Ajker Patrika

সরিষার ফলন ও দামে খুশি ডিমলার চাষিরা

নীলফামারী ও ডিমলা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ১৭
সরিষার ফলন ও দামে খুশি ডিমলার চাষিরা

নীলফামারীর ডিমলায় চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন এবং ভালো দামে চাষিদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৭৬৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষাবাদ হয়েছে ৮২০ হেক্টর জমিতে। বোরো ও আমন মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে জমি ফেলে না রেখে সরিষা চাষ করেন কৃষকেরা। এ ছাড়া সরিষা চাষের কারণে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়, আবার বোরো চাষের জন্য জমিতে অতিরিক্ত সারও তেমন দিতে হয় না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় সরিষার কাটা-মাড়াই প্রায় শেষ পর্যায়ে। উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে সরিষা। এবার উচ্চ ফলনশীল বারি-৯, বারি-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮ ও দেশীয় জাতের সরিষা চাষ করেছেন কৃষকেরা।

সরিষাচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক একর জমিতে সরিষা চাষ করতে খরচ হয় চার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। একরপ্রতি ফলন পাওয়া যায় ১৫-১৮ মণ। বর্তমানে বাজারে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষায় লাভের পরিমাণ বেশি।

উপজেলার গহ্বরপুর গ্রামের সরিষাচাষি সুলতান আহমেদ বলেন, ‘অল্প শ্রম আর স্বল্প খরচে সরিষা চাষ করা যায়। আমি ১৫ একর জমিতে সরিষা চাষ করেছি।’

সরিষাচাষি সেলিম জানান, পরিবারের তেলের চাহিদা মেটাতে তিনি এক একর জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। ফলন খুব ভালো হয়েছে। নিজের চাহিদা মিটিয়ে উদ্ধৃত সরিষা বিক্রি করেছেন বাজারে। ভালো দাম পেয়ে তিনি খুশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী জানান, সরিষাচাষিদের সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মাঠ পর্যায়ে চাষিদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপজেলায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ভালো দাম থাকায় চাষিরা লাভবান হবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত