মো. ফরিদ রায়হান, অষ্টগ্রাম
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম-লাখাই নৌপথের লাখাই নৌকাঘাটে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া যাত্রীদের সঙ্গে ইজারাদারের খারাপ আচরণের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় লোকজনের সূত্রে জানা গেছে, যাত্রী পারাপারের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না উপজেলা প্রশাসনের নির্ধারিত ভাড়া ও নির্দেশনা। ফলে প্রতিদিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। গত ৮ মাসে তিন দফায় ভাড়া বাড়লেও থামেনি মাঝিদের দৌরাত্ম্য।
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার অন্যতম যোগাযোগমাধ্যম ইকুরদিয়া-লাখাই নৌপথ। এই পথে প্রতিদিন ছোট ও মাঝারি আকারে ২৫ থেকে ৩০টি ট্রলারে কয়েক হাজার যাত্রী পারাপার হন। তবে অধিকাংশ সময়ই বাড়তি ভাড়া ও ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। লাখাই ঘাটের ইজারাদার ও মাঝি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে অসহায় মানুষ।
অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, ‘এই পথে আমি নিয়মিত যাতায়াত করি। ইজারাদার ও মাঝি সিন্ডিকেটে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়। নেই টোল চার্ট, নেই কোনো নিয়ম। ভাড়া আদায়ও লাগামহীন। এসব বন্ধে উভয় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।’
অষ্টগ্রাম উপজেলার পূর্ব অষ্টগ্রামের কামাল হোসেন বলেন, ‘এই ঘাটের কথা কী কমু। ৬০ টাকার ভাড়া ৯০-১০০ টাকা নেওয়া হয়। আবার রিজার্ভে গেলে ১২ থেকে ১৩ শ টাকার কমে হয় না।
বিকেল-সন্ধ্যায় ভাড়া আরও বাড়ে। তাও নির্ধারিত সময়ে ট্রলার ছাড়া না হয় না। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে অপমান হতে হয়। মানসম্মানের ভয়ে যাত্রীরা দিনের পর দিন এই অন্যায় সহ্য করে আসছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অষ্টগ্রাম উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ এ লাখাই নৌকাঘাট দিয়ে সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন যাতায়াত করেন। প্রায় নয় কিলোমিটার এ নৌপথে গত জানুয়ারি মাসে ১০ টাকা ট্রলার ভাড়া বাড়িয়ে জনপ্রতি ৪০ টাকা করেন মাঝিরা। পরে ২ মাস না যেতেই আবারও শুরু করেন বাড়তি বাড়া আদায়। প্রায় সময় মাঝি-ইজারাদার ও যাত্রীদের ঝগড়া হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নৌকাঘাটে ট্রলার ও যাত্রীর নিকট থেকে সরকার নির্ধারিত টোল আদায়ের নিয়ম থাকলেও সেটি মানছে না ইজারাদার। এ ছাড়া তাদের নির্ধারিত নৌকা ছাড়া অন্য ট্রলারে পারাপার করতে দেওয়া হয় না। অষ্টগ্রাম এলাকার মাঝিরা লাখাই ঘাট থেকে যাত্রী আনতে চাইলে অর্ধেক ভাড়া দিয়ে দিতে হয় ইজারাদারকে।
গত ৮ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের পেজে ‘৫০ টাকার বেশি ভাড়া আদায়ে ব্যবস্থা গ্রহণের স্ট্যাটাস দেন’ অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তারপর অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যাত্রী হয়রানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফেরিঘাট ইজারা ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালায় ১৫ ও ২৭ জুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ৫০ টাকা। সেখান থেকে বাড়িয়ে ৮ আগস্ট জনপ্রতি ৬০ টাকা ও নৌকার রিজার্ভ ৮০০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তবে এই নির্দেশনাও উপেক্ষা করে সম্প্রতি জনপ্রতি ৯০-১০০ টাকা রিজার্ভ ভাড়া ১২ শ থেকে ১৪ শ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
মাঝিদের দাবি, সারা বছর নৌকায় মানুষ চলে না, তাই এখন ভাড়া একটু বেশি। আমাদের না পোষালে নৌকা ঘাট বন্ধ হয়ে যাবে। তখন কী ভালো হবে? আর না পোষালে কেউ যাবে না।
ট্রলারে যাত্রী হয়রানি ও বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে ঘাটের ইজারাদার এনায়েত হোসেন বলেন, ‘এমনটি আর হবে না, আমি ভুক্তভোগীর নিকট দুঃখ প্রকাশ করেছি। মাঝিদেরও বলেছি তারা যেন এমন না করেন।’
লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আগে একবার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক আরও কয়েকজন আমাকে জানিয়েছে, শিগগিরই খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম-লাখাই নৌপথের লাখাই নৌকাঘাটে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া যাত্রীদের সঙ্গে ইজারাদারের খারাপ আচরণের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় লোকজনের সূত্রে জানা গেছে, যাত্রী পারাপারের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না উপজেলা প্রশাসনের নির্ধারিত ভাড়া ও নির্দেশনা। ফলে প্রতিদিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। গত ৮ মাসে তিন দফায় ভাড়া বাড়লেও থামেনি মাঝিদের দৌরাত্ম্য।
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার অন্যতম যোগাযোগমাধ্যম ইকুরদিয়া-লাখাই নৌপথ। এই পথে প্রতিদিন ছোট ও মাঝারি আকারে ২৫ থেকে ৩০টি ট্রলারে কয়েক হাজার যাত্রী পারাপার হন। তবে অধিকাংশ সময়ই বাড়তি ভাড়া ও ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। লাখাই ঘাটের ইজারাদার ও মাঝি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে অসহায় মানুষ।
অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, ‘এই পথে আমি নিয়মিত যাতায়াত করি। ইজারাদার ও মাঝি সিন্ডিকেটে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়। নেই টোল চার্ট, নেই কোনো নিয়ম। ভাড়া আদায়ও লাগামহীন। এসব বন্ধে উভয় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।’
অষ্টগ্রাম উপজেলার পূর্ব অষ্টগ্রামের কামাল হোসেন বলেন, ‘এই ঘাটের কথা কী কমু। ৬০ টাকার ভাড়া ৯০-১০০ টাকা নেওয়া হয়। আবার রিজার্ভে গেলে ১২ থেকে ১৩ শ টাকার কমে হয় না।
বিকেল-সন্ধ্যায় ভাড়া আরও বাড়ে। তাও নির্ধারিত সময়ে ট্রলার ছাড়া না হয় না। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে অপমান হতে হয়। মানসম্মানের ভয়ে যাত্রীরা দিনের পর দিন এই অন্যায় সহ্য করে আসছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অষ্টগ্রাম উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ এ লাখাই নৌকাঘাট দিয়ে সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন যাতায়াত করেন। প্রায় নয় কিলোমিটার এ নৌপথে গত জানুয়ারি মাসে ১০ টাকা ট্রলার ভাড়া বাড়িয়ে জনপ্রতি ৪০ টাকা করেন মাঝিরা। পরে ২ মাস না যেতেই আবারও শুরু করেন বাড়তি বাড়া আদায়। প্রায় সময় মাঝি-ইজারাদার ও যাত্রীদের ঝগড়া হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নৌকাঘাটে ট্রলার ও যাত্রীর নিকট থেকে সরকার নির্ধারিত টোল আদায়ের নিয়ম থাকলেও সেটি মানছে না ইজারাদার। এ ছাড়া তাদের নির্ধারিত নৌকা ছাড়া অন্য ট্রলারে পারাপার করতে দেওয়া হয় না। অষ্টগ্রাম এলাকার মাঝিরা লাখাই ঘাট থেকে যাত্রী আনতে চাইলে অর্ধেক ভাড়া দিয়ে দিতে হয় ইজারাদারকে।
গত ৮ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের পেজে ‘৫০ টাকার বেশি ভাড়া আদায়ে ব্যবস্থা গ্রহণের স্ট্যাটাস দেন’ অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তারপর অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যাত্রী হয়রানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফেরিঘাট ইজারা ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালায় ১৫ ও ২৭ জুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ৫০ টাকা। সেখান থেকে বাড়িয়ে ৮ আগস্ট জনপ্রতি ৬০ টাকা ও নৌকার রিজার্ভ ৮০০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তবে এই নির্দেশনাও উপেক্ষা করে সম্প্রতি জনপ্রতি ৯০-১০০ টাকা রিজার্ভ ভাড়া ১২ শ থেকে ১৪ শ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
মাঝিদের দাবি, সারা বছর নৌকায় মানুষ চলে না, তাই এখন ভাড়া একটু বেশি। আমাদের না পোষালে নৌকা ঘাট বন্ধ হয়ে যাবে। তখন কী ভালো হবে? আর না পোষালে কেউ যাবে না।
ট্রলারে যাত্রী হয়রানি ও বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে ঘাটের ইজারাদার এনায়েত হোসেন বলেন, ‘এমনটি আর হবে না, আমি ভুক্তভোগীর নিকট দুঃখ প্রকাশ করেছি। মাঝিদেরও বলেছি তারা যেন এমন না করেন।’
লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আগে একবার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক আরও কয়েকজন আমাকে জানিয়েছে, শিগগিরই খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪