আজকের পত্রিকা ডেস্ক
চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশের অনেক জায়গায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের আবার বাধল সংঘর্ষ। আবার চালানো হলো গুলি। এতে প্রাণ গেল দুজনের। খুলনায় নিহত হয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। আর হবিগঞ্জে প্রাণ গেছে এক পথচারীর।
রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় দুদিন ধরে ঝরছে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই গতকাল শুক্রবার রাজপথে ছিলেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষ থেকে গতকাল কর্মসূচি ছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে মোনাজাত ও প্রার্থনা এবং জুমার নামাজের পর ছাত্র-জনতার গণমিছিল। সকাল থেকেই রাজপথ সরব হয়ে ওঠে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মিছিল-স্লোগানে। তাঁদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সড়কে নামেন সর্বস্তরের মানুষ।
দুপুর পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। রাজধানীতে সায়েন্স ল্যাব থেকে শাহবাগ হয়ে মিছিল গিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে করে তোলে জনাকীর্ণ। কিন্তু এরপরই দ্রুত পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে। রাজধানীর উত্তরায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। লাঠিসোঁটা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ হওয়া আন্দোলনকারীদের বাড়ি বাড়ি খোঁজ করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ-যুবলীগকে গণমিছিল থেকে ধাওয়া দেওয়া হয়, ভাঙচুর করা হয় পুলিশ বক্স।
তবে গতকাল খুলনা নগরী হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এখানে। আগুন দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। সংঘর্ষে মোহাম্মদ আলমগীর (৪০) নামের এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।
এ ছাড়া হবিগঞ্জে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সিলেটেও চলেছে গুলি, আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক।
এর বাইরে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালনের সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের চড়াও হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বেধড়ক পেটানো হয়েছে আন্দোলনকারীদের। আবার শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে পিছু হটতেও হয়েছে তাঁদের। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক অবরোধের খবরও পাওয়া গেছে।
রণক্ষেত্র উত্তরা, গুলিবিদ্ধ ১
রাজধানীতে সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনে নামেন মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীরা। তাঁদের সঙ্গে চিকিৎসকেরাও যোগ দেন। আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনও নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষে সড়কে নামেন। দুপুরে জুমার নামাজের পর শুরু হয় গণমিছিল। আগের দফায় রণক্ষেত্র হয়ে ওঠা সায়েন্স ল্যাবে গতকালও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ জড়ো হন। তবে পুলিশ ছিল শান্ত। এরপর ছাত্র-জনতার গণমিছিল শাহবাগ হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে যায়। পুরো শহীদ মিনার এলাকা হয়ে ওঠে লোকারণ্য।
বিকেল গড়াতেই খবর আসে, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেখানে পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে মারধর করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে হেলমেট পরা দুজন ব্যক্তির হাতে অস্ত্র দেখা যায়।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবি, তাহমিদ হুজাইফা নামের ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এদিকে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর রোডে ছাদের ওপর থেকে ছোড়া ইটের আঘাতে একটি লন্ড্রি হাউসের মালিক দুলাল হাওলাদার আহত হন।
উত্তরা পশ্চিম থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বায়েজীদ বলেন, ‘উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর ব্রিজের কাছে শিক্ষার্থী ও পুলিশ মুখোমুখি অবস্থান করছে। ঘটনাস্থলে সিনিয়র অফিসাররা আছেন।’
খুলনায় পুলিশ সদস্য নিহত
খুলনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে মোহাম্মদ আলমগীর (৪০) নামের একজন পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এর আগে বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা দুই পক্ষের সংঘর্ষে নগরীর গল্লামারী থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় শিক্ষার্থী, পুলিশসহ অর্ধশত আহত হন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৯ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সংঘর্ষে পুলিশ রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়েছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নগরীর গল্লামারী এলাকায় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেন। বেশ কিছু দোকানপাটও ভাঙচুর করা হয়।
রণক্ষেত্র হবিগঞ্জ, পথচারী নিহত
হবিগঞ্জে জুমার নামাজের পর শিক্ষার্থীরা শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রধান সড়ক অবরোধ করেন। পরে গণমিছিল টাউন হল এলাকায় যায়। মিছিলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। একই সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আবু জাহিরের বাসভবনের সামনে রাখা চারটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেট কার পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
শহরের তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন মোস্তাক মিয়া (২৬) নামের এক পথচারী। পরে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় বিজিবি, র্যাব। এরপর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরীর নেতৃত্বে শহরের সিনেমা হল এলাকায় বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন। আমরা টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছি। শহরে এখন থমথমে অবস্থা।’
হবিগঞ্জ জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মমিন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিহত মোস্তাক মিয়ার শরীরে বুলেটের আঘাত বলে মনে হচ্ছে।
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ-যুবলীগকে ধাওয়া
চট্টগ্রামে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণকালে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, পুলিশ বক্স, যানবাহন ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। বিকেল ৪টায় নগরের জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ-সংলগ্ন ওয়াসা মোড়, দামপাড়া পুলিশ লাইনস ও জিইসি মোড়ে এসব ঘটনা ঘটে।
জুমার নামাজের পর বৃষ্টি উপেক্ষা করে শত শত আন্দোলনকারী নগরের আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদে জড়ো হন। সেখানে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন সাধারণ মুসল্লিরা। পরে একটি মিছিল নগরের লালদীঘি হয়ে নিউমার্কেটে যায়। মিছিলটি নিউমার্কেটে আধঘণ্টা অবস্থানের পর টাইগাস পাস মোড়ে যায়। মিছিলটি পুনরায় ওয়াসা মোড়ে আসে। এ সময় দামপাড়া পুলিশ লাইনসের ভেতর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, পুলিশ বক্স ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দেয়া হয়।
সিলেটে ৪ ঘণ্টা সংঘর্ষ, আহত ২ শতাধিক
সিলেট নগরের আখালিয়া, মদিনা মার্কেট এলাকায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও পুলিশের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে স্থানীয়রাও যোগ দেন। সংঘর্ষে শিক্ষার্থী, পুলিশ, সাংবাদিক, পথচারী, শিশুসহ ২ শতাধিক আহত হয়েছেন। পুলিশ ১২ জনকে আটক করেছে। বিকেল ৪টায় শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে।
দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও কর্মসূচি, সংঘর্ষ
দিনাজপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে বৃষ্টি ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে গতকাল সন্ধ্যায় শহরের গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। নেত্রকোনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগের বাধা এবং সাংবাদিকদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলেট করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এতে সাংবাদিকসহ ১৫ জন আহত হন। লক্ষ্মীপুর শহরেও আন্দোলনকারীদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন। এখানেও সাংবাদিকসহ ১৫ জনের মতো আহত হয়েছেন। নরসিংদীতে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন। পুলিশের সামনেই তাঁরা আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করেছেন। ঝিনাইদহে গণমিছিল থেকে ৫ শিক্ষার্থীকে ২ ঘণ্টা আটকে রেখে পরে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। যশোরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সড়কে নেমেছিলেন অভিভাবকেরাও। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্যানা-বিলবোর্ড ভাঙচুর করা হয়। যশোরের কেশবপুরও মুখর হয়েছে মিছিল-সমাবেশে।
টাঙ্গাইলে গতকাল দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে দুপুরে শহরের সাবালিয়া থেকে ছাত্র-জনতার মিছিল বের হয়। শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের সামনে দিয়ে মিছিলটি জেলা সদর মসজিদ হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কের আশেকপুর বাইপাসে গিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।
ময়মনসিংহে ১০-১২ হাজার মানুষ গণমিছিল করেছেন। নগরীর গাঙ্গিনারপাড় নদী বাংলার সামনে কথা হয় সত্তরোর্ধ্ব আবদুল আজিজের সঙ্গে। অবসরপ্রাপ্ত এই সরকারি চাকরিজীবী বলেন, ‘টানা কয়েক দিন ধরেই ময়মনসিংহ উত্তাল। তবে আজ (শুক্রবার) যা দেখলাম, তাতে মনে হচ্ছে, সবচেয়ে বড় জমায়েত হয়েছে। আন্দোলনে সাধারণ মানুষও অংশ নিয়েছে।’
এ ছাড়া বরিশাল, বরগুনা, পিরোজপুরেও সড়কে নেমেছিলেন শিক্ষার্থীরা। বগুড়ায় গণমিছিল নিয়ে সাতমাথা চত্বরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাতা উল্টো করে ধরে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, রংপুরের মিঠাপুকুর, কুমিল্লায়ও গণমিছিল কর্মসূচি হয়েছে। রংপুরে আবু সাঈদসহ আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যার নিরপেক্ষ বিচার এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সমাবেশ ও পদযাত্রা করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী। পাবনায় পুলিশি পাহারায় শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ গণমিছিল করেছেন। ফেনীতে সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গাইবান্ধায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়েছে।
চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশের অনেক জায়গায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের আবার বাধল সংঘর্ষ। আবার চালানো হলো গুলি। এতে প্রাণ গেল দুজনের। খুলনায় নিহত হয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। আর হবিগঞ্জে প্রাণ গেছে এক পথচারীর।
রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় দুদিন ধরে ঝরছে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই গতকাল শুক্রবার রাজপথে ছিলেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষ থেকে গতকাল কর্মসূচি ছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে মোনাজাত ও প্রার্থনা এবং জুমার নামাজের পর ছাত্র-জনতার গণমিছিল। সকাল থেকেই রাজপথ সরব হয়ে ওঠে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মিছিল-স্লোগানে। তাঁদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সড়কে নামেন সর্বস্তরের মানুষ।
দুপুর পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। রাজধানীতে সায়েন্স ল্যাব থেকে শাহবাগ হয়ে মিছিল গিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে করে তোলে জনাকীর্ণ। কিন্তু এরপরই দ্রুত পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে। রাজধানীর উত্তরায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। লাঠিসোঁটা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ হওয়া আন্দোলনকারীদের বাড়ি বাড়ি খোঁজ করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ-যুবলীগকে গণমিছিল থেকে ধাওয়া দেওয়া হয়, ভাঙচুর করা হয় পুলিশ বক্স।
তবে গতকাল খুলনা নগরী হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এখানে। আগুন দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। সংঘর্ষে মোহাম্মদ আলমগীর (৪০) নামের এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।
এ ছাড়া হবিগঞ্জে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সিলেটেও চলেছে গুলি, আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক।
এর বাইরে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালনের সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের চড়াও হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বেধড়ক পেটানো হয়েছে আন্দোলনকারীদের। আবার শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে পিছু হটতেও হয়েছে তাঁদের। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক অবরোধের খবরও পাওয়া গেছে।
রণক্ষেত্র উত্তরা, গুলিবিদ্ধ ১
রাজধানীতে সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনে নামেন মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীরা। তাঁদের সঙ্গে চিকিৎসকেরাও যোগ দেন। আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনও নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষে সড়কে নামেন। দুপুরে জুমার নামাজের পর শুরু হয় গণমিছিল। আগের দফায় রণক্ষেত্র হয়ে ওঠা সায়েন্স ল্যাবে গতকালও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ জড়ো হন। তবে পুলিশ ছিল শান্ত। এরপর ছাত্র-জনতার গণমিছিল শাহবাগ হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে যায়। পুরো শহীদ মিনার এলাকা হয়ে ওঠে লোকারণ্য।
বিকেল গড়াতেই খবর আসে, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেখানে পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে মারধর করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে হেলমেট পরা দুজন ব্যক্তির হাতে অস্ত্র দেখা যায়।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবি, তাহমিদ হুজাইফা নামের ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এদিকে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর রোডে ছাদের ওপর থেকে ছোড়া ইটের আঘাতে একটি লন্ড্রি হাউসের মালিক দুলাল হাওলাদার আহত হন।
উত্তরা পশ্চিম থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বায়েজীদ বলেন, ‘উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর ব্রিজের কাছে শিক্ষার্থী ও পুলিশ মুখোমুখি অবস্থান করছে। ঘটনাস্থলে সিনিয়র অফিসাররা আছেন।’
খুলনায় পুলিশ সদস্য নিহত
খুলনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে মোহাম্মদ আলমগীর (৪০) নামের একজন পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এর আগে বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা দুই পক্ষের সংঘর্ষে নগরীর গল্লামারী থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় শিক্ষার্থী, পুলিশসহ অর্ধশত আহত হন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৯ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সংঘর্ষে পুলিশ রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়েছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নগরীর গল্লামারী এলাকায় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেন। বেশ কিছু দোকানপাটও ভাঙচুর করা হয়।
রণক্ষেত্র হবিগঞ্জ, পথচারী নিহত
হবিগঞ্জে জুমার নামাজের পর শিক্ষার্থীরা শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রধান সড়ক অবরোধ করেন। পরে গণমিছিল টাউন হল এলাকায় যায়। মিছিলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। একই সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আবু জাহিরের বাসভবনের সামনে রাখা চারটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেট কার পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
শহরের তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন মোস্তাক মিয়া (২৬) নামের এক পথচারী। পরে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় বিজিবি, র্যাব। এরপর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরীর নেতৃত্বে শহরের সিনেমা হল এলাকায় বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন। আমরা টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছি। শহরে এখন থমথমে অবস্থা।’
হবিগঞ্জ জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মমিন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিহত মোস্তাক মিয়ার শরীরে বুলেটের আঘাত বলে মনে হচ্ছে।
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ-যুবলীগকে ধাওয়া
চট্টগ্রামে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণকালে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, পুলিশ বক্স, যানবাহন ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। বিকেল ৪টায় নগরের জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ-সংলগ্ন ওয়াসা মোড়, দামপাড়া পুলিশ লাইনস ও জিইসি মোড়ে এসব ঘটনা ঘটে।
জুমার নামাজের পর বৃষ্টি উপেক্ষা করে শত শত আন্দোলনকারী নগরের আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদে জড়ো হন। সেখানে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন সাধারণ মুসল্লিরা। পরে একটি মিছিল নগরের লালদীঘি হয়ে নিউমার্কেটে যায়। মিছিলটি নিউমার্কেটে আধঘণ্টা অবস্থানের পর টাইগাস পাস মোড়ে যায়। মিছিলটি পুনরায় ওয়াসা মোড়ে আসে। এ সময় দামপাড়া পুলিশ লাইনসের ভেতর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, পুলিশ বক্স ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দেয়া হয়।
সিলেটে ৪ ঘণ্টা সংঘর্ষ, আহত ২ শতাধিক
সিলেট নগরের আখালিয়া, মদিনা মার্কেট এলাকায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও পুলিশের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে স্থানীয়রাও যোগ দেন। সংঘর্ষে শিক্ষার্থী, পুলিশ, সাংবাদিক, পথচারী, শিশুসহ ২ শতাধিক আহত হয়েছেন। পুলিশ ১২ জনকে আটক করেছে। বিকেল ৪টায় শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে।
দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও কর্মসূচি, সংঘর্ষ
দিনাজপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে বৃষ্টি ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে গতকাল সন্ধ্যায় শহরের গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। নেত্রকোনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগের বাধা এবং সাংবাদিকদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলেট করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এতে সাংবাদিকসহ ১৫ জন আহত হন। লক্ষ্মীপুর শহরেও আন্দোলনকারীদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন। এখানেও সাংবাদিকসহ ১৫ জনের মতো আহত হয়েছেন। নরসিংদীতে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন। পুলিশের সামনেই তাঁরা আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করেছেন। ঝিনাইদহে গণমিছিল থেকে ৫ শিক্ষার্থীকে ২ ঘণ্টা আটকে রেখে পরে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। যশোরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সড়কে নেমেছিলেন অভিভাবকেরাও। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্যানা-বিলবোর্ড ভাঙচুর করা হয়। যশোরের কেশবপুরও মুখর হয়েছে মিছিল-সমাবেশে।
টাঙ্গাইলে গতকাল দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে দুপুরে শহরের সাবালিয়া থেকে ছাত্র-জনতার মিছিল বের হয়। শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের সামনে দিয়ে মিছিলটি জেলা সদর মসজিদ হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কের আশেকপুর বাইপাসে গিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।
ময়মনসিংহে ১০-১২ হাজার মানুষ গণমিছিল করেছেন। নগরীর গাঙ্গিনারপাড় নদী বাংলার সামনে কথা হয় সত্তরোর্ধ্ব আবদুল আজিজের সঙ্গে। অবসরপ্রাপ্ত এই সরকারি চাকরিজীবী বলেন, ‘টানা কয়েক দিন ধরেই ময়মনসিংহ উত্তাল। তবে আজ (শুক্রবার) যা দেখলাম, তাতে মনে হচ্ছে, সবচেয়ে বড় জমায়েত হয়েছে। আন্দোলনে সাধারণ মানুষও অংশ নিয়েছে।’
এ ছাড়া বরিশাল, বরগুনা, পিরোজপুরেও সড়কে নেমেছিলেন শিক্ষার্থীরা। বগুড়ায় গণমিছিল নিয়ে সাতমাথা চত্বরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাতা উল্টো করে ধরে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, রংপুরের মিঠাপুকুর, কুমিল্লায়ও গণমিছিল কর্মসূচি হয়েছে। রংপুরে আবু সাঈদসহ আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যার নিরপেক্ষ বিচার এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সমাবেশ ও পদযাত্রা করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী। পাবনায় পুলিশি পাহারায় শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ গণমিছিল করেছেন। ফেনীতে সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গাইবান্ধায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়েছে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৮ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৮ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৮ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫