Ajker Patrika

নতুন সম্পদের ৬৭ ভাগই ১%ধনীর হাতে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
নতুন সম্পদের ৬৭ ভাগই ১%ধনীর হাতে

২০২০ সালের পর বিশ্বে নতুন করে তৈরি হওয়া ৪২ ট্রিলিয়ন ডলার সম্পদের দুই-তৃতীয়াংশই গেছে বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ ধনীদের হাতে। দাতব্য সংস্থা অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা গতকাল সোমবার এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

এদিকে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে গতকাল সোমবার শুরু হয়েছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন, যা চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। এতে ৫২টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০০ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অংশ নেওয়ার কথা। সম্মেলনটির প্রাক্কালে দারিদ্র্যবিমোচন ও সুবিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করা সংস্থা অক্সফাম এমন তথ্য তুলে ধরেছে।

‘সারভাইভাল অব দ্য রিচেস্ট (ধনীদের জীবনধারণ)’ শীর্ষক প্রতিবেদনে অক্সফাম জানিয়েছে, ধনকুবেরদের সম্পদ প্রতিদিন গড়ে ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার করে বাড়ছে। অন্যদিকে, ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন কর্মী এমন সব দেশে বসবাস করছে, যেখানে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ তাদের বেতনের চেয়ে বেশি হারে বেড়েই চলেছে।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, পৃথিবীর অনেক দেশ রয়েছে, যেখানে পৈতৃক সম্পত্তির ওপর কর দিতে হয় না। সেসব দেশেই পৃথিবীর অর্ধেক বিলিয়নিয়ারের বসবাস। এতে করে কোটিপতিরা তাঁদের উত্তরসূরিদের জন্য ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদ রেখে যেতে পারবেন, যা পুরো আফ্রিকার জিডিপির চেয়েও বেশি।

অক্সফাম জানায়, বিশ্বের এমন ধনকুবেরদের ওপর ন্যূনতম ৫ শতাংশ কর ধার্য করা হলে প্রতিবছর ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন করা সম্ভবপর হবে, যা দিয়ে বিশ্বের ২ বিলিয়ন মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে পারে।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক গ্যাব্রিয়েলা বুচার আল জাজিরাকে বলেন, এমন তথ্য সত্যিই চমকে যাওয়ার মতো। এটা লজ্জাজনকও বটে। যেখানে সাধারণ মানুষ খাবারের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করতে কঠোর পরিশ্রম করছেন, সেখানে অতিমাত্রায় ধনীরা সম্পদ বাড়াচ্ছেন, যা সাধারণ মানুষের স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী সম্পদ আহরণের মাত্রা ত্বরান্বিত হয়েছে।

ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতারা একত্র হয়ে বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

এ ছাড়া বুচার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর নীতিতে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেন। যাতে করে নাইজেরিয়া কিংবা ভারতের মতো দেশগুলো শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে পারে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত