নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা ছবি বেশ ভাইরাল। যে ট্রফিটা একবার ছুঁয়ে দেখার জন্য আজীবন অপেক্ষা করে থাকেন ক্রিকেটাররা, সেই বিশ্বকাপ ট্রফির ওপর দুই পা রেখে সোফায় বসে আছেন মিচেল মার্শ! হাতে পানীয়র বোতল।
বিশ্বকাপ জয়ের পর ট্রফি মাথায় তুলে উল্লাস করতে দেখা যায় খেলোয়াড়দের। ট্রফিতে খেলোয়াড়দের চুমু দেওয়াটাও নিয়মিত ঘটনা। কিন্তু ট্রফির ওপর দুই পা তুলে আয়েশি ভঙ্গিতে মার্শের বসে থাকাটা নানা প্রশ্ন তুলেছে নেটিজেনদের মনে। যেন অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার বোঝাতে চেয়েছেন, বিশ্বকাপ ট্রফি তাঁদের জন্য এ আর এমন কী!
সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার। আগেই পাঁচটি ট্রফি জেতে অস্ট্রেলিয়া; এবার জিতেছে ষষ্ঠ শিরোপা। মার্শের সেই অঙ্গভঙ্গি যতই সমালোচনায় বিদ্ধ হোক, বিশ্বজুড়ে প্রশংসায় ভাসছে কিন্তু টিম অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা অ্যাডাম গিলক্রিস্ট এক্সে লিখেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়া দলকে নিয়ে খুবই গর্বিত। যে আবহে যেমন করে তারা আরেকটি বিশ্বকাপ জিতেছে, আমি এটাকে আমাদের ক্রীড়া ইতিহাসের অন্যতম সেরা জয়ের স্বীকৃতি দেব।’
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক হকলি বলেছেন, ‘প্যাট কামিন্স ও তার দলের আরেকটি অসাধারণ অর্জন এটা। তারা কঠিন কন্ডিশনে টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত খেলা একটি দলের বিপক্ষে অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে।’ আগের পাঁচটি বিশ্বকাপের চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার এই অর্জনকেই এগিয়ে রাখছেন নিকলি, ‘এ ম্যাচের আগে টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকা ভারতকে তাদের সমর্থকদের সামনে হারানোটা খুব সহজেই অস্ট্রেলিয়ার আগের পাঁচটি বিশ্বকাপ জয়ের চেয়ে এগিয়ে থাকবে।’
মাইকেল ভনও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন প্যাট কামিন্সকে। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক বলছেন, ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ জয়, সেটিও মাঠভরা গ্যালারিতে ভারতকে হারিয়ে, ‘বিরুদ্ধ স্রোতের বিপরীতে আমার দেখা সবচেয়ে অবিশ্বাস্য বিশ্বকাপ জয়।’
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর পাকিস্তান দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়া বাবর আজম অস্ট্রেলিয়াকে অভিনন্দন জানিয়ে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘অভিনন্দন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে কী দাপুটে পারফরম্যান্স!’ দলটির তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি অবশ্য শুধু অস্ট্রেলিয়াকেই অভিনন্দন জানাননি, সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টাও করেছেন ভারতকে, ‘বিশ্বকাপ শিরোপা জেতার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে অভিনন্দন। নিশ্চিতভাবে তারাই আজকে সেরা দল ছিল। ভাগ্য সহায় ছিল না ভারতের; কিন্তু দলটি টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ খেলেছে।’
পাকিস্তানের সাবেক গতি তারকা শোয়েব আখতার লিখেছেন, ‘যে দলটি ভারতকে থামাতে পারত, তারাই তাদের থামিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া তাদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জিতেছে। তারা কিছু না কিছু ঠিকঠাক করেছে, যে কারণে তারা এতগুলো বিশ্বকাপ জিততে পেরেছে। তবে প্রথমে বলতে হয় ভারতের কথা। তারা কিন্তু ভাগ্যের সহায়তায় এত দূর আসেনি। তারা লড়াই করে এবং খেলে এত দূর এসেছে।’
অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়াতেও উঠে এসেছে কামিন্সদের বন্দনা। দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড বিশ্বকাপ জয়কে অস্ট্রেলিয়ার জন্য স্মরণীয় এক মুহূর্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ভারতের মাটিতে ভারতকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার দলের সাফল্যকে ‘অবিশ্বাস্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছে দ্য নিউজ। কুরিয়ার মেইল লিখেছে, ‘অস্ট্রেলিয়ার ভারত জয়, তাতে বিশ্বজয়ও।’
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো ছিল না। টানা দুটি হারে শুরু করার পর প্যাট কামিন্স বলেছিলেন, তাঁদের পরের প্রতিটি ম্যাচই ফাইনাল এবং সব ম্যাচই জিততে হবে তাঁদের। কথা রেখেছেন কামিন্স। পরের সব ম্যাচ তো জিতেছেনই, আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে সমুদ্রের নীল গর্জন থামিয়ে শিরোপা জিতে দেখিয়েছেন—ফাইনাল কীভাবে জিততে হয়!
শুরুতেই রোহিতের মারমুখী ব্যাটিং কিংবা নিজেদের ব্যাটিংয়ে ৫০ রানের আগেই ৩ উইকেট খুইয়ে ফেলা—কোনো কিছুতেই ভড়কে যায়নি অস্ট্রেলিয়া। আর এটা সম্ভব হয়েছে গ্রুপ পর্বে স্নায়ুর পরীক্ষা দিয়ে তাদের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আসার কারণেই। শিরোপা-নির্ধারণী ম্যাচে তাই সেরাটাই দিতে পেরেছেন তাঁরা। ফাইনাল শেষে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক কামিন্স যথার্থই বললেন, ‘মনে হয়েছে, শেষের জন্যই সেরাটা জমিয়ে রেখেছিলাম আমরা।’
অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা ছবি বেশ ভাইরাল। যে ট্রফিটা একবার ছুঁয়ে দেখার জন্য আজীবন অপেক্ষা করে থাকেন ক্রিকেটাররা, সেই বিশ্বকাপ ট্রফির ওপর দুই পা রেখে সোফায় বসে আছেন মিচেল মার্শ! হাতে পানীয়র বোতল।
বিশ্বকাপ জয়ের পর ট্রফি মাথায় তুলে উল্লাস করতে দেখা যায় খেলোয়াড়দের। ট্রফিতে খেলোয়াড়দের চুমু দেওয়াটাও নিয়মিত ঘটনা। কিন্তু ট্রফির ওপর দুই পা তুলে আয়েশি ভঙ্গিতে মার্শের বসে থাকাটা নানা প্রশ্ন তুলেছে নেটিজেনদের মনে। যেন অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার বোঝাতে চেয়েছেন, বিশ্বকাপ ট্রফি তাঁদের জন্য এ আর এমন কী!
সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার। আগেই পাঁচটি ট্রফি জেতে অস্ট্রেলিয়া; এবার জিতেছে ষষ্ঠ শিরোপা। মার্শের সেই অঙ্গভঙ্গি যতই সমালোচনায় বিদ্ধ হোক, বিশ্বজুড়ে প্রশংসায় ভাসছে কিন্তু টিম অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা অ্যাডাম গিলক্রিস্ট এক্সে লিখেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়া দলকে নিয়ে খুবই গর্বিত। যে আবহে যেমন করে তারা আরেকটি বিশ্বকাপ জিতেছে, আমি এটাকে আমাদের ক্রীড়া ইতিহাসের অন্যতম সেরা জয়ের স্বীকৃতি দেব।’
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক হকলি বলেছেন, ‘প্যাট কামিন্স ও তার দলের আরেকটি অসাধারণ অর্জন এটা। তারা কঠিন কন্ডিশনে টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত খেলা একটি দলের বিপক্ষে অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে।’ আগের পাঁচটি বিশ্বকাপের চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার এই অর্জনকেই এগিয়ে রাখছেন নিকলি, ‘এ ম্যাচের আগে টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকা ভারতকে তাদের সমর্থকদের সামনে হারানোটা খুব সহজেই অস্ট্রেলিয়ার আগের পাঁচটি বিশ্বকাপ জয়ের চেয়ে এগিয়ে থাকবে।’
মাইকেল ভনও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন প্যাট কামিন্সকে। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক বলছেন, ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ জয়, সেটিও মাঠভরা গ্যালারিতে ভারতকে হারিয়ে, ‘বিরুদ্ধ স্রোতের বিপরীতে আমার দেখা সবচেয়ে অবিশ্বাস্য বিশ্বকাপ জয়।’
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর পাকিস্তান দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়া বাবর আজম অস্ট্রেলিয়াকে অভিনন্দন জানিয়ে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘অভিনন্দন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে কী দাপুটে পারফরম্যান্স!’ দলটির তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি অবশ্য শুধু অস্ট্রেলিয়াকেই অভিনন্দন জানাননি, সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টাও করেছেন ভারতকে, ‘বিশ্বকাপ শিরোপা জেতার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে অভিনন্দন। নিশ্চিতভাবে তারাই আজকে সেরা দল ছিল। ভাগ্য সহায় ছিল না ভারতের; কিন্তু দলটি টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ খেলেছে।’
পাকিস্তানের সাবেক গতি তারকা শোয়েব আখতার লিখেছেন, ‘যে দলটি ভারতকে থামাতে পারত, তারাই তাদের থামিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া তাদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জিতেছে। তারা কিছু না কিছু ঠিকঠাক করেছে, যে কারণে তারা এতগুলো বিশ্বকাপ জিততে পেরেছে। তবে প্রথমে বলতে হয় ভারতের কথা। তারা কিন্তু ভাগ্যের সহায়তায় এত দূর আসেনি। তারা লড়াই করে এবং খেলে এত দূর এসেছে।’
অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়াতেও উঠে এসেছে কামিন্সদের বন্দনা। দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড বিশ্বকাপ জয়কে অস্ট্রেলিয়ার জন্য স্মরণীয় এক মুহূর্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ভারতের মাটিতে ভারতকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার দলের সাফল্যকে ‘অবিশ্বাস্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছে দ্য নিউজ। কুরিয়ার মেইল লিখেছে, ‘অস্ট্রেলিয়ার ভারত জয়, তাতে বিশ্বজয়ও।’
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো ছিল না। টানা দুটি হারে শুরু করার পর প্যাট কামিন্স বলেছিলেন, তাঁদের পরের প্রতিটি ম্যাচই ফাইনাল এবং সব ম্যাচই জিততে হবে তাঁদের। কথা রেখেছেন কামিন্স। পরের সব ম্যাচ তো জিতেছেনই, আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে সমুদ্রের নীল গর্জন থামিয়ে শিরোপা জিতে দেখিয়েছেন—ফাইনাল কীভাবে জিততে হয়!
শুরুতেই রোহিতের মারমুখী ব্যাটিং কিংবা নিজেদের ব্যাটিংয়ে ৫০ রানের আগেই ৩ উইকেট খুইয়ে ফেলা—কোনো কিছুতেই ভড়কে যায়নি অস্ট্রেলিয়া। আর এটা সম্ভব হয়েছে গ্রুপ পর্বে স্নায়ুর পরীক্ষা দিয়ে তাদের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আসার কারণেই। শিরোপা-নির্ধারণী ম্যাচে তাই সেরাটাই দিতে পেরেছেন তাঁরা। ফাইনাল শেষে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক কামিন্স যথার্থই বললেন, ‘মনে হয়েছে, শেষের জন্যই সেরাটা জমিয়ে রেখেছিলাম আমরা।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫