সম্পাদকীয়
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ বলছে, দেশে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের বিয়ে ৫০ শতাংশ বেড়েছে! তবে কিছু ঘটনা এমনও হয় যে শিক্ষক, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগে পুলিশ গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেয়। কোথাও শোনা যায়, জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে বন্ধ করা হয়েছে বাল্যবিবাহ। এগুলো ভালো খবর বটে। কিন্তু যে বাল্যবিবাহগুলো হয়ে গেছে, সেগুলোর পরিণাম হয় ভয়াবহ।
যেমন বরিশালের আগৈলঝাড়ার এক কিশোরীর কথা বলা যাক। বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদত্রিশিরা গ্রামের এই মাদ্রাসাছাত্রী হাবিবা আক্তারকে দুই মাস আগে মা-বাবা জোর করে বিয়ে দিয়েছিলেন। তার বয়স মাত্র ১৩। পড়ত পঞ্চম শ্রেণিতে। আর এই কিশোরীর বর ২৫ বছরের সাজিদ মোল্লা। হাবিবা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সম্প্রতি বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয়। জানায়, সে আর শ্বশুরবাড়ি ফিরে যাবে না। কিন্তু মা-বাবা সে কথা মানেননি, হাবিবাকে চাপ দিচ্ছিলেন শ্বশুরবাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য। হাবিবাও হার মানেনি। তাই মা-বাবা তার দুই পায়ে শিকল এবং দুই হাত পেছনে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন, নির্যাতন করেন, যেন অন্য কোথাও যেতে না পারে তাঁদের মেয়ে।
হাবিবাকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। পরে থানার এসআই মাহফুজ হোসেন গত শনিবার রাতে হাবিবাকে উদ্ধার করতে গিয়ে দেখে ঘরে তালা দিয়ে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন মা-বাবা; অর্থাৎ তাঁরা আগেই টের পেয়েছিলেন পুলিশ আসবে। এর আগে হাবিবার মা মারুফা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, দরিদ্র পরিবার হওয়ায় মেয়েকে লেখাপড়া করাতে পারেননি, বিয়ে দিয়েছেন এবং হাবিবা শ্বশুরবাড়ি ফিরে না গিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেওয়ায় তাকে শিকলে বেঁধে রাখা হয়।
এদিকে হাবিবার বর সাজিদ দাবি করছেন, তাঁর পরিবার থেকে হাবিবাকে কখনো নির্যাতন করা হয়নি। মেয়েটা সংসার করতে চায়নি বলে তাঁদের বাড়ি থেকে চলে যায়।
হাবিবার মা-বাবা খুব ভালো করেই জানেন যে তাঁরা অপরাধ করেছেন। তাই মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অপরাধের ভাগীদার সাজিদের পরিবারও। দারিদ্র্যের দোহাই দিয়ে মেয়ের লেখাপড়া বন্ধ করেছেন মা-বাবা। অথচ তাঁদের জানা থাকার কথা যে বাংলাদেশ সরকার দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষাকে অবৈতনিক করেছে এবং মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে বই বিতরণ করা হয়।
হাবিবার শিক্ষক মুফতি মইনুল ভাট্টি জানান, বিয়ের ব্যাপারটি আগে জানলে তিনি মেয়েটিকে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা করতে পারতেন। অথচ হাবিবার প্রতিবেশীরা বিয়ের পর তার ওপর হওয়া নির্যাতন দেখে যে অভিযোগ করেছে, তা বিয়ের আগে করলে হয়তো ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে একটা সুন্দর জীবন উপহার দেওয়া যেত। বাল্যবিবাহ এবং যে কারও ওপর হওয়া নির্যাতন দমন করতে হলে টম-ডিক-হ্যারি সেজে বসে থাকা যায় না।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ বলছে, দেশে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের বিয়ে ৫০ শতাংশ বেড়েছে! তবে কিছু ঘটনা এমনও হয় যে শিক্ষক, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগে পুলিশ গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেয়। কোথাও শোনা যায়, জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে বন্ধ করা হয়েছে বাল্যবিবাহ। এগুলো ভালো খবর বটে। কিন্তু যে বাল্যবিবাহগুলো হয়ে গেছে, সেগুলোর পরিণাম হয় ভয়াবহ।
যেমন বরিশালের আগৈলঝাড়ার এক কিশোরীর কথা বলা যাক। বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদত্রিশিরা গ্রামের এই মাদ্রাসাছাত্রী হাবিবা আক্তারকে দুই মাস আগে মা-বাবা জোর করে বিয়ে দিয়েছিলেন। তার বয়স মাত্র ১৩। পড়ত পঞ্চম শ্রেণিতে। আর এই কিশোরীর বর ২৫ বছরের সাজিদ মোল্লা। হাবিবা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সম্প্রতি বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয়। জানায়, সে আর শ্বশুরবাড়ি ফিরে যাবে না। কিন্তু মা-বাবা সে কথা মানেননি, হাবিবাকে চাপ দিচ্ছিলেন শ্বশুরবাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য। হাবিবাও হার মানেনি। তাই মা-বাবা তার দুই পায়ে শিকল এবং দুই হাত পেছনে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন, নির্যাতন করেন, যেন অন্য কোথাও যেতে না পারে তাঁদের মেয়ে।
হাবিবাকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। পরে থানার এসআই মাহফুজ হোসেন গত শনিবার রাতে হাবিবাকে উদ্ধার করতে গিয়ে দেখে ঘরে তালা দিয়ে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন মা-বাবা; অর্থাৎ তাঁরা আগেই টের পেয়েছিলেন পুলিশ আসবে। এর আগে হাবিবার মা মারুফা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, দরিদ্র পরিবার হওয়ায় মেয়েকে লেখাপড়া করাতে পারেননি, বিয়ে দিয়েছেন এবং হাবিবা শ্বশুরবাড়ি ফিরে না গিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেওয়ায় তাকে শিকলে বেঁধে রাখা হয়।
এদিকে হাবিবার বর সাজিদ দাবি করছেন, তাঁর পরিবার থেকে হাবিবাকে কখনো নির্যাতন করা হয়নি। মেয়েটা সংসার করতে চায়নি বলে তাঁদের বাড়ি থেকে চলে যায়।
হাবিবার মা-বাবা খুব ভালো করেই জানেন যে তাঁরা অপরাধ করেছেন। তাই মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অপরাধের ভাগীদার সাজিদের পরিবারও। দারিদ্র্যের দোহাই দিয়ে মেয়ের লেখাপড়া বন্ধ করেছেন মা-বাবা। অথচ তাঁদের জানা থাকার কথা যে বাংলাদেশ সরকার দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষাকে অবৈতনিক করেছে এবং মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে বই বিতরণ করা হয়।
হাবিবার শিক্ষক মুফতি মইনুল ভাট্টি জানান, বিয়ের ব্যাপারটি আগে জানলে তিনি মেয়েটিকে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা করতে পারতেন। অথচ হাবিবার প্রতিবেশীরা বিয়ের পর তার ওপর হওয়া নির্যাতন দেখে যে অভিযোগ করেছে, তা বিয়ের আগে করলে হয়তো ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে একটা সুন্দর জীবন উপহার দেওয়া যেত। বাল্যবিবাহ এবং যে কারও ওপর হওয়া নির্যাতন দমন করতে হলে টম-ডিক-হ্যারি সেজে বসে থাকা যায় না।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫