Ajker Patrika

বাবা-ছেলের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, মাকে জিজ্ঞাসাবাদ

নেত্রকোনা, প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ১৯
বাবা-ছেলের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, মাকে জিজ্ঞাসাবাদ

নেত্রকোনায় একটি বাসা থেকে বাবা-ছেলের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে লাশ দুটির ময়নাতদন্ত করেন চিকিৎসা কর্মকর্তা শ্রদ্ধানন্দ নাথ এবং টিটু রায়।

এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন নিহতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান। আসামি করা হয়েছে নিহতের স্ত্রী নাছিমা খাতুনকে।

চিকিৎসক শ্রদ্ধানন্দ নাথ মুঠোফোনে জানান, কারও মৃত্যু এখনো আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি স্পষ্ট না হওয়ায় দুজনেরই ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে।’

এ দিকে, শিশুটির মা নাছিমা খাতুনকে (২১) থানায় রেখে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ‘ছালমা খাতুনকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।’

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় শহরের নাগড়া এলাকার একটি ভবনের চারতলা থেকে পুলিশ আবদুল কাইয়ুম সরদার (৩২) ও তাঁর দুই বছরের ছেলে আহনাব শাকিলের লাশ উদ্ধার করে। আবদুল কাইয়ুম সরদারের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার গোপালের খামার গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আক্কাস সরদারের ছেলে।

তিনি নেত্রকোনায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক হিসেবে চাকরি করতেন। শহরের নাগড়া এলাকার বাসায় স্ত্রী-সন্তানসহ বাস করতেন।

এলাকার কয়েক বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আবদুল কাইয়ুম সরদার ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ফকিরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আসাদ আলীর মেয়ে ছালমা খাতুনকে বিয়ে করেন।

বিয়ের পর থেকে কাইয়ুম সরদার স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর কর্মস্থল নেত্রকোনায় বসবাস করছিলেন। ওই বছরের ডিসেম্বরে তাঁদের ছেলের জন্ম হয়।

নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী বলেন, ‘বিষয়টি আমরা খুবই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত রহস্যের জট খুলবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত