Ajker Patrika

পরিত্যক্ত নারকেলের মালায় শৌখিন পণ্য

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৪৬
Thumbnail image

চুয়াডাঙ্গায় পরিত্যক্ত নারকেলের মালা দিয়ে তৈরি হচ্ছে শৌখিন পণ্য। পাখির বাসা, সাবান দানি, ল্যাম্প সেট, লবণ রাখা পাত্র, শোপিস, গয়না, তৈজসপত্র, ফুলদানি, নৌকা, কলমদানি, হারিকেন, কেটলি, চামচ, কাপসহ প্রায় ২৫০ রকমের পণ্য বানানো হচ্ছে। দেশের বাজারে চাহিদা মিটিয়ে এসব পণ্য রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে।

নারকেলের মালা দিয়ে হস্তশিল্প তৈরি করছেন তরুণ উদ্যোক্তা, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ি পাড়ার বাসিন্দা খালিদ বিন ওয়ালিদ। তিনি পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় একটি কোর্স ছিল পরিবেশ রসায়ন। সেই থেকেই মাথায় চিন্তা আসে পরিবেশ নিয়ে কিছু একটা করতে হবে। এরপর থেকে শুরু পরিবেশবান্ধব পণ্য নিয়ে কাজ করার। গবেষণা, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে চলা, তথ্য সংগ্রহ করে সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করেন। এরপর সাতগাড়ি এলাকায় গড়ে তোলেন বড় একটি কারখানা।

ওয়ালিদ কারখানায় হস্তশিল্পের পণ্য তৈরির কাজের জন্য সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র গ্রামের কাঠমিস্ত্রি আলামিন হোসেনকে প্রস্তাব দেন। তাঁকে মালা দিয়ে তৈরি জিনিসপত্র তৈরির কাজ দেখানোর জন্য নিয়ে যান বরিশালের বিভিন্ন এলাকায়। সেখান থেকে প্রাথমিক ধারণা নেন কাজের। এরপর অল্প পরিসরে কারখানায় কাজ শুরু হয়। পরে ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের হস্ত শিল্পের কাজগুলো দেখেন।

কারখানা ম্যানেজার সবুজ সাবিদ বলেন, আমাদের উৎপাদিত পণ্যগুলো বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ব্যবসায়ীরা কারখানা থেকে কিনে নিয়ে যান। অনেকে আবার অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার দেন। মালার তৈরি জিনিসের চাহিদা অনেক বেশি।

কারিগর আলামিন বলেন, ‘এ কাজ চোখে দেখে রপ্ত করি। মালিক সঙ্গে করে নিয়ে যান বরিশালে। সেখানকার কারিগরদের কাজ দেখে আসি। ইউটিউব দেখে পণ্য বানাই। ১০ হাজার টাকা বেতন পায় তা দিয়ে ভালোভাবে সংসার চলছে।’

রোদো হ্যান্ডিক্যাফটের পরিচালক ওয়ালিদ বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষা করতে এ উদ্যোগ। নারিকেলের মালা দিয়ে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে দেশে ও বিদেশে বিক্রি করছি। চাহিদা অনেক।  মালা দিয়ে তৈরি উপকরণগুলো দেখতে সুন্দর। প্রথমে লোকসান দিয়ে এ কারখানা চালু করতে হয়। বর্তমানে বিক্রি অনেক ভালো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত