Ajker Patrika

হঠাৎ বন্ধ টিকাকেন্দ্র, হয়রানি

রাজশাহী প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২২, ২২: ৩০
হঠাৎ বন্ধ টিকাকেন্দ্র, হয়রানি

হঠাৎ করেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনার টিকাকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানতে না পেরে হাসপাতালে টিকা নিতে গিয়ে অসংখ্য মানুষ হয়রানির শিকার হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে এখানে আর টিকা দেওয়া হচ্ছে না।

দেশে করোনার টিকা আসার পর থেকেই এই কেন্দ্রে টিকাদান চলছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই কেন্দ্রটি ঠিক করে দেয়। তবে মধ্যে দুবার কেন্দ্রটি অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। তারপর আবার এখানে টিকা দেওয়া হচ্ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এখানে এখন মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরু হবে। তাই টিকা দেওয়া যাবে না।

বৃহস্পতিবার এই কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) শহরের বিভিন্ন স্থানে সাতটি কেন্দ্র চালু করেছে। কেন্দ্রগুলো হলো ৭, ১১, ১৩, ১৫ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র; ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিটি হাসপাতাল। টিকাপ্রত্যাশীরা আগে থেকে এসব কেন্দ্রের বিষয়ে জানতেন না।

রামেক হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয়সংলগ্ন একটি ভবনের নিচতলায় টিকা দেওয়া হতো। গতকাল সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর মানুষ টিকা নিতে এসেছেন। কেউ প্রথম ডোজ, কেউ দ্বিতীয় কিংবা কেউ বুস্টার ডোজ নিতে এসেছেন। তাঁদের টিকা কার্ডে কেন্দ্র হিসেবে রামেক হাসপাতালের নাম লেখা আছে।

তবে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদের বলছেন, এখানে আর টিকা দেওয়া হবে না। নতুন টিকা কেন্দ্রগুলোর নামও বলে দেওয়া হচ্ছিল। তাই সহজে কেউ বুঝছিলেন না। পরে আনসার সদস্যরা হ্যান্ড মাইকে বারবার এ ঘোষণা দিতে থাকেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মানুষ এই কেন্দ্রে এসে ঘুরে গেছেন।

নগরীর কাজলা থেকে টিকা নিতে গিয়েছিলেন রোজিনা খাতুন (৫০)। তিনি বলেন, ‘এত দূর থেকে হাসপাতালে এসে হয়রানির শিকার হলাম। এখানে এসে শুনছি আমাদের এলাকাতেই নাকি টিকা দেওয়া হবে। আগে জানালে এমন হয়রানি হতে হতো না।’

সিটি করপোরেশনের টিকা প্রদান কার্যক্রম মনিটরিং করছেন ডা. ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানিয়েছে যে এখানে পরীক্ষা শুরু হবে। আর টিকা কেন্দ্র রাখা যাবে না। তাদের কথামতো আমরা ওয়ার্ড পর্যায়ে সরিয়ে নিয়েছি।’

ফরহাদ হোসেন আরও জানান, হাসপাতালে রোজ ১১টি বুথে চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষ টিকা নিতেন। ছাদের নিচে অনেক বড় জায়গায় এসব মানুষ দাঁড়াতে পারতেন। এখন ছোট ছোট জায়গায় কোনোমতে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১১টি বুথ এখন ৭টি কেন্দ্র হয়েছে। টিকা নিতে মানুষকে এখন রাস্তায় রোদে লাইনে দাঁড়াতে হবে।

সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যে রামেক হাসপাতাল থেকে আমাদের টিকা কেন্দ্র সরিয়ে নিতে হয়েছে। আগে সেখানে একই ছাদের নিচে টিকা দেওয়া হচ্ছিল বলে জনবল কম লাগছিল। এখন অতিরিক্ত জনবল জোগাড় করতে সমস্যা হচ্ছে। তাও মানুষের হয়রানি কমাতে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা চাইলে আরও কেন্দ্র বৃদ্ধি করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়ার তেল কেনা স্থগিত করল চীন

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি-পদোন্নতির ক্ষমতা পাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্ট

চীনের সহায়তায় বিদ্রোহীদের কাছে হারানো অঞ্চল আবার দখলে নিচ্ছে মিয়ানমার

এলাকার খবর
Loading...