Ajker Patrika

দুপক্ষের তীব্র সংঘর্ষ, ভাঙচুর

ঘাটাইল প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ১৯
দুপক্ষের তীব্র সংঘর্ষ, ভাঙচুর

ঘাটাইলের লোকেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন আগামী রোববার। শেষ মুহূর্তের প্রচারকে কেন্দ্র করে আওয়াম লীগের নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। গত বুধবার রাতে ও গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই দফায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের প্রার্থী শহিদুল হক মিলনের কর্মী-সমর্থকেরা নির্বাচনী প্রচার শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ শরিফ হোসেনের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। নৌকার কর্মীরা এ সময় চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় আহত হন চারজন। তাঁদের উদ্ধার করে রাতেই ভুয়াপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে লোকেরপাড়া ইউপির সামনে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান শরীফ হোসেন তাঁর কর্মীদের নিয়ে বসেছিলেন। এ সময় পরিষদের সামনে দিয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মিলনের মিছিল যাচ্ছিল। একপর্যায়ে নৌকার প্রার্থী ও কর্মীদের দেখে আনারস প্রতীকের কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তাঁরা আগের রাতের ঘটনার জের ধরে হামলা চালান। হামলাকারীরা এ সময় একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে এবং তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় আহত হন ছয়জন। ঘটনার পর পরই উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহত সবাই ভুয়াপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।

এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী শরীফ হোসেন বলেন, ‘আমি ইউপির সামনে কর্মীদের নিয়ে বসেছিলাম। এমন সময় আনারস প্রতীকের মিছিল যাচ্ছিল। হঠাৎ মিছিল থেকে তাঁদের কর্মীরা আমাদের ওপর আক্রমণ চালায় ও মারধর করে। তাঁরা আমার মোটরসাইকেলসহ তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে ও একটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় তাঁরা পরিষদেও ভাঙচুর করে।’

অন্যদিকে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মিলন বলেন, ‘আজ আমাদের পূর্ব নির্ধারিত আখেরি মিছিল ছিল। মিছিলটি ইউপির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আগে থেকে সেখানে থাকা নৌকার কর্মীরা আক্রমণ করে আমাদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং কর্মীদের মারপিট করে। আমিও কোনোরকমে দৌড়ে নিজের প্রাণ বাঁচাই। তাঁরা নিজেরাই নিজেদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সহ্য করা হবে না। অপরাধী যেই হোক তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘উভয় পক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছে। কোনোরকম সহিংসতা বরদাশত করা হবে না। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত