Ajker Patrika

বৃষ্টিতে খেতে জমেছে পানি আলু নষ্টের শঙ্কায় কৃষক

সাগর হোসেন তামিম, মাদারীপুর
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ৪১
বৃষ্টিতে খেতে জমেছে পানি আলু নষ্টের শঙ্কায় কৃষক

ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের মধ্যে হঠাৎ একটানা বৃষ্টি। মাঘের শেষের এ বৃষ্টিতে মাদারীপুরে আলুর জমিতে জমেছে পানি। এতে আলুর পচন ধরে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

মাদারীপুর জেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ, আলুর পচন রোধে বৃষ্টি কমার পর অবস্থা বুঝে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ানাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন।

জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় ৩২০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে কালকিনি উপজেলায় আবাদ হয়েছে ২২০ হেক্টর জমিতে। বাকি ১০০ হেক্টরে আলুর চাষ হয়েছে শিবচরে। তবে সদর উপজেলা, রাজৈর ও ডাসার উপজেলায় আলুর আবাদ হয়নি।

কালকিনি উপজেলার আলুচাষি জাহাঙ্গীর শরীফ বলেন, ‘তিন বিঘা জমিতে আলু করেছি। মাঘের বৃষ্টিতে অধিকাংশ আলুর জমিতে পানি জমে গেছে। জমে থাকা পানি সেচ দেওয়া হচ্ছে। এমনটা হলে ফলন কম হবে। এতে লোকসানে পড়তে হবে।’

সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে আলুর আবাদ করেছেন একই উপজেলার শরীফুল আলম। বৃষ্টিতে আলুর পচন ধরার শঙ্কায় এই চাষি। তিনি বলেন, ‘চলতি মাসের শেষের দিকে আলু তুলব। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় শেষ হয়। এতে খেতে পানি জমে গেছে। চেষ্টা করছি পানি সরাতে, কিন্তু বৃষ্টিতে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে।’

একই উপজেলার দক্ষিণ ঠেঙ্গামারা গ্রামের আলুচাষি শামীম মোড়ল বলেন, ‘বিঘাপ্রতি আলু চাষে বীজ, শ্রমিক, সেচ, সার, কীটনাশকসহ সব মিলে খরচ হয় ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকার মতো। কিন্তু এ বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে গেছে। টানা বৃষ্টিতে খেতে আলুর পচন ধরে গেছে।’

অন্যদিকে শিবচর উপজেলার সন্ন্যাসীরচর গ্রামের কৃষক আমজাত হোসেন বলেন, ‘চরাঞ্চলের কিছু জমিতে আলু চাষ করেছি। বৃষ্টিতে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। চরাঞ্চল বিধায় পানি কমে গেছে। তবে অন্য বছরের তুলনায় ফলন কম হবে।’

কালকিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘এ বছর কালকিনি উপজেলায় প্রায় ২২০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। মাঘের এই হঠাৎ বৃষ্টিতে আলুখেতে জমে যাওয়া পানি দ্রুত অপসারণ করা হলে ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে।’

এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মোফাজ্জেম হোসেন বলেন, ‘এ অবস্থায় আলু তুলেও কোনো লাভ হবে না। তুলে রেখে দিলেও পচন ধরতে পারে। বৃষ্টি এখন আর হচ্ছে না। তাই অবস্থা অনুযায়ী ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ানাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সারজিসের পোস্টে কমেন্ট করে বরখাস্ত মৎস্য মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী

‘৩ শর্তে’ সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ স্থগিত

চিরকুটে শিক্ষাব্যবস্থাকে দায়ী করে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’

জামায়াতের অফিসে আগুন নেভাতে গিয়ে কোরআন শরিফ দেখেননি, দাবি ফায়ার সার্ভিসের

নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার বিব্রতকর: উপদেষ্টা ফারুকী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত