Ajker Patrika

নওফেলের ২৩ ও নাছিরের ৮ অনুসারী বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২১, ০৯: ৫৫
নওফেলের ২৩ ও নাছিরের ৮ অনুসারী বহিষ্কার

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ক্যাম্পাস ২৭ নভেম্বর (শনিবার) থেকে খুলছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৩১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ২৩ জন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী, বাকি ৮ জন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে চমেকের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে কলেজের অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২৭ নভেম্বর থেকে চমেকে ক্লাস-পরীক্ষা শিডিউল অনুযায়ী চলবে। ওই দিন থেকে ছাত্রী হোস্টেলও খোলা থাকবে। আগের দিন থেকে ছাত্রীরা হলে উঠতে পারবেন। তবে ছাত্রদের হোস্টেল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। একই সঙ্গে ৩১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, ছাত্র হোস্টেলে নতুনভাবে বরাদ্দ দেওয়া হবে। বরাদ্দ পাওয়ার পর ছাত্ররা হোস্টেলে উঠতে পারবেন।

বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮ জনকে ২৯ ও ৩০ অক্টোবর সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত ছাড়াও আগের দুটি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকায় দুই বছরের জন্য সব শিক্ষাকার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাঁরা হলেন এইচ এম আসহাব উদ্দিন (এমবিবিএস ৬২তম), অভিজিৎ দাশ (৬০তম), সাদ মোহাম্মদ গালিব (৬২তম), সাইফ উল্লাহ (৬১তম), সৌরভ ব্যাপারী (৬২তম), সাজেদুল ইসলাম হৃদয় (বিডিএস ৩০তম), জাহেদুল ইসলাম জিসান (বিডিএস ৩১তম) ও ইমতিয়াজ আলম (বিডিএস ৩০তম)।

গত দুই বছরে বিভিন্ন ঘটনায় একাধিকবার জড়িত থাকার অভিযোগে ও ছাত্র সংসদের রুম ভাঙচুরে জড়িত থাকায় ৫৯তম এমবিবিএসের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম জয় ও ৬০তম এমবিবিএসের শিক্ষার্থী অভিজিৎ দাশকে এক বছর ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

এ ছাড়া ২৯ ও ৩০ অক্টোবর সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২১ জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। তাঁরা হলেন সাজু দাশ, রকিব উদ্দিন আহমেদ সিয়াম, জাকির হোসেন সায়েম, জুলকাফল মোহাম্মদ শোয়েব, মো. ইব্রাহিম খলিল, চয়ন দাশ অয়ন, ফারহান রহমান ফাহিম, মাহিন আহমেদ, শেখ ইমাম হাসান, সৌরভ দেবনাথ, মো. মইনুল হোসেন, মো. আরাফাত ইসলাম, মো. হাবিবুল্লাহ হাবিব, মো. আনিস, মো. এহসানুল কবির রুমন, মাহতাব উদ্দিন রাফি, মো. শামিম, মো. সাব্বির, মইন ভূঁইয়া, তৌফিকুল রহমান ইমন ও আল আমিন ইসলাম।

এ ছাড়া অভিযুক্তের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও মো. মাহাদি আকিব, উৎস দে রক্তিম ও এনামুল হাসান সীমান্তের ব্যাপারে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলর সভায় বলা হয়।

নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা ইমন সিকদার বলেন, ‘আমাদের ২৩ জন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের বহিষ্কার করেছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

গত ২৯ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় তিন ছাত্র আহত হন। এর জেরে ৩০ অক্টোবর সকালে ক্যাম্পাসের সামনের রাস্তায় উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারীদের সমর্থক মাহাদি আকিবের ওপর হামলা হয়। মাথায় আঘাত পেয়ে মাহাদি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ২১ দিন চিকিৎসা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লার বাড়িতে ফেরেন। ওই ঘটনার পর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কলেজ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত