নেই সড়কবাতি, উদ্বেগে শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিভিন্ন সড়কে নেই পর্যাপ্ত সড়কবাতি। যেগুলো আছে তার বেশির ভাগই নষ্ট। আবার কিছু সড়কের বাতিতে নেই পর্যাপ্ত আলো। ফলে সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকার হয়ে যায় ক্যাম্পাসের সড়কগুলো। এ সময়ে সড়কে ভিড় জমায় বহিরাগতরা। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অন্ধকার সড়কে পথ চলতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। অন্ধকারে বহিরাগতদের দ্বারা মাঝে মাঝে ছিনতাইয়ের কবলেও পড়তে হচ্ছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। এ অবস্থায় সড়কবাতি লাগানোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি অবগত আছে জানিয়ে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ইসরাত জাহান বলেন, ‘কেআর মার্কেট, ছাত্রী হল, শহীদ মিনারসংলগ্ন মোড়, হেলথ কেয়ার-এসবের সামনে দিয়ে যে প্রধান সড়ক শেষ মোড়ে চলে গেছে, তার দুই পাশের ল্যাম্পপোস্টগুলোর আলোর মান ভালো নয়। এসব সড়কের পাশে পয়োনিষ্কাশনের নালা রয়েছে। এ কারণে সড়কটি আরও বিপজ্জনক। যেকোনো সময়ই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।’

তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তানিউল করিম জীম বলেন, ‘জব্বার মোড় থেকে পোলট্রির মোড় পর্যন্ত নেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। মাঝে মাঝে কিছু বাতি থাকলেও আলো খুব কম। অন্ধকার সড়কে সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় ভয় কাজ করে। বহিরাগতদের আড্ডা থাকায় টিউশনি শেষ করে অন্ধকারে ফেরার পথে ছিনতাইয়ের ভয় হয়।’

কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আব্দুল জব্বারের মোড় থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হল, ফজলুল হক হল এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে যাওয়া-আসার সড়কগুলোয় নেই পর্যাপ্ত আলো। রাস্তার দুপাশেই রয়েছে জঙ্গল।

এদিকে রাত হলেই ওই সড়কের পাশে বাড়ে শেয়ালের চলাচল। রাতের খাবারসহ বিভিন্ন কাজে শিক্ষার্থীদের এসব সড়কে চলাচল করতে হয়। ফলে তাঁদের সব সময় ভয়ে থাকতে হয়।

এ ছাড়া আব্দুল জব্বারের মোড় থেকে পোলট্রি ও ফিশারিজ মোড় এবং পাগলা বাজারের সড়কেও নেই সড়কবাতি। এতে পুরো সড়ক থাকে অন্ধকার। বাকৃবির বেশির ভাগ শিক্ষার্থী টিউশনির উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য এসব সড়ক ব্যবহার করেন। এসব সড়কে বহিরাগতরা আড্ডা দেওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় থাকেন তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন বলেন, ‘রাস্তায় বাতির বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে সভা করেছি। কমিটিও করা হয়েছে। কোথায় কোথায় বাতি প্রয়োজন, কি পরিমাণ বাতি প্রয়োজন, সে বিষয়ে কমিটি প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া রাস্তার চারপাশ পরিষ্কার করার কাজ চলমান রয়েছে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন জানান, সড়কে বহিরাগতদের আড্ডার বিষয়টি তার জানা ছিল না। পর্যবেক্ষণ করে এ বিষয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।