Ajker Patrika

ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু, দুজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে  ডেঙ্গু, দুজনের মৃত্যু

চট্টগ্রাম নগরীতে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর। চলতি বছরের এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৫ জন। এর মধ্যে অর্ধেকরও বেশি আক্রান্ত হয়েছে চলতি মাসের ২২ দিনে। আর মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। তাদের মধ্যে দুজন মারা যায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে এবং আগের রাতে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াস চৌধুরী জানান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার ভোরে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়।

মারা যাওয়া দুই ব্যক্তি হলেন খুরশিদা বেগম (৭০) ও শিউলি রানি (৪০)। তাঁদের মধ্যে খুরশিদা গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন। অন্যজন শিউলি ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁরা দুজনই নগরের পাহাড়তলী এলাকার বাসিন্দা। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিলআরা বেগম রেশমী (৫০) নামের একজন মারা যান।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক শাহীদা আক্তার বলেন, ‘চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুরশিদা বেগম হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারা যান। শিউলি রানি নামের আরেক রোগী আজ ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।’

সিভিল সার্জন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৫ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৫, ফেব্রুয়ারিতে ১, জুনে ১৭ জন, জুলাইয়ে ৫০, আগস্টে ৭৬ ও সেপ্টেম্বরের ২১ তারিখ পর্যন্ত ২৫৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে এডিস মশা মানুষের জীবন কেড়ে নিলেও উদাসীন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। ফগার মেশিনে অ্যাডাল্টিসাইড ছিটালে মশা মরে না। এক বছর আগে চসিককে এমনটিই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। অথচ সেই অকার্যকর পদ্ধতিতে চলছে মশা নিধন কার্যক্রম।

চট্টগ্রাম শহরের চকবাজার, বহদ্দারহাট, চাক্তাই, হালিশহর, পাহাড়তলী, মুরাদপুর ও আগ্রাবাদ ঘুরে দেখা যায়, নালায় জমে থাকা পানিতে বংশ বিস্তার করছে এডিস মশা।

বিশেষ করে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনার পানিতে মশার লাভা দেখা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুধু রাতে নয় দিনেও ঘরে থাকা দায়।

পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সভাপতি ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মশার কারণে মানুষ মারা যাবে, এটা কাম্য নয়।’

এ বিষয়ে চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাশেমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত