পীরগঞ্জ প্রতিনিধি
সমতল অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণে পশুপালন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। পীরগঞ্জ উপজেলায় এই প্রকল্পের সুফলভোগীদের নাম তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে ঘুষ নেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
পীরগঞ্জের আট ইউনিয়নে প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন ৭৫ জন। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়ন হওয়া এই প্রকল্পে সুফলভোগী পরিবার নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি আর পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। প্রত্যেক সুফলভোগীকে প্যাকেজভিত্তিক অনুদান পেতে গুনতে হয়েছে নগদ ছয় থেকে ১০ হাজার টাকা। যাঁরা টাকা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তাঁদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পে প্রত্যেকের জন্য একটি শংকর জাতের বকনা গরু, ১২৫ কেজি গো-খাদ্য, শেড তৈরির জন্য চারটি টিন, চারটি আরসিসি পিলার ও ১৯০টি ইট এবং একটি সাইনবোর্ড বরাদ্দ রয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সুফলভোগী পরিবার নির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কিংবা সদস্যকে না জানিয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নেতা চৈত্রকোল ইউনিয়নের খালিশা গ্রামের আগষ্টিন মিনজিকে দায়িত্ব দেয়। তিনি সরকারি সব নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অসহায় ও হতদরিদ্রদের বাদ দিয়ে নিজের নামসহ তাঁর ছোট ভাই ও নিকটাত্মীয়দের নাম তালিকাভুক্ত করেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ কোনো প্রকার তদারকি বা যাচাই-বাছাই না করে ওই তালিকা অনুমোদন করে।
উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের ছিলিমপুর গ্রামে গিয়ে কথা হয় সুফলভোগী ফ্রান্সিস কুজুর, স্বপন টপ্য, সিলিউস টপ্য ও পাছকাল টপ্য এবং খালিশা গ্রামের রবিন মিনজি, বেনেদী কুজুর, শ্যামল কুজুর, সুবল কুজুর ও পাসকাল মিনজির সঙ্গে। তাঁরা দাবি করেন, আগষ্টিন মিনজি উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের ‘বসকে ম্যানেজ’ করার কথা বলে তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ছয় থেকে ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। তাঁরা অনুদান পেতে ধারদেনা ও সংসারের মূল্যবান জিনিস বিক্রি করে সেই টাকা দিয়েছেন।
অন্যদিকে খালিশা গ্রামের নির্মল খালকো, মাইকেল খালকো, ফাতেমা রাণী হাসদা, সোমরা কেরকাটা ও বিরসা কেরকাটা অভিযোগ করেন, আগষ্টিন মিনজির নিকটাত্মীয় না হওয়ায় এবং তাঁর দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় তাঁরা প্রকল্পের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
এ বিষয়ে আগষ্টিন মিনজি প্রথমে কথা বলতে না চাইলেও পরে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে কেন টাকা নেওয়া হলো সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘টাকা লেনদেনের বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগ করলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রকল্পের সুফলভোগীদের নামভুক্তি সঠিকভাবে তদারকি না করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম কার্যালয়ের লোকবল সংকটকে দায়ী করেন।
সমতল অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণে পশুপালন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। পীরগঞ্জ উপজেলায় এই প্রকল্পের সুফলভোগীদের নাম তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে ঘুষ নেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
পীরগঞ্জের আট ইউনিয়নে প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন ৭৫ জন। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়ন হওয়া এই প্রকল্পে সুফলভোগী পরিবার নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি আর পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। প্রত্যেক সুফলভোগীকে প্যাকেজভিত্তিক অনুদান পেতে গুনতে হয়েছে নগদ ছয় থেকে ১০ হাজার টাকা। যাঁরা টাকা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তাঁদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পে প্রত্যেকের জন্য একটি শংকর জাতের বকনা গরু, ১২৫ কেজি গো-খাদ্য, শেড তৈরির জন্য চারটি টিন, চারটি আরসিসি পিলার ও ১৯০টি ইট এবং একটি সাইনবোর্ড বরাদ্দ রয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সুফলভোগী পরিবার নির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কিংবা সদস্যকে না জানিয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নেতা চৈত্রকোল ইউনিয়নের খালিশা গ্রামের আগষ্টিন মিনজিকে দায়িত্ব দেয়। তিনি সরকারি সব নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অসহায় ও হতদরিদ্রদের বাদ দিয়ে নিজের নামসহ তাঁর ছোট ভাই ও নিকটাত্মীয়দের নাম তালিকাভুক্ত করেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ কোনো প্রকার তদারকি বা যাচাই-বাছাই না করে ওই তালিকা অনুমোদন করে।
উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের ছিলিমপুর গ্রামে গিয়ে কথা হয় সুফলভোগী ফ্রান্সিস কুজুর, স্বপন টপ্য, সিলিউস টপ্য ও পাছকাল টপ্য এবং খালিশা গ্রামের রবিন মিনজি, বেনেদী কুজুর, শ্যামল কুজুর, সুবল কুজুর ও পাসকাল মিনজির সঙ্গে। তাঁরা দাবি করেন, আগষ্টিন মিনজি উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের ‘বসকে ম্যানেজ’ করার কথা বলে তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ছয় থেকে ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। তাঁরা অনুদান পেতে ধারদেনা ও সংসারের মূল্যবান জিনিস বিক্রি করে সেই টাকা দিয়েছেন।
অন্যদিকে খালিশা গ্রামের নির্মল খালকো, মাইকেল খালকো, ফাতেমা রাণী হাসদা, সোমরা কেরকাটা ও বিরসা কেরকাটা অভিযোগ করেন, আগষ্টিন মিনজির নিকটাত্মীয় না হওয়ায় এবং তাঁর দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় তাঁরা প্রকল্পের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
এ বিষয়ে আগষ্টিন মিনজি প্রথমে কথা বলতে না চাইলেও পরে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে কেন টাকা নেওয়া হলো সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘টাকা লেনদেনের বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগ করলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রকল্পের সুফলভোগীদের নামভুক্তি সঠিকভাবে তদারকি না করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম কার্যালয়ের লোকবল সংকটকে দায়ী করেন।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
৩ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪