে।
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৯ দিন আগে
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

৪৩তম বিসিএসে আবেদন করেছিলেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০ জন প্রার্থী। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো এই বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে পারেনি সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। খুব শিগগিরই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হবে—এমন কথা বলা হচ্ছে।
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৯ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

৪৩তম বিসিএসে আবেদন করেছিলেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০ জন প্রার্থী। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো এই বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে পারেনি সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। খুব শিগগিরই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হবে—এমন কথা বলা হচ্ছে।
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৯ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫