Ajker Patrika

ল্যাম্পপোস্ট খোলা নিয়ে মুখোমুখি সিসিক ও কারা কর্তৃপক্ষ

সিলেট প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২২, ১৩: ২৯
Thumbnail image

নগরীর ধোপাদিঘিপাড়ে ‘বিউটিফিকেশন অব ধোপাদিঘী’ ওয়াকওয়ের ল্যাম্পপোস্ট নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) ও কারা কর্তৃপক্ষ। গতকাল ল্যাম্পপোস্টটি খুলে ফেলাকে কেন্দ্র করে বিষয়টি সামনে আসে।

সিসিক বলছে, নগরীর ধোপাদিঘিপাড়ে ‘বিউটিফিকেশন অব ধোপাদিঘি’ ওয়াকওয়ের ল্যাম্পপোস্ট খুলে ফেলেছেন কারা কর্তৃপক্ষের কর্মচারীরা। তবে কী কারণে খুলে ফেলা হয়েছে তা জানা যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

অন্যদিকে কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, কারাগারের সীমানায় একটি ল্যাম্পপোস্টের খুঁটি বসানো হয়েছে। খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কোনো খুঁটি খুলে ফেলার ঘটনা ঘটেনি।

ধোপাদিঘী সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। দখল-দূষণে হারিয়ে যাওয়া ধোপাদিঘি উদ্ধার করে ভারত সরকারের অর্থায়নে নান্দনিক ওয়াকওয়ে তৈরি করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। গত মাসে সরকারের দুই মন্ত্রী ও ভারতীয় হাইকমিশনার প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করেন। পরিত্যক্ত দিঘিকে দৃষ্টিনন্দন করতে বাঁধানো হয় একাধিক ঘাঁট ও স্থাপন করা হয় দৃষ্টিনন্দন ল্যাম্পপোস্ট। তবে গতকাল হঠাৎ করেই ল্যাম্পপোস্ট খুলে ফেলে কারা কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ওয়াকওয়েতে। খবর পেয়ে ওয়াকওয়েতে ছুটে আসেন সিসিক মেয়র ও কাউন্সিলররা।

ওয়াকওয়ে পরিদর্শন শেষে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সকালে হঠাৎ করে কারা পুলিশ এসে ওয়াকওয়ের ল্যাম্পপোস্ট ভাঙচুর করে। এখানে কাজে থাকা শ্রমিকেরা বিষয়টি আমাদের জানালে দ্রুত চলে আসি। আমি বিষয়টি সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি।’

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘আমরা কোনো খুঁটি খুলে ফেলিনি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। মেয়র মহোদয়ের সঙ্গেও কথা বলেছি। তাঁরা আর এখানে কোনো স্থাপনা করবেন না। প্রয়োজনে আমাদের অবগত করবেন।’

এ বিষয়ে সিলেটের ডিআইজি প্রিজন্স মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘ধোপাদিঘি পাড়সংলগ্ন কিছু জায়গা কারা কর্তৃপক্ষের আওতাধীন রয়েছে। কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের জায়গা অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান যদি নিতে চায় তবে আলোচনার মাধ্যমে নিতে হয়। আমাদের সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ এখনো কিছু আসামি কারাগারে আছে। কারাগারের কার্যক্রম সেখানে চলমান। সেই জায়গায় কোনো স্থাপনা তৈরি করতে হলে অবশ্যই সরকারে অনুমতি লাগবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত