আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং গত সোমবার সন্ধ্যার পর উপকূলে আঘাত হানে। এর রেশ গতকাল মঙ্গলবার সকালেও ছিল। এর প্রভাবে সৃষ্ট ঝোড়ো হাওয়ায় রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশি ক্ষতি হয়েছে ধানখেতে। অনেকের খেতের ধানগাছ নুয়ে পড়েছে।
আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
ডিমলা: নীলফামারীর ডিমলায় সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি বাড়তে থাকে। এতে বেশ কিছু এলাকার জমির ধানের গাছ হেলে মাটিতে
পড়ে গেছে।
ডিমলা উপজেলার রামডাঙ্গা গ্রামের মাহবুব আলম বলেন, `তিন একর জমিতে আমন আবাদ করেছি। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো বাতাসের কারণে ধান মাটিতে হেলে পড়ায় মাথায় যেন বাজ পড়েছে।’ আরেক কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, `ইতিমধ্যে ধানগাছে শিষ বের হয়ে গেছে। আর কিছুদিনের মধ্যে ধানে পাক ধরত। কিন্তু ঝড়ে আমাদের এলাকার অনেক জমির ধানের গাছ হেলে পড়েছে। হেলে পড়া গাছের ধানে দানা হবে না। আমাদের এই মাঠে শতাধিক বিঘা জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এ উপজেলায় কিছু জমির ধান হেলে পড়েছে। যার পরিমাণ ৫ সেক্টরের মতো হবে।
রৌমারী: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা কৃষি দপ্তরের তথ্যমতে, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ৩২০ জন কৃষকের ৩৭ হেক্টর জমির আমন ধান ও শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে।
তবে সরেজমিন ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, ৫ শতাধিক কৃষকের ১০০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
রৌমারীর দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ধর্মপুর এলাকার কলাচাষি এরশাদ আলী বলেন, ৩ একর জমিতে তিনি কলাগাছ লাগিয়েছেন। ঝড়ে বাগানের বেশ কিছু কলাগাছ ভেঙে গেছে। এতে তাঁর অর্ধলাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
নাগেশ্বরী: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী জমিতে নুয়ে পড়েছে ২১০ হেক্টর জমির ধানগাছ।
পৌরসভার সুখাতী সেনপাড়ার প্রদীপ সরকার, উদয় সেন, হাশেম বাজারের সফিকুল ইসলাম, আব্দুল বাতেন, আহম্মদ আলী, পয়রাডাঙ্গা গ্রামের গজেন চন্দ্র ও মকবুল হোসেন বলেন, `চলতি আমন মৌসুমের শুরুতে সার-তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে চাষের খরচ বেশি হয়েছে। উৎপাদন খরচ ওঠা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় সময় পার করছি আমরা।
ঠিক এ সময়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ধাক্কা। শিষ বের হওয়ার মুহূর্তে এ দমকা বাতাস-বৃষ্টিতে ধানের শিষের ফুল ঝরে গেছে। বাতাসের চাপে জলাবদ্ধ জমিতে নুয়ে পড়েছে ধানগাছ।’
ভূরুঙ্গামারী: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আপেল মাহমুদ বলেন, ২২ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। আরও ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া ক্ষতি কমাতে কৃষকদের জমির আইল কেটে পানি বের করে দেওয়াসহ কয়েক গোছা একত্রিত করে বেঁধে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ভূরুঙ্গামারীর পাইকেরছড়া ইউনিয়নের আব্দুল হালিম বলেন, ‘বাতাসে প্রায় সোয়া বিঘা জমির ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। ধানের শিষ পচন থেকে বাঁচাতে কয়েক গোছা একত্রিত করে বেঁধে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছি।’
নবাবগঞ্জ: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় আমনের পাকা ধানগাছ হেলে পড়েছে। তবে পরদিন থেকে প্রখর রোদ পড়ায় ধানের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। এ নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তা না করতে পরামর্শ দেন তিনি।
ফুলবাড়ী: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, উপজেলায় ৩৬০ হেক্টর জমির ধান নুয়ে পড়েছে। বেশি ক্ষতি এড়াতে ধানখেতের পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি জমিতে লুটিয়ে পড়া ধানগাছ মুঠো করে বেঁধে দিতে হবে। যেসব খেতের ধান আশি ভাগ পেকেছে তা কেটে নেওয়ার জন্য কৃষকদের বলা হচ্ছে।
জানা গেছে, ফুলবাড়ীতে ঘরবাড়ি-গাছপালার ক্ষতি না হলেও উপজেলার নাওডাঙ্গা, শিমুলবাড়ী, ফুলবাড়ী সদর, কাশিপুর, ভাঙ্গামোড় ও বড়ভিটা ইউনিয়নে শিষ বের হওয়া শত শত জমির আমন ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এসব ধানের শিষ পচে নষ্ট হওয়ায় আশঙ্কা করছেন কৃষক। এ ছাড়া দমকা বাতাসে বেগুন, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, লালশাকসহ শাক-সবজির পাতা ছিঁড়ে যাওয়া, হেলে পড়াসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং গত সোমবার সন্ধ্যার পর উপকূলে আঘাত হানে। এর রেশ গতকাল মঙ্গলবার সকালেও ছিল। এর প্রভাবে সৃষ্ট ঝোড়ো হাওয়ায় রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশি ক্ষতি হয়েছে ধানখেতে। অনেকের খেতের ধানগাছ নুয়ে পড়েছে।
আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
ডিমলা: নীলফামারীর ডিমলায় সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি বাড়তে থাকে। এতে বেশ কিছু এলাকার জমির ধানের গাছ হেলে মাটিতে
পড়ে গেছে।
ডিমলা উপজেলার রামডাঙ্গা গ্রামের মাহবুব আলম বলেন, `তিন একর জমিতে আমন আবাদ করেছি। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো বাতাসের কারণে ধান মাটিতে হেলে পড়ায় মাথায় যেন বাজ পড়েছে।’ আরেক কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, `ইতিমধ্যে ধানগাছে শিষ বের হয়ে গেছে। আর কিছুদিনের মধ্যে ধানে পাক ধরত। কিন্তু ঝড়ে আমাদের এলাকার অনেক জমির ধানের গাছ হেলে পড়েছে। হেলে পড়া গাছের ধানে দানা হবে না। আমাদের এই মাঠে শতাধিক বিঘা জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এ উপজেলায় কিছু জমির ধান হেলে পড়েছে। যার পরিমাণ ৫ সেক্টরের মতো হবে।
রৌমারী: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা কৃষি দপ্তরের তথ্যমতে, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ৩২০ জন কৃষকের ৩৭ হেক্টর জমির আমন ধান ও শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে।
তবে সরেজমিন ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, ৫ শতাধিক কৃষকের ১০০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
রৌমারীর দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ধর্মপুর এলাকার কলাচাষি এরশাদ আলী বলেন, ৩ একর জমিতে তিনি কলাগাছ লাগিয়েছেন। ঝড়ে বাগানের বেশ কিছু কলাগাছ ভেঙে গেছে। এতে তাঁর অর্ধলাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
নাগেশ্বরী: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী জমিতে নুয়ে পড়েছে ২১০ হেক্টর জমির ধানগাছ।
পৌরসভার সুখাতী সেনপাড়ার প্রদীপ সরকার, উদয় সেন, হাশেম বাজারের সফিকুল ইসলাম, আব্দুল বাতেন, আহম্মদ আলী, পয়রাডাঙ্গা গ্রামের গজেন চন্দ্র ও মকবুল হোসেন বলেন, `চলতি আমন মৌসুমের শুরুতে সার-তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে চাষের খরচ বেশি হয়েছে। উৎপাদন খরচ ওঠা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় সময় পার করছি আমরা।
ঠিক এ সময়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ধাক্কা। শিষ বের হওয়ার মুহূর্তে এ দমকা বাতাস-বৃষ্টিতে ধানের শিষের ফুল ঝরে গেছে। বাতাসের চাপে জলাবদ্ধ জমিতে নুয়ে পড়েছে ধানগাছ।’
ভূরুঙ্গামারী: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আপেল মাহমুদ বলেন, ২২ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। আরও ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া ক্ষতি কমাতে কৃষকদের জমির আইল কেটে পানি বের করে দেওয়াসহ কয়েক গোছা একত্রিত করে বেঁধে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ভূরুঙ্গামারীর পাইকেরছড়া ইউনিয়নের আব্দুল হালিম বলেন, ‘বাতাসে প্রায় সোয়া বিঘা জমির ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। ধানের শিষ পচন থেকে বাঁচাতে কয়েক গোছা একত্রিত করে বেঁধে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছি।’
নবাবগঞ্জ: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় আমনের পাকা ধানগাছ হেলে পড়েছে। তবে পরদিন থেকে প্রখর রোদ পড়ায় ধানের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। এ নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তা না করতে পরামর্শ দেন তিনি।
ফুলবাড়ী: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, উপজেলায় ৩৬০ হেক্টর জমির ধান নুয়ে পড়েছে। বেশি ক্ষতি এড়াতে ধানখেতের পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি জমিতে লুটিয়ে পড়া ধানগাছ মুঠো করে বেঁধে দিতে হবে। যেসব খেতের ধান আশি ভাগ পেকেছে তা কেটে নেওয়ার জন্য কৃষকদের বলা হচ্ছে।
জানা গেছে, ফুলবাড়ীতে ঘরবাড়ি-গাছপালার ক্ষতি না হলেও উপজেলার নাওডাঙ্গা, শিমুলবাড়ী, ফুলবাড়ী সদর, কাশিপুর, ভাঙ্গামোড় ও বড়ভিটা ইউনিয়নে শিষ বের হওয়া শত শত জমির আমন ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এসব ধানের শিষ পচে নষ্ট হওয়ায় আশঙ্কা করছেন কৃষক। এ ছাড়া দমকা বাতাসে বেগুন, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, লালশাকসহ শাক-সবজির পাতা ছিঁড়ে যাওয়া, হেলে পড়াসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪