বাকৃবি প্রতিনিধি
‘বাংলাদেশে মাছ চাষে ওষুধের যেমন ব্যবহার রয়েছে, তেমনি অপব্যবহারও হয় ব্যাপক পরিমাণে। অধিকাংশ ওষুধ ব্যবহার করা হয় পানির গুণাগুণ রক্ষা এবং রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধে। অথচ মাছ চাষে ওষুধের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থা বা সরকারি তদারকি না থাকায় বেসরকারি সংস্থাগুলোর অদক্ষ জনবল নিয়েই পরিচালিত হচ্ছে এই খাত। এর ফলে অতিরিক্ত ওষুধ ব্যবহারে পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ও খাদ্যনিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়ছে।’
‘মাছ চাষে ওষুধের ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়ন’ শীর্ষক একটি গবেষণা শেষে এসব তথ্য দিয়েছেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক। প্রকল্পটির আওতায় গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সভাকক্ষে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এমন তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
গবেষক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, বাংলাদেশে চাষিরা ঘনঘন মাছের রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই রোগ নিরাময়ে ওষুধের ব্যবহার অপরিহার্য। কিন্তু ওষুধের সঠিক ব্যবহারবিধি না জানা, সামাজিক প্রেক্ষাপট ও প্রভাবকগুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকায় মাছ চাষে ওষুধের ব্যাপক অপব্যবহার হচ্ছে। এর ফলে পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়ছে।’
ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে মাছ চাষে ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে ৬১ শতাংশ সঠিক ডোজ ব্যবহার করে এবং ৮২ শতাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসার সঠিক সময়সীমা মেনে ওষুধ ব্যবহার করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুকুরের পানি ও মাটি ব্যবস্থাপনায় এসব ওষুধ প্রয়োগ করা হয় বিধায় ওষুধের প্রোবায়োটিকস কার্যকারিতা সবচেয়ে কম। তাই এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের চাষিদের কাছে ওষুধের ভ্যালু চেইন ম্যাপ তৈরি, বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে ওষুধের ব্যবহার নিশ্চিত করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়।’
অধ্যাপক মাহফুজুল হক জানান, প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহ জেলার তিনটি উপজেলায় জরিপ করা হয়। মৎস্যচাষি, দোকানমালিক, কোম্পানির এজেন্ট ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছ চাষে ওষুধের অপব্যবহারের প্রধান সমস্যা তিনটি। এগুলো হলো শিক্ষার অভাব, আইনের দুর্বল বাস্তবায়ন ও রোগ নির্ণয়ে অপ্রতুলতা। মাছচাষিরা ওষুধের প্রাপ্যতা, আগ্রহ ও পছন্দের ক্ষেত্রে দোকানদারদের ইচ্ছা ও পছন্দ দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়। এ কারণে ভালো মানের মাছ উৎপাদনে তরল ওষুধের যথার্থ প্রয়োগ, ওষুধশিল্প পর্যবেক্ষণে জাতীয় নীতি প্রণয়ন এবং ব্যবহারবিধি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাছচাষি ও দোকানমালিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ওপর তিনি জোর দেন।
বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) পরিচালক ড. মো. খলিলুর রহমান, মৎস্য অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগ উপপরিচালক ড. মো. আফতাব হোসেন প্রমুখ।
‘বাংলাদেশে মাছ চাষে ওষুধের যেমন ব্যবহার রয়েছে, তেমনি অপব্যবহারও হয় ব্যাপক পরিমাণে। অধিকাংশ ওষুধ ব্যবহার করা হয় পানির গুণাগুণ রক্ষা এবং রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধে। অথচ মাছ চাষে ওষুধের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থা বা সরকারি তদারকি না থাকায় বেসরকারি সংস্থাগুলোর অদক্ষ জনবল নিয়েই পরিচালিত হচ্ছে এই খাত। এর ফলে অতিরিক্ত ওষুধ ব্যবহারে পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ও খাদ্যনিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়ছে।’
‘মাছ চাষে ওষুধের ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়ন’ শীর্ষক একটি গবেষণা শেষে এসব তথ্য দিয়েছেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক। প্রকল্পটির আওতায় গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সভাকক্ষে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এমন তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
গবেষক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, বাংলাদেশে চাষিরা ঘনঘন মাছের রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই রোগ নিরাময়ে ওষুধের ব্যবহার অপরিহার্য। কিন্তু ওষুধের সঠিক ব্যবহারবিধি না জানা, সামাজিক প্রেক্ষাপট ও প্রভাবকগুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকায় মাছ চাষে ওষুধের ব্যাপক অপব্যবহার হচ্ছে। এর ফলে পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়ছে।’
ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে মাছ চাষে ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে ৬১ শতাংশ সঠিক ডোজ ব্যবহার করে এবং ৮২ শতাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসার সঠিক সময়সীমা মেনে ওষুধ ব্যবহার করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুকুরের পানি ও মাটি ব্যবস্থাপনায় এসব ওষুধ প্রয়োগ করা হয় বিধায় ওষুধের প্রোবায়োটিকস কার্যকারিতা সবচেয়ে কম। তাই এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের চাষিদের কাছে ওষুধের ভ্যালু চেইন ম্যাপ তৈরি, বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে ওষুধের ব্যবহার নিশ্চিত করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়।’
অধ্যাপক মাহফুজুল হক জানান, প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহ জেলার তিনটি উপজেলায় জরিপ করা হয়। মৎস্যচাষি, দোকানমালিক, কোম্পানির এজেন্ট ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছ চাষে ওষুধের অপব্যবহারের প্রধান সমস্যা তিনটি। এগুলো হলো শিক্ষার অভাব, আইনের দুর্বল বাস্তবায়ন ও রোগ নির্ণয়ে অপ্রতুলতা। মাছচাষিরা ওষুধের প্রাপ্যতা, আগ্রহ ও পছন্দের ক্ষেত্রে দোকানদারদের ইচ্ছা ও পছন্দ দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়। এ কারণে ভালো মানের মাছ উৎপাদনে তরল ওষুধের যথার্থ প্রয়োগ, ওষুধশিল্প পর্যবেক্ষণে জাতীয় নীতি প্রণয়ন এবং ব্যবহারবিধি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাছচাষি ও দোকানমালিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ওপর তিনি জোর দেন।
বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) পরিচালক ড. মো. খলিলুর রহমান, মৎস্য অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগ উপপরিচালক ড. মো. আফতাব হোসেন প্রমুখ।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫