শরীয়তপুর প্রতিনিধি
পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে ৭ ঘণ্টা বন্ধ ছিল মাঝিরঘাট-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল। স্রোত কিছুটা কমলে গতকাল সোমবার ভোর ৫টা থেকে সীমিত পরিসরে এ নৌপথে যানবাহন পারাপার শুরু হয়। তবে এরই মধ্যে ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ জট লেগে যায়। এতে বৃষ্টির মধ্যেও শরীয়তপুরের জাজিরায় মাঝিরঘাটে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে পদ্মায় পানি বাড়ছে। এতে নদীতে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া পানির চাপে নদীর তলদেশে ঘুর্ণন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে স্রোতের বিপরীতে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে রাতে ফেরি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে গত রোববার রাত পৌনে দশটার দিকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
ঘাটে অপেক্ষমাণ যানবাহনকে বিকল্প সড়ক হিসেবে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌপথ ব্যবহার করতে অনুরোধ করা হয়। সকালে স্রোত কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় দিনের আলোয় ফেরি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভোর ৫টার দিকে শিমুলিয়া থেকে ফেরি কুঞ্জলতা মাঝিরঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। সকাল ৬টার দিকে ফেরিটি মাঝিরঘাটে নোঙর করে। বর্তমানে এই ঘাটে থাকা ৭টি ফেরিতে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে নদীর স্রোতের বিপরীতে চলাচল করতে প্রতিটি ফেরির সময় লাগছে প্রায় দ্বিগুণ।
এ দিকে দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় মাঝিরঘাটে আটকা পড়েছে ২ শতাধিক যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন। ১ নম্বর ঘাটের পন্টুনের সামনে থেকে শরীয়তপুর-মাঝিরঘাট সড়কে প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার রাতে ফেরি চলাচল বন্ধের ঘোষণায় ব্যক্তিগত যানবাহনের অধিকাংশ চালকেরা বিকল্প সড়কে চলে গেলেও রাতভর অপেক্ষা করতে দেখা গেছে পণ্যবাহী যানবাহনকে। রাতে বৃষ্টিতে ভিজে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে আটকে পড়া যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের।
সোমবার দুপুরে মাঝিরঘাট ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, মাঝিরঘাট-শরীয়তপুর সড়কের দেড় কিলোমিটার জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। গত রাত থেকে আটকে থাকা অনেক পণ্যবাহী যানবাহন দুপুর পর্যন্ত ফেরিতে ওঠার সিরিয়ার পায়নি। রাতে বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে অনেকের মূল্যবান জিনিসপত্র। নদীর তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচলে ধীর গতির কারণে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বরিশাল থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে পরিবারসহ মাঝিরঘাটে আটকা পড়া ইলিয়াস ঢালী বলেন, ‘গতকাল (রোববার) বিকেলে ঘাটে এসেছি। রাতে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ ফেরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই রাতে পরিবার নিয়ে অন্য পথে যাওয়ার সাহস পাইনি। সারা রাত রাস্তায় অপেক্ষায় থেকেছি। সকালে ফেরি চলাচল শুরু হলে ফেরিতে ওঠার সিরিয়াল পেয়েছি। সারা রাত পরিবার নিয়ে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।’
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট থেকে মাছ নিয়ে আটকা পড়া আকতার হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যায় ঘাটে আইয়া দেহি অনেক যানজট। তর ওপর রাইতে ফেরি বন্ধ কইরা রাখছিল। আগে জানলে এইহান দিয়া আইতামনা। সকালতোন আবার ফেরি চলতাছে। যেই যানজট তৈরি অইছে তাতে কখন সিরিয়াল পাই কইতে পারি না। তাড়াতাড়ি পার হইতে না পারে মাছ সব নষ্ট হইয়া যাইব।’
সকালে মাঝিরঘাটে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মেহেদী হাসান বলেন, ‘রাতে ফেরি বন্ধ থাকায় সড়ক জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে গেছে। রাতে অনেক গাড়ি বিকল্প সড়কে চলে গেছে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকলে দুপুরের মধ্যে ঘাট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
বেগম সুফিয়া কামাল ফেরির মাস্টার হাসান ইমাম জানান, নদীতে স্রোত অনেক বেশি। মাঝ নদীতে ফেরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই কষ্ট হয়। তার ওপর মাঝিরঘাটের সরু পাইনপাড়া চ্যানেলের মুখে ফেরির নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হয়। তা ছাড়া স্রোতের বিপরীতে নদী পার হতে সময়ও লাগে অনেক বেশি।
পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে ৭ ঘণ্টা বন্ধ ছিল মাঝিরঘাট-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল। স্রোত কিছুটা কমলে গতকাল সোমবার ভোর ৫টা থেকে সীমিত পরিসরে এ নৌপথে যানবাহন পারাপার শুরু হয়। তবে এরই মধ্যে ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ জট লেগে যায়। এতে বৃষ্টির মধ্যেও শরীয়তপুরের জাজিরায় মাঝিরঘাটে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে পদ্মায় পানি বাড়ছে। এতে নদীতে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া পানির চাপে নদীর তলদেশে ঘুর্ণন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে স্রোতের বিপরীতে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে রাতে ফেরি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে গত রোববার রাত পৌনে দশটার দিকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
ঘাটে অপেক্ষমাণ যানবাহনকে বিকল্প সড়ক হিসেবে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌপথ ব্যবহার করতে অনুরোধ করা হয়। সকালে স্রোত কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় দিনের আলোয় ফেরি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভোর ৫টার দিকে শিমুলিয়া থেকে ফেরি কুঞ্জলতা মাঝিরঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। সকাল ৬টার দিকে ফেরিটি মাঝিরঘাটে নোঙর করে। বর্তমানে এই ঘাটে থাকা ৭টি ফেরিতে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে নদীর স্রোতের বিপরীতে চলাচল করতে প্রতিটি ফেরির সময় লাগছে প্রায় দ্বিগুণ।
এ দিকে দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় মাঝিরঘাটে আটকা পড়েছে ২ শতাধিক যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন। ১ নম্বর ঘাটের পন্টুনের সামনে থেকে শরীয়তপুর-মাঝিরঘাট সড়কে প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার রাতে ফেরি চলাচল বন্ধের ঘোষণায় ব্যক্তিগত যানবাহনের অধিকাংশ চালকেরা বিকল্প সড়কে চলে গেলেও রাতভর অপেক্ষা করতে দেখা গেছে পণ্যবাহী যানবাহনকে। রাতে বৃষ্টিতে ভিজে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে আটকে পড়া যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের।
সোমবার দুপুরে মাঝিরঘাট ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, মাঝিরঘাট-শরীয়তপুর সড়কের দেড় কিলোমিটার জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। গত রাত থেকে আটকে থাকা অনেক পণ্যবাহী যানবাহন দুপুর পর্যন্ত ফেরিতে ওঠার সিরিয়ার পায়নি। রাতে বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে অনেকের মূল্যবান জিনিসপত্র। নদীর তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচলে ধীর গতির কারণে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বরিশাল থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে পরিবারসহ মাঝিরঘাটে আটকা পড়া ইলিয়াস ঢালী বলেন, ‘গতকাল (রোববার) বিকেলে ঘাটে এসেছি। রাতে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ ফেরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই রাতে পরিবার নিয়ে অন্য পথে যাওয়ার সাহস পাইনি। সারা রাত রাস্তায় অপেক্ষায় থেকেছি। সকালে ফেরি চলাচল শুরু হলে ফেরিতে ওঠার সিরিয়াল পেয়েছি। সারা রাত পরিবার নিয়ে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।’
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট থেকে মাছ নিয়ে আটকা পড়া আকতার হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যায় ঘাটে আইয়া দেহি অনেক যানজট। তর ওপর রাইতে ফেরি বন্ধ কইরা রাখছিল। আগে জানলে এইহান দিয়া আইতামনা। সকালতোন আবার ফেরি চলতাছে। যেই যানজট তৈরি অইছে তাতে কখন সিরিয়াল পাই কইতে পারি না। তাড়াতাড়ি পার হইতে না পারে মাছ সব নষ্ট হইয়া যাইব।’
সকালে মাঝিরঘাটে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মেহেদী হাসান বলেন, ‘রাতে ফেরি বন্ধ থাকায় সড়ক জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে গেছে। রাতে অনেক গাড়ি বিকল্প সড়কে চলে গেছে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকলে দুপুরের মধ্যে ঘাট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
বেগম সুফিয়া কামাল ফেরির মাস্টার হাসান ইমাম জানান, নদীতে স্রোত অনেক বেশি। মাঝ নদীতে ফেরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই কষ্ট হয়। তার ওপর মাঝিরঘাটের সরু পাইনপাড়া চ্যানেলের মুখে ফেরির নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হয়। তা ছাড়া স্রোতের বিপরীতে নদী পার হতে সময়ও লাগে অনেক বেশি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪