Ajker Patrika

গুলি করে হত্যার হুমকি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২১, ১৪: ৫৭
গুলি করে হত্যার হুমকি

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকেরা গুলি করে হত্যাসহ নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের হুমকির অভিযোগ করেছেন। তবে যাঁদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাঁরা তা অস্বীকার করেছেন।

রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউপির নৌকার প্রার্থী মাহেনারা পারভীন ও তাঁর সমর্থকদের হুমকির ভয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়েজ উল্যাহ জিসান পাটওয়ারী ও তাঁর লোকজন আতঙ্কিত। প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়েজ উল্যাহ জিসান পাটওয়ারী। গত বুধবার রাতে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ জানান তিনি।

তবে নৌকার প্রার্থী মাহেনারা পারভীন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এলাকায় ভাড়া করা সন্ত্রাসী এনে ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন।

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী নাজমুল করিম রাজু অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী নাসির উদ্দিন লিটন ও গোলাম মোস্তফা এবং তাঁর সমর্থকেরা প্রকাশ্যে আমাকে ও পরিবারের সবাইকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। ভোটের আগে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন।’ গত বুধবার রাতে নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন তিনি।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অপর দুই কাউন্সিলর প্রার্থী নাসির উদ্দিন লিটন ও গোলাম মোস্তফা বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতেই এ ধরনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

একই ধরনের অভিযোগ করেন রামগঞ্জের চণ্ডীপুর ইউপির আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, শামছুল ইসলাম সুমন, রায়পুরের দক্ষিণ চরবংশীর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুর রশিদ মোল্লা, বামনী ইউপির মঞ্জুরুল কবির ও কেরোয়ার মো. ইউনুছ।

তবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন জানান, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের টহল অব্যাহত থাকবে।

পুলিশ সুপার (এসপি) ড. এএইচএম কামরুজ্জামান বলেন, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার ২০টি ইউপির প্রতিটি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, ইতিমধ্যে আচরণবিধি না মানায় বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে প্রশাসন। কোনো কেন্দ্রে সমস্যা হলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এত শক্তি প্রদর্শন আপনাদের মানায় না—অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি সালাহউদ্দিনের

মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ, দোকানদার থেকে ২৫ সেকেন্ডে খেলেন ২০টি চড়

ফরিদপুরে বিএনপির সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে যুবক, ভিডিও ভাইরাল

মাথায় হেলমেট নেই চালকের, এক লাখের স্কুটারে জরিমানা ২১ লাখ

জাকসু আর জকসু হলে বাকসু কেন দুই প্রতিষ্ঠানের?

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ