ডা. মো. আরমান বিন আজিজ
ডেঙ্গু ভাইরাস বা ডেঙ্গি ভাইরাস হলো ফ্ল্যাভিভাইরিডি পরিবার ও ফ্ল্যাভিভাইরাসদের অন্তর্ভুক্ত মশাবাহিত এক সূত্রক আরএনএ ভাইরাস। এটি ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী।
ডেঙ্গু জ্বরের সময়
সাধারণত মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত, বিশেষ করে গরম ও বর্ষার সময় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে। শীতকালে সাধারণত এই জ্বর হয় না। তবে অপরিচ্ছন্নতা ও অব্যবস্থাপনার দরুন বর্তমানে কমবেশি সারা বছরই এর প্রকোপ বেড়ে চলেছে।
কাদের বেশি হয়
সাধারণত শহর অঞ্চলে, অভিজাত এলাকায়, বড় বড় দালানকোঠায় এডিস মশার প্রাদুর্ভাব বেশি। তাই ডেঙ্গু জ্বরও সেসব এলাকার বাসিন্দাদের বেশি হয়। ডেঙ্গু ভাইরাস চার ধরনের। তাই ডেঙ্গু জ্বরও চারবার হতে পারে। তবে যারা আগেও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে রোগটি হলে সেটি মারাত্মক হওয়ার ঝুঁকি থাকে; বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়।
ডেঙ্গুর লক্ষণ
ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। তবে এই জ্বর সাধারণত নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। তাই উপসর্গ অনুযায়ী সাধারণ চিকিৎসাই যথেষ্ট।
কয়েক বছর হলো লিভার আক্রান্ত হওয়া ডেঙ্গু জ্বরের নতুন উপসর্গ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এতে রোগী দুর্বল বোধ করে, খেতে পারে না, বমি হয়, লিভার ব্যথা করে। এটি সাধারণত জ্বর কমে যাওয়ার পরপর দেখা দেয় এবং পাঁচ থেকে সাত দিন থাকতে পারে। ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোম ডেঙ্গুর দুটি জটিল অবস্থা। এ দুটির কারণে কখনো কখনো প্রাণ সংশয় হতে পারে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন
ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। তাই উপসর্গ অনুযায়ী সাধারণ চিকিৎসাই যথেষ্ট। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
যেমন,
কী কী পরীক্ষা করা দরকার
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু জ্বর হলে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দরকার নেই। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু পরীক্ষা করানো দরকার হতে পারে। এগুলোর মধ্যে সিবিসি ও প্লাটিলেট পরীক্ষা, ডেঙ্গু অ্যান্টিবডির পরীক্ষা অন্যতম। জ্বরের চার থেকে পাঁচ দিন পর এ পরীক্ষাগুলো করাতে হবে। তবে চিকিৎসক চাইলে এসজিপিটি, এসজিওটি, এলকালাইন ফসফাটেজ, প্রোথ্রোম্বিন টাইম, এপিটিটি, ডি-ডাইমার ইত্যাদি পরীক্ষাও করাতে হতে পারে।
যা করতে হবে
প্রতিরোধই সর্বোত্তম ব্যবস্থা
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হলো এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা করা।
লেখক: চক্ষুরোগ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সাবেক ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও প্রশিক্ষক, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
ডেঙ্গু ভাইরাস বা ডেঙ্গি ভাইরাস হলো ফ্ল্যাভিভাইরিডি পরিবার ও ফ্ল্যাভিভাইরাসদের অন্তর্ভুক্ত মশাবাহিত এক সূত্রক আরএনএ ভাইরাস। এটি ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী।
ডেঙ্গু জ্বরের সময়
সাধারণত মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত, বিশেষ করে গরম ও বর্ষার সময় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে। শীতকালে সাধারণত এই জ্বর হয় না। তবে অপরিচ্ছন্নতা ও অব্যবস্থাপনার দরুন বর্তমানে কমবেশি সারা বছরই এর প্রকোপ বেড়ে চলেছে।
কাদের বেশি হয়
সাধারণত শহর অঞ্চলে, অভিজাত এলাকায়, বড় বড় দালানকোঠায় এডিস মশার প্রাদুর্ভাব বেশি। তাই ডেঙ্গু জ্বরও সেসব এলাকার বাসিন্দাদের বেশি হয়। ডেঙ্গু ভাইরাস চার ধরনের। তাই ডেঙ্গু জ্বরও চারবার হতে পারে। তবে যারা আগেও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে রোগটি হলে সেটি মারাত্মক হওয়ার ঝুঁকি থাকে; বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়।
ডেঙ্গুর লক্ষণ
ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। তবে এই জ্বর সাধারণত নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। তাই উপসর্গ অনুযায়ী সাধারণ চিকিৎসাই যথেষ্ট।
কয়েক বছর হলো লিভার আক্রান্ত হওয়া ডেঙ্গু জ্বরের নতুন উপসর্গ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এতে রোগী দুর্বল বোধ করে, খেতে পারে না, বমি হয়, লিভার ব্যথা করে। এটি সাধারণত জ্বর কমে যাওয়ার পরপর দেখা দেয় এবং পাঁচ থেকে সাত দিন থাকতে পারে। ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোম ডেঙ্গুর দুটি জটিল অবস্থা। এ দুটির কারণে কখনো কখনো প্রাণ সংশয় হতে পারে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন
ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। তাই উপসর্গ অনুযায়ী সাধারণ চিকিৎসাই যথেষ্ট। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
যেমন,
কী কী পরীক্ষা করা দরকার
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু জ্বর হলে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দরকার নেই। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু পরীক্ষা করানো দরকার হতে পারে। এগুলোর মধ্যে সিবিসি ও প্লাটিলেট পরীক্ষা, ডেঙ্গু অ্যান্টিবডির পরীক্ষা অন্যতম। জ্বরের চার থেকে পাঁচ দিন পর এ পরীক্ষাগুলো করাতে হবে। তবে চিকিৎসক চাইলে এসজিপিটি, এসজিওটি, এলকালাইন ফসফাটেজ, প্রোথ্রোম্বিন টাইম, এপিটিটি, ডি-ডাইমার ইত্যাদি পরীক্ষাও করাতে হতে পারে।
যা করতে হবে
প্রতিরোধই সর্বোত্তম ব্যবস্থা
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হলো এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা করা।
লেখক: চক্ষুরোগ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সাবেক ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও প্রশিক্ষক, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪