Ajker Patrika

স্ত্রী ও শ্যালিকার সম্পর্কের বলি প্রবাসী মামুন

নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা
আপডেট : ২০ জুন ২০২২, ১১: ০৩
স্ত্রী ও শ্যালিকার সম্পর্কের বলি প্রবাসী মামুন

উত্তরখানে স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের জেরে খুন হন প্রবাসী মো. মামুন। হত্যাকাণ্ডে মামুনের স্ত্রী আসমা আক্তার আসমিন, শ্যালিকা কুলসুম আক্তার, আসমার বন্ধু আল আমিন ও কুলসুমের বন্ধু সাইফুল ইসলাম মিঠু জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উত্তরখানের চানপাড়া এলাকার আব্দুল ওহাবের বাড়িতে ৬ জুন রাতে মামুনকে হত্যা করা হয়। নিহত ব্যক্তির বড় ভাই কামাল হোসেন বাদী হয়ে ১২ জুন দিবাগত রাতে পরস্পর যোগসাজশে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় মামুনের স্ত্রী আসমা, শ্যালিকা কুলসুম আক্তারসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

ওসি আব্দুল মজিদ বলেন, নিহত মামুন সৌদি আরব প্রবাসী। তাঁর স্ত্রী, দুই সন্তান ও শ্যালিকা চানপাড়ার মার্তৃছায়া ভবনের নিচতলায় থাকতেন। এদিকে ভবনটির চতুর্থ তলায় থাকতেন আল আমিন ও সাইফুল ইসলাম মিঠু নামের দুই ভাই। স্বামী দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় আসমার সঙ্গে আল আমিনের এবং শ্যালিকা কুলসুমের সঙ্গে সাইফুলের বন্ধুত্ব হয়। এদিকে পাঁচ বছর পর ৫ জুন দেশে আসেন মামুন। স্ত্রী ও শ্যালিকার বিষয়ে জানতে পারলে পরদিন তাঁদের ঝগড়া হয়। ওই রাতেই দুই সন্তানকে চতুর্থ তলায় পাঠিয়ে পরিকল্পিতভাবে মামুনকে খুন করেন। পরে উত্তরার আইচি হাসপাতালে নেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করলে লাশ নেওয়া হয় গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার হাটাশ গ্রামে। লাশ গোসলের সময় গলায় ফাঁসের দাগ ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে বাঙ্গরাবাজার থানা-পুলিশকে জানানো হয়। বাঙ্গরাবাজার থানা-পুলিশ বিষয়টি উত্তরখান থানা-পুলিশকে জানায়। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়।

ওসি আব্দুল মজিদ বলেন, মামলা হলে ১৩ জুন বাঙ্গরাবাজার থেকে আসমা ও কুলসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন পুলিশ আসমাকে এক দিনের রিমান্ডে পেলেও তিনি স্বীকারোক্তি দেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত