জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
পূর্বাঞ্চলে নতুন করে ৯৪টি লেভেল ক্রসিং অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব ক্রসিংয়ে গেটম্যান নিয়োগ দিলেও সিগন্যাল সিস্টেম দেখাশোনা করার জন্য মেইনটেইনার সিগন্যাল (এমএস) নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে সিগন্যাল অকেজো বা নষ্ট হলে দুই-তিন দিন পর জানতে পারছে রেলের সংকেত বিভাগ। এতে বিপদ বাড়ছে রেলের। এসব গেটে ট্রেন আসছে কিনা সাধারণ মানুষেরাও বুঝে উঠতে পারেন না। ফলে দুর্ঘটনার শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
রেলওয়ের সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগ জানায়, রেলপথে দুই ধরনের লেভেল ক্রসিং থাকে। একটি হলো ইন্টারলক সিস্টেম, অন্যটি নন-ইন্টারলক। ইন্টারলক ক্রসিংয়ে গেটম্যান বার (ব্যারিয়ার) ফেলানোর পর ট্রেন চালককে সিগন্যাল দেন। এ সিগন্যাল পেয়ে ট্রেন ক্রসিংগুলো পার হয়। নন-ইন্টারলক ক্রসিংয়ে ট্রেন আসার আগে জনসাধারণের জন্য দুই পাশে সিগন্যাল দিয়ে সতর্ক করা হয় যে, ট্রেন আসছে। এসব গেটে ট্রেন তার নিজস্ব গতিতে চলে যাবে।
গত শুক্রবার মিরসরাইয়ে খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেন ও পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসে সংঘর্ষে ১১ জন মারা যান। ওই ক্রসিং ছিল নন-ইন্টারলক সিস্টেম। গেটম্যান না থাকায় বারও ফেলা হয়নি, সাধারণ মানুষের সতর্ক হওয়ার জন্য সিগন্যালও দেওয়া হয়নি। ফলে ট্রেন আসছে কিনা তা বুঝতে পারেননি ওই পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের চালক।
‘রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পূর্বাঞ্চলে নতুন করে ৯৪টি লেভেল ক্রসিংয়ের অনুমোদন দেয়। ক্রসিংগুলো নন-ইন্টারলক এবং সোলার সিস্টেম। এসব ক্রসিংয়ে গেটম্যান নিয়োগ দেওয়া হলেও এমএস নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে সিগন্যাল সিস্টেম নষ্ট বা অকেজো হলে দেখাশোনা করার জন্য লোক নেই রেলের।
অনুমোদন পাওয়া নতুন লেভেল ক্রসিংয়ের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯, চট্টগ্রামে ৬২ এবং সিলেটসহ অন্যান্য জায়গায় ১৩টি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নন-ইন্টারলক সিস্টেমে দুই ধরনের সমস্যা। এই সিস্টেমটি সোলার সিস্টেম হওয়ায় বর্ষা বা শীতকালে সিগন্যাল চালু থাকে না। আরেকটি হলো এখানকার গেটম্যানরা আগের গেটম্যান থেকে জানতে পারে যে ট্রেন আসছে। তখন গেটম্যান বার ফেলে এবং সিগন্যাল চালু করে।
কোনো কারণে গেট না ফেললেও বাতি জ্বললে সাধারণ মানুষ সতর্ক হতে পারত। কিন্তু এসব গেটে এমএস না থাকায় সিগন্যাল সিস্টেম ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, তা জানতে পারছে না রেলওয়ে। অনেক গেটে সিগন্যাল সিস্টেম অকেজো হওয়ার দু-তিন দিন পর সংকেত বিভাগ জানতে পারছে। এর মধ্যে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সংকেত বিভাগের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরো পূর্বাঞ্চলে এমএস আছে মাত্র ৬২ জন। এরাই চালু ১৬৭টি স্টেশনের পাশাপাশি চার শর বেশি লেভেল ক্রসিং সিগন্যাল সিস্টেম দেখাশোনা করতে হচ্ছে। অথচ প্রতিটি স্টেশনে কম করে হলেও পাঁচজন এমএস দরকার।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী সুশীল কুমার হালদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এমএসের বিষয়ে জিএমসহ মন্ত্রণালয়ে অনেকবার বলা হয়েছে। প্রতিটি গেটে এমএস থাকলে সিগন্যাল সিস্টেম নিয়ে আর কোনো চিন্তা করতে হতো না।
পূর্বাঞ্চলে নতুন করে ৯৪টি লেভেল ক্রসিং অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব ক্রসিংয়ে গেটম্যান নিয়োগ দিলেও সিগন্যাল সিস্টেম দেখাশোনা করার জন্য মেইনটেইনার সিগন্যাল (এমএস) নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে সিগন্যাল অকেজো বা নষ্ট হলে দুই-তিন দিন পর জানতে পারছে রেলের সংকেত বিভাগ। এতে বিপদ বাড়ছে রেলের। এসব গেটে ট্রেন আসছে কিনা সাধারণ মানুষেরাও বুঝে উঠতে পারেন না। ফলে দুর্ঘটনার শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
রেলওয়ের সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগ জানায়, রেলপথে দুই ধরনের লেভেল ক্রসিং থাকে। একটি হলো ইন্টারলক সিস্টেম, অন্যটি নন-ইন্টারলক। ইন্টারলক ক্রসিংয়ে গেটম্যান বার (ব্যারিয়ার) ফেলানোর পর ট্রেন চালককে সিগন্যাল দেন। এ সিগন্যাল পেয়ে ট্রেন ক্রসিংগুলো পার হয়। নন-ইন্টারলক ক্রসিংয়ে ট্রেন আসার আগে জনসাধারণের জন্য দুই পাশে সিগন্যাল দিয়ে সতর্ক করা হয় যে, ট্রেন আসছে। এসব গেটে ট্রেন তার নিজস্ব গতিতে চলে যাবে।
গত শুক্রবার মিরসরাইয়ে খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেন ও পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসে সংঘর্ষে ১১ জন মারা যান। ওই ক্রসিং ছিল নন-ইন্টারলক সিস্টেম। গেটম্যান না থাকায় বারও ফেলা হয়নি, সাধারণ মানুষের সতর্ক হওয়ার জন্য সিগন্যালও দেওয়া হয়নি। ফলে ট্রেন আসছে কিনা তা বুঝতে পারেননি ওই পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের চালক।
‘রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পূর্বাঞ্চলে নতুন করে ৯৪টি লেভেল ক্রসিংয়ের অনুমোদন দেয়। ক্রসিংগুলো নন-ইন্টারলক এবং সোলার সিস্টেম। এসব ক্রসিংয়ে গেটম্যান নিয়োগ দেওয়া হলেও এমএস নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে সিগন্যাল সিস্টেম নষ্ট বা অকেজো হলে দেখাশোনা করার জন্য লোক নেই রেলের।
অনুমোদন পাওয়া নতুন লেভেল ক্রসিংয়ের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯, চট্টগ্রামে ৬২ এবং সিলেটসহ অন্যান্য জায়গায় ১৩টি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নন-ইন্টারলক সিস্টেমে দুই ধরনের সমস্যা। এই সিস্টেমটি সোলার সিস্টেম হওয়ায় বর্ষা বা শীতকালে সিগন্যাল চালু থাকে না। আরেকটি হলো এখানকার গেটম্যানরা আগের গেটম্যান থেকে জানতে পারে যে ট্রেন আসছে। তখন গেটম্যান বার ফেলে এবং সিগন্যাল চালু করে।
কোনো কারণে গেট না ফেললেও বাতি জ্বললে সাধারণ মানুষ সতর্ক হতে পারত। কিন্তু এসব গেটে এমএস না থাকায় সিগন্যাল সিস্টেম ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, তা জানতে পারছে না রেলওয়ে। অনেক গেটে সিগন্যাল সিস্টেম অকেজো হওয়ার দু-তিন দিন পর সংকেত বিভাগ জানতে পারছে। এর মধ্যে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সংকেত বিভাগের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরো পূর্বাঞ্চলে এমএস আছে মাত্র ৬২ জন। এরাই চালু ১৬৭টি স্টেশনের পাশাপাশি চার শর বেশি লেভেল ক্রসিং সিগন্যাল সিস্টেম দেখাশোনা করতে হচ্ছে। অথচ প্রতিটি স্টেশনে কম করে হলেও পাঁচজন এমএস দরকার।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী সুশীল কুমার হালদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এমএসের বিষয়ে জিএমসহ মন্ত্রণালয়ে অনেকবার বলা হয়েছে। প্রতিটি গেটে এমএস থাকলে সিগন্যাল সিস্টেম নিয়ে আর কোনো চিন্তা করতে হতো না।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪