Ajker Patrika

উপকার পাবে ৫ হাজার মানুষ

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬: ১৮
Thumbnail image

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নে প্রায় চার কিলোমিটার খাল খনন করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে গতকাল শনিবার দুই কিলোমিটার খাল খননকাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। ইউনিয়নের রেশমবাগান তঞ্চঙ্গ্যাপাড়ায় এই ‘টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প’ উদ্বোধন করা হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ এর সুফল পাবেন বলে আশা করছেন প্রকল্প কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

গতকাল সকালে রেশমবাগান এলাকায় প্রকল্প উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির জাহান। প্রায় ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দের এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্প শেষ হবে বলে জানিয়েছেন তদারকির দায়িত্বে থাকা রাঙামাটির উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুস শহীদ।

উপসহকারী প্রকৌশলী জানান, ২ নম্বর ওয়ার্ডের তঞ্চঙ্গ্যাপাড়া শিলছড়ির মুখ থেকে ৩ নম্বর ওয়ার্ড কয়লারডিপু এলাকার কর্ণফুলী নদীর মুখ পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার খাল খনন করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় দুটি স্লুইসগেট নির্মাণ করা হবে।

এর মাধ্যমে শুষ্ক মৌসুমে পানি সংরক্ষণ করে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি, মৎস্য চাষ ও সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের আত্মসামাজিক উন্নয়নে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়ন ও কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের বাসিন্দা এ সুবিধা পাবে।

আব্দুস শহীদ বলেন, শনিবার প্রাথমিকভাবে ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ের দুই কিলোমিটার খাল খননের কাজ শুরু হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে। এ ছাড়া প্রকল্পের অধীনে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি স্লুইসগেট নির্মাণের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। মার্চ থেকে স্লুইসগেট নির্মাণকাজ শুরু হবে।

গতকাল প্রকল্প উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী, উপজেলা সিনিয়র প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য উজ্জ্বল ভট্টাচার্য, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুধীর তালুকদার, ইউপি সদস্যসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা।

চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী জানান, শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রেখে কৃষিকাজ, সামাজিক বনায়ন ও মৎস্য চাষ করে প্রান্তিক কৃষকেরা নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলতে পারবেন।

চন্দ্রঘোনা ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রাহুল তালুকদার জানান, প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে একটি সমিতি গঠন করা হবে এবং খালের দুই পাশে সামাজিক বনায়ন করতে পারবেন কৃষকেরা। এ ছাড়া মৎস্য চাষ করতে পারবেন যে কেউ।

চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, পানির অভাবে এ এলাকায় ইরি মৌসুমে ধান চাষ হতো না। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ইরিসহ তিনবার ধান ফলাতে ও অন্যান্য প্রান্তিক ফসলের চাষ করতে পারবেন কৃষক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত