Ajker Patrika

সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে সাবাড়

মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ৩৬
সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে সাবাড়

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উত্তর হারবাং এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কয়েক হাজার গাছ কেটে সাবাড় করার অভিযোগ উঠেছে। বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় একটি প্রভাবশালী চক্র বনের আকাশমণিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে পাচার করেছে বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের চুনতি রেঞ্জের হারবাং বন বিটের উত্তর হারবাং করমমুহুরীর লম্বা ঘোনা এলাকায় বন বিভাগের ১৫০ একর আয়তনের সৃজিত আকাশমণিবাগান রয়েছে। ওই বাগান থেকে প্রকাশ্যে এক মাস ধরে গাছ কাটা হচ্ছে। এলাকার প্রভাবশালী আবদুল মালেক ও নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে এই বনের গাছ লুট হচ্ছে।

এ নিয়ে স্থানীয় লোকজন বন বিভাগে গাছ উজাড়ের তথ্য দিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগী একজন বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানানো হলে এই তথ্য গাছ লুটকারীদের কাছে পৌঁছে যায়।

যোগাযোগ করা হলে নিজে গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেন আবদুল মালেক। তিনি বলেন, ‘আমি গাছ ব্যবসায় জড়িত। গাছ কাটার সঙ্গে এলাকার কিছু ছেলে রয়েছে। সেখানে নাছিরের পাঁচ একর বাগান থেকে আমি গাছ কিনেছি বলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে।’ বন বিভাগের জমি নাছিরের কীভাবে হলো, জানতে চাইলে মালেক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন গাছ কাটার বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, সেখানে কিছু পাহাড়ের জমি নিয়ে বন বিভাগের সঙ্গে সমস্যা হয়েছে।

বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট বিটের কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান। তিনি হারবাং বনবিট ও চুনতি রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তার দায়িত্ব রয়েছেন। এই কর্মকর্তার সঙ্গে গত মঙ্গলবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার কথা হয়। তিনি মঙ্গলবার গাছ সাবাড় ও এতে তাঁদের সহযোগিতার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন।

তবে গতকাল শাহীনুর রহমান গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বন বিভাগের জবরদখলে যাওয়া কিছু পাহাড় থেকে গাছ কাটা গেছে। এসব বন জবরদখলকারীরা সৃজন করেছেন।

রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান আরও বলেন, ১১ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৩০০ ঘনফুট গাছ জব্দ করা হয়েছে। গাছ পাচারে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দু-এক দিন আগে বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। ইতিমধ্যে গাছ কাটা বন্ধ হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

বন বিভাগের চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) বিপুল কৃষ্ণ দাস বলেন, খোঁজ নিয়ে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাচারের অর্থে দুবাইয়ে মেয়ের ৪৫ কোটি টাকার ফ্ল্যাট—অভিযোগ নিয়ে যা বললেন গভর্নর

সুধা সদন এখন কিশোর গ্যাং ও মাদকসেবীর আখড়া

যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের শতকোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এখন বৈঠকে রাজি নন

ভোলায় বিএনপির ৮ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত