Ajker Patrika

পরকীয়ার জেরে কয়রায় মা-বাবা ও মেয়ে হত্যা

খুলনা ও কয়রা প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৪৯
পরকীয়ার জেরে কয়রায় মা-বাবা ও মেয়ে হত্যা

কয়রার বামিয়া গ্রামে আর্থিক লেনদেন ও পরকীয়া সম্পর্কের জেরে বাবা-মা ও মেয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ মামলার অন্যতম আসামি আব্দুর রশিদ গাজী আদালতে এ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মাহবুব হাসান তাঁর কার্যালয়ে এসব কথা বলেন।

পুলিশ সুপার বলেন, ট্রিপল হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি আব্দুর রশিদ গাজী। আরও ছয় আসামি বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে রয়েছে। তিনি বলেন, রশিদ গাজী খুব চতুর। একেক সময় একেক তথ্য উপাত্ত দিচ্ছেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। টিম ওয়ার্ক ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাকে ৮ জানুয়ারি যশোরের অভয়নগর থেকে আটক করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক এ মামলায় আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

তারা হলেন-মো. সাইফুল ইসলাম বাবলু (৪৫), আল-আমিন হোসেন (৩৪), আসলাম সর্দার (৪৭), আব্দুল ওহাব হক (৫৭), তাসলিমা (৪৭), শামিমুল ইসলাম অঞ্জন (৫০), মোস্তফা কামাল (৩২)।

স্বীকারোক্তিতে রশিদ জানিয়েছে, মামলার অপর আসামি জিয়া ও রাজিয়া সুলতানার অবৈধ সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় হাবিবকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করা হয়। ওই দিন রাত ১২টার দিকে জিয়া ও সামসুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হাবিব, তার স্ত্রী বিউটি ও কন্যা হাবিবা সুলতানা টুনির হাত পা বেঁধে ফেলে। পরে স্ত্রী ও কন্যাকে ধর্ষণ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয়। হত্যাকাণ্ডের সময় ছয়জন আসামি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। জিয়া ও রাজিয়া নিহতদের প্রতিবেশী। এ দুজন আগে থেকেই কারাগারে আছেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, নিহত হাবিবুরের সঙ্গে অন্য আসামিদের আর্থিক লেনদেন ছিল। এটাও হত্যার একটি কারণ। হত্যাকাণ্ডের পর তাদের পানিতে ফেলে দেওয়ার কারণে ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়ে যায়। মামলার অন্য আসামিদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ অক্টোবর রাত ৯টা থেকে পরেরদিন সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে তাদের হত্যা করা হয়। ২৬ অক্টোবর স্থানীয় আব্দুল মাজেদের বাড়ির পাশে একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় হাবিবুর রহমান, তার স্ত্রী বিউটি ও কন্যা হাবিবা সুলতানা টুনির (১২) লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের স্বজন কোহিনুর বেগম থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত