Ajker Patrika

জটে থমকে থাকে যান হেঁটে চলাও দুষ্কর

মো. মামুনুর রহমান, টাঙ্গাইল
Thumbnail image

টাঙ্গাইল পৌরশহরে যানজটে নাকাল এলাকাবাসী। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, সড়কের ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা চলাচলে বেড়েছে ভোগান্তি। 
এদিকে কী পরিমাণ অটোরিকশা শহরে চলাচল করছে, এর সঠিক হিসাব নেই সংশ্লিষ্টদের কাছে। তবে যানজটের দুর্ভোগ কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ চান পৌরবাসী।

পুলিশ, যাত্রী ও সংশ্লিষ্টরা জানান, টাঙ্গাইল শহরের অধিকাংশ মার্কেটে পার্কিং ব্যবস্থা না থাকা, অতিরিক্ত অটোরিকশা চলাচল, অদক্ষ অটোচালক, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও ইউ টার্নই যানজটের অন্যতম কারণ।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে টাঙ্গাইলে প্রথমবারের মতো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল শুরু হয়। ২০১১ সালে অটোরিকশা নিবন্ধন দেওয়া শুরু করে পৌর কর্তৃপক্ষ। ২০১৮ সালে নিবন্ধিত অটোরিকশা সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ হাজার। ২০২০ সালের শেষের দিকে আরও ১ হাজার ৩০০ অটোরিকশার নিবন্ধন দেওয়া হয়। ওই সময় যানজট নিরসন এবং শহরে অটো চলাচল নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে নিবন্ধিত অটোরিকশা সকাল ও বিকেল দুই শিফটে ভাগ করে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। জোড় সংখ্যা নিবন্ধিত অটো সকাল থেকে বেলা দুইটা এবং বিজোড় সংখ্যার নিবন্ধিত অটো বেলা দুইটা থেকে রাত পর্যন্ত চলাচলে নিয়ম করা হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের পর দুই শিফটের নিয়ম তেমন মানা হচ্ছে না। এতে যানজটের মাত্রা প্রকট হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হয় জাফর, সুমন ও মোস্তফা নামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকদের সঙ্গে। তাঁরা জানান, শহরে এখন প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার অটোরিকশা চলাচল করছে। এ ছাড়া সমানসংখ্যক ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে। এখন কেউ শিফটও মানে না। ফলে শহরে সব সময় যানজট লেগে থাকে। এ বিষয়ে তাঁরাও প্রশাসনের পদক্ষেপ চান।

পৌর শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতাল গেট, শামসুল হক তোরণ মোড়, কুমুদিনী কলেজ মোড়, সুপারিবাগান মোড়, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, বড় কালীবাড়ী মোড়, পোস্ট অফিস মোড়, বটতলা, পৌর উদ্যানের সামনে, নিরালা মোড় ও বেবিস্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে দেখা যায় তীব্র যানজট।

শহরের কাগমারী এলাকার মো. শহীদ বলেন, ‘রিকশা ও অটোরিকশার জন্য যাতায়াত করা যায় না। ১০ মিনিটের পথ যেতে কখনো আধা ঘণ্টা সময় লাগে। হেঁটে যাওয়ার ব্যবস্থাও নেই। অধিকাংশ ফুটপাথ রাস্তার পাশের দোকানিরা দখল করে রেখেছেন। পৌর কর্তৃপক্ষের উচিত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।’

টাঙ্গাইলের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) দেলোয়ার হোসেন বলেন, শহরে রাস্তার ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি অটোরিকশা চলাচল করছে। এর ওপর অনুমোদনহীন ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করে কয়েক হাজার। এর চাপে রাস্তায় যানজট লেগেই থাকে। যানজট নিরসনে কাজ করছে যাচ্ছে পুলিশ।

টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক বলেন, শহরবাসীকে যানজটমুক্ত রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে অটোরিকশাগুলোকে দুই শিফটে চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।

অনুমোদনহীন অটোরিকশা শহরে প্রবেশের বিষয়ে মেয়র বলেন, ‘শহরে এসব ইজিবাইক চলাচল করতে দেওয়া হবে না। নিয়ম ভেঙে শহরে কোনো ইজিবাইক প্রবেশ করলেই আটক করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত