Ajker Patrika

কুলের দাম কম, আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষি

গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ২৮
Thumbnail image

ডুমুরিয়ায় অসময়ে ঝড়-বৃষ্টি, বাজারদর কম ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে কুল চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকেরা। ফলে লোকসানের ঘানি টানতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১০০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শোভনা ব্লকে সবচেয়ে বেশি কুল চাষ করা হয়েছে। ফলন ভালো হলে প্রতি হেক্টরে ৮ মেট্রিক টন কুল উৎপন্ন হয়ে থাকে।

শোভনা পশ্চিম পাড়ার কুলচাষী আলমগীর মোড়ল বলেন, আমি ৩ একর জমিতে ২২০টি দেশি জাতের কুল ও ১২০টি আপেল কুল চাষ করেছি। ফলনও খুব ভালো হয়েছে। এ পর্যন্ত সার, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিক খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। কিন্তু গত ২–৩ বছর ধরে বাজারে এর চাহিদা ও দর খুবই কম থাকায় উৎপাদন খরচও উঠছে না।

একই অভিযোগ ইনতাজ খান, হারুন শেখ, ওয়াদুদ সরদারসহ আরও অনেক চাষির। তারা বলেন, গত সপ্তাহে ঝড়বৃষ্টির কারণে গাছের অনেক ফল ঝরে গেছে। তা ছাড়া এখন মাত্র ২০ টাকা কেজি দরে কুল বিক্রি করতে হচ্ছে। অথচ খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কুল ৮০–৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার ব্যবস্থাপনা ভালো না থাকায় এবং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে আমরা কুল চাষে আর আগ্রহ পাচ্ছি না।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোছাদ্দেক হোসেন জানান, এ বছর কুলের দাম কম থাকায় কুল চাষিদের লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

আশির দশকে এ অঞ্চলে কুল চাষ শুরু হয়। সে সময় শখের বশে প্রতি বাড়িতে ১–২টি কুল গাছ দেখা যেত। পরবর্তীতে বাজারে কুলের চাহিদা এবং এটি একটি লাভজনক ফসল জেনে প্রথমে শোভনা পশ্চিম পাড়ার প্রয়াত যশোর আলী খান ওরফে চেনিখান বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ করে সাফল্য পান। তাকে অনুসরণ করে পরবর্তীতে ওই এলাকার অনেকেই কুল চাষে ঝুঁকে পড়েন।

পরে উঁচু জমি ও মৎস্য ঘেরের ভেড়িতে ব্যাপকভাবে এর চাষ শুরু হয়। প্রতিদিন ব্যবসায়ীরা এ এলাকার কুল শোভনা বটতলা মোড়, আড়ুয়াখালী, বালুইঝাকি, বড়বিল ওয়াপদা মোড় থেকে ৪–৫টি পিকআপ বোঝাই করে খুলনা, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠান। কিন্তু সম্প্রতি বাজারে এর চাহিদা ও দর কম থাকায় উৎপাদন খরচও উঠছে না চাষিদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত