Ajker Patrika

টিকা নেয়নি ১১ হাজার শিক্ষার্থী

মিজানুর রহমান নয়ন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া)
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০: ৫৭
টিকা নেয়নি ১১ হাজার শিক্ষার্থী

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসা পর্যায়ের প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থী টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেনি। কিন্তু শুরু হয়েছে সশরীর পাঠদান কার্যক্রম। গত মঙ্গলবার থেকে পাঠদান শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা খুবই কম।

শিক্ষার্থীরা জানায়, জন্মনিবন্ধনের অনলাইন-সংক্রান্ত জটিলতায় তারা দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছে না। এ কারণে স্কুলে যেতে পারছে না তারা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসার সংখ্যা ৮৩টি। এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। এক মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় টিকাগ্রহীতা ও না নেওয়া শিক্ষার্থীর সঠিক পরিসংখ্যান এখনো জানা যায়নি। শিক্ষা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকেরা সংখ্যা নির্ণয়ের কাজ করছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে টিকার প্রথম ডোজের জন্য ২২ হাজার শিক্ষার্থীর একটি তালিকা দেওয়া হয়েছিল। বিপরীতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর টিকাদান সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে টিকার দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার শিক্ষার্থীর। জন্মনিবন্ধনের অনলাইন জটিলতাসহ নানা কারণে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থীর টিকার দ্বিতীয় ডোজ অসম্পন্ন রয়েছে। কিন্তু টিকাদান কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

গত মঙ্গলবার সকাল থেকে গতকাল বেলা ১১টা পর্যন্ত উপজেলার যদুবয়রা, এনায়েতপুর, পান্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কুমারখালী সরকারি বালিক মাধ্যমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, টিকার কার্ড দেখিয়ে, মাস্ক পরে ও স্প্রে করে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছে শিক্ষার্থীরা। টিকা অসম্পন্ন থাকায় মন খারাপ করে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে অনেকে।

মঙ্গলবার দুপুরে যদুবয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক পাঠদান চলছে। পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষক রাকিবুল আলম মামুন। তিনি বলেন, ‘দশম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০। আজ উপস্থিতি মাত্র ৩০ জন।’

পান্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ ওবাইদুল হক দিলু বলেন, দ্বিতীয় দিনে আজ (বুধবার) ৫৫ ভাগ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি রয়েছে।

কুমারখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, ‘দশম শ্রেণিতে ১৫৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৫৩ জন এসেছে। টিকাদান নিশ্চিতে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’

উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘৮৩টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় টিকার সংখ্যা নির্ণয় সম্ভব হয়নি। সার্বিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তবে টিকার কার্ড ছাড়া পাঠদান করানো হচ্ছে না।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আকুল উদ্দিন বলেন, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। তবে জন্মনিবন্ধনে অনলাইন জটিলতায় প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থীর দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হয়নি। তবে টিকাদান চালু রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত