বাসাইল প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বাসাইলে গত তিন দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়ায় রবি ফসল ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। হেলে পড়েছে সরিষা গাছ। অনেক জমিতেই জমছে পানি। এতে উপজেলার রবি ও শীতকালীন শস্যের ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষক।
উপজেলায় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর সরিষা, ৬ হাজার হেক্টর রবি ও শীতকালীন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা কৃষি বিভাগের। তবে দ্রুত ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব কেটে গেলে ক্ষতি কম হবে বলে ধারণা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ‘চলতি বছর উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। রবি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে ৩৫০ হেক্টর, আলু ২১৮ হেক্টর, গম ১৪৫ হেক্টর, ভুট্টা ১৪৫ হেক্টর, পেঁয়াজ ২৫ হেক্টর, মিষ্টি আলু ৩৫ হেক্টর জমিতে। এ ছাড়া মসুর, খেসারি, সূর্যমুখী, মরিচ ও ধনের আবাদ করেছেন কৃষক। এসব ফসলের মধ্যে গম ও ভুট্টা ছাড়া টানা বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের জিকাতলী পাড়া গ্রামের চাষি ফনিন্দ্র মন্ডল বলেন, ‘সরিষার আবাদে খরচ কম, ফলন ও দাম বেশি। তাই এ বছর চার শ শতাংশ জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। অনেক খেতে সরিষা গাছে ফুল ধরেছে। কিন্তু এই অসময়ে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় সরিষার গাছ মাটিতে নুয়ে পরেছে। এতে ফুল নষ্ট হয়ে গেলে ফলন কমে যাবে।’
খুশি মোহন সরকার বলেন, ‘অসময়ে বৃষ্টি হওয়ায় সরিষার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। এ বছর ১৫০ শতাংশ জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। সরিষা বৃষ্টির জন্য নুয়ে পড়েছে। সরিষা মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ায় ফলন কমে যাবে।’
সরিষা ও শবজিচাষি সুশীল, কামাল, লালচান, মারফতসহ অনেকে জানান, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে দুই একের মধ্যে সূর্যের দেখা মিললে ক্ষতির পরিমাণ কমে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজনীন আক্তার বলেন, ‘গত বছর সরিষার বাম্পার ফলন ও দাম ভালো থাকায় এবার আবাদ বেড়েছে। ইতিমধ্যে বেশির ভাগ খেতে সরিষার ফুল এসেছে। এ সময় দফায় দফায় বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে সরিষাগাছ মাটিতে হেলে পড়েছে। এতে সরিষার কিছুটা ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। জমিতে পানি জমে থাকলে এবং বৃষ্টি বাড়তে থাকলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন চাষিরা। তা ছাড়া অসময়ে বৃষ্টির কারণে শীতকালীন সবজির ক্ষতির হবে।’
তবে জাওয়াদের কারণে কৃষিতে কেমন ক্ষতি হবে, তা এখনই পরিমাপ করা সম্ভব হবে না বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা। বৃষ্টিতে কিছু ফসলের উপকার হবে বলে ধারণা তাঁর। তিনি বলেন, ‘এ বৃষ্টিতে অবশ্য গম, পায়রা, ভুট্টা ও গোখাদ্যসহ (গরুর ঘাস) বেশ কিছু ফসলের উপকার হয়েছে।’
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বাসাইলে গত তিন দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়ায় রবি ফসল ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। হেলে পড়েছে সরিষা গাছ। অনেক জমিতেই জমছে পানি। এতে উপজেলার রবি ও শীতকালীন শস্যের ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষক।
উপজেলায় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর সরিষা, ৬ হাজার হেক্টর রবি ও শীতকালীন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা কৃষি বিভাগের। তবে দ্রুত ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব কেটে গেলে ক্ষতি কম হবে বলে ধারণা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ‘চলতি বছর উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। রবি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে ৩৫০ হেক্টর, আলু ২১৮ হেক্টর, গম ১৪৫ হেক্টর, ভুট্টা ১৪৫ হেক্টর, পেঁয়াজ ২৫ হেক্টর, মিষ্টি আলু ৩৫ হেক্টর জমিতে। এ ছাড়া মসুর, খেসারি, সূর্যমুখী, মরিচ ও ধনের আবাদ করেছেন কৃষক। এসব ফসলের মধ্যে গম ও ভুট্টা ছাড়া টানা বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের জিকাতলী পাড়া গ্রামের চাষি ফনিন্দ্র মন্ডল বলেন, ‘সরিষার আবাদে খরচ কম, ফলন ও দাম বেশি। তাই এ বছর চার শ শতাংশ জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। অনেক খেতে সরিষা গাছে ফুল ধরেছে। কিন্তু এই অসময়ে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় সরিষার গাছ মাটিতে নুয়ে পরেছে। এতে ফুল নষ্ট হয়ে গেলে ফলন কমে যাবে।’
খুশি মোহন সরকার বলেন, ‘অসময়ে বৃষ্টি হওয়ায় সরিষার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। এ বছর ১৫০ শতাংশ জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। সরিষা বৃষ্টির জন্য নুয়ে পড়েছে। সরিষা মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ায় ফলন কমে যাবে।’
সরিষা ও শবজিচাষি সুশীল, কামাল, লালচান, মারফতসহ অনেকে জানান, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে দুই একের মধ্যে সূর্যের দেখা মিললে ক্ষতির পরিমাণ কমে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজনীন আক্তার বলেন, ‘গত বছর সরিষার বাম্পার ফলন ও দাম ভালো থাকায় এবার আবাদ বেড়েছে। ইতিমধ্যে বেশির ভাগ খেতে সরিষার ফুল এসেছে। এ সময় দফায় দফায় বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে সরিষাগাছ মাটিতে হেলে পড়েছে। এতে সরিষার কিছুটা ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। জমিতে পানি জমে থাকলে এবং বৃষ্টি বাড়তে থাকলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন চাষিরা। তা ছাড়া অসময়ে বৃষ্টির কারণে শীতকালীন সবজির ক্ষতির হবে।’
তবে জাওয়াদের কারণে কৃষিতে কেমন ক্ষতি হবে, তা এখনই পরিমাপ করা সম্ভব হবে না বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা। বৃষ্টিতে কিছু ফসলের উপকার হবে বলে ধারণা তাঁর। তিনি বলেন, ‘এ বৃষ্টিতে অবশ্য গম, পায়রা, ভুট্টা ও গোখাদ্যসহ (গরুর ঘাস) বেশ কিছু ফসলের উপকার হয়েছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪