Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের ‘সম্ভাব্য যুদ্ধ’ ঠেকাতে আলোচনায় জোর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯: ২৮
যুক্তরাষ্ট্র-চীনের ‘সম্ভাব্য যুদ্ধ’ ঠেকাতে আলোচনায় জোর

বিশ্বশক্তি হিসেবে চীন এখন প্রতিষ্ঠিত একটি নাম। তবে রকেট গতিতে বিকাশমান দেশটির গতিপথ কোন দিকে, তা স্পষ্ট নয়। বিশেষত জৌলুশ হারাতে বসা বর্তমানের প্রধান বিশ্বশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক ভবিষ্যতে কেমন হবে, তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।

প্রায় চার দশক ধরে চীনের বিকাশ পর্যবেক্ষণ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষক ডেভিড শামবাঘ। হংকংভিত্তিক গণমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রধান বার্তা সম্পাদক ইয়নডন লাতনের সঙ্গে সম্প্রতি শামবাঘের ভিডিও আলোচনা হয়েছে। এতে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে।

শামবাঘ মনে করেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো সময় অপ্রত্যাশিতভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। এ শঙ্কাকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। এ ধরনের বিপর্যয় এড়াতে হলে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা জোরদার করতে হবে।

চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে অদূরে অবস্থিত তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ মনে করে চীন। যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ানের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ায় ২০১৮ সাল থেকে দ্বীপটির ওপার সামরিক চাপ বাড়িয়েছে চীন। ২০২১ সালে তাইওয়ানের আকাশসীমায় সাড়ে নয় শ’-এর বেশি যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশ করে। আগের বছর তা ছিল ৩৮০।

তাইওয়ানের নিরাপত্তা ইস্যুর পাশাপাশি হংকংয়ে চীনের হস্তক্ষেপ, উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘন, দক্ষিণ-চীন সাগরে আধিপত্য বৃদ্ধি ইত্যাদি নিয়ে চীনের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা। চীনের উত্থান ঠেকাতে বিভিন্ন ধরনের সামরিক ও অর্থনৈতিক তৎপরতাও চালাচ্ছে তারা। এসব চাপে মরিয়া হয়ে নিজেদের শক্তি প্রকাশ করছে চীন।

শামবাঘ বলেন, যতই হম্বিতম্বি করুক, ইউরোপ বা অস্ট্রেলিয়া চীনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না। তাই চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রেরই যুদ্ধ লাগার শঙ্কা সব চেয়ে বেশি। কিন্তু চরম বিপর্যয়ে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য যে ধরনের ব্যবস্থা থাকা দরকার, তা চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নেই।

রাশিয়া থেকে শিক্ষা চীনা কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে শামবাঘ বলেন, সোভিয়েত রাশিয়ার পতন থেকে চীনকে শিক্ষা নিতে হবে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে ইতিমধ্যে সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তাই আত্মশুদ্ধি ও আরও শক্তিশালী হওয়ার জন্যই তাদের এটা দরকার।

শামবাঘ বলেন, ক্ষমতা গ্রহণ করে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং দুর্নীতিবিরোধী যে অভিযান শুরু করেছিলেন, তা বেশ কার্যকর হয়েছে। তাঁর শাসনামলে পার্টি শক্তিশালী হয়েছে। সি’র অনেক পদক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এখনো পর্যন্ত তাঁর ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে।

তবে নিজেদের বর্তমান অগ্রগতির ধারা পরবর্তী ১০ বছর জারি রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের প্রধান শক্তিগুলোর সঙ্গে সব ধরনের দরজা খোলা রাখতে হবে চীনকে। সোভিয়েত রাশিয়ার ভুলের পুনরাবৃত্তি করা থেকে সাবধান থাকতে হবে। এটা সারা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন শামবাঘ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত