রহমান মৃধা
বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ আছে বলে জানা নেই, যেখানে প্রভাব এবং প্রতাপশালী বা তাদের চৌদ্দগোষ্ঠী রাজনীতিতে উড়ে এসে জুড়ে বসে। ফলে যারা তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে আসছে, তাদের ভাগ্যের দ্বার খোলেনি। স্বাধীনতার বায়ান্ন বছর পার হয়ে গেলেও তৃণমূলের রাজনীতিবিদেরা আজীবন কর্মীতেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে।
দেশের রাজনীতির অবকাঠামো দুর্নীতি, অনীতিতে পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হলো, রাজনৈতিক যোগ্যতার মূল্যায়ন না করে অর্থ ও ক্ষমতার মূল্যায়ন এবং বড় দলগুলোর থেকে সরাসরি টিকিট সংগ্রহ। এর থেকে রেহাই পেতে হলে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের রাজনীতিতে সুযোগ দিতে হবে, সুযোগ দিতে হবে তাদের রাজনৈতিক মেধার সঠিক চর্চার। তা না হলে সমাজের স্বার্থপর, প্রভাবশালী এবং এলিট সমাজ দেশকে আজীবন শ্রেণিবিভক্ত করে রাখবে, যেখানে বেশির ভাগ লোক গোলাম হয়ে স্বৈরশাসনের শাসনাধীন হয়ে পরাধীন নাগরিক হিসেবে বসবাস করবে, হতাশার মধ্য দিয়ে।
সবার ধারণা, যারা যত শিক্ষিত, তারা তত জ্ঞানী। আমার ধারণা কিছুটা উল্টো। সেটা হলো, যত শিক্ষিত, তত আত্ম এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক, যার ফলে এই শ্রেণির শিক্ষিত সমাজ কখনো দেশের অভাগা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের কথা ভাবে না। কারণ তাদের শিক্ষায় সঠিক বা সুশিক্ষা কখনো ছিল না, হয়নি, হবেও না। দেশের অনেক ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার পুরো সময় ব্যয় করেছে পুথিগত বিদ্যা মুখস্থ করতে।
পরে চাকরিজীবনে অনেকেই বেছে নিচ্ছে সিভিল প্রশাসন। কারণ তারা জানে, সেখান থেকে যে ক্ষমতা এবং সুযোগ-সুবিধাগুলো ধরা যাবে, সেটা কখনো সম্ভব হবে না শিক্ষাগত পেশায় থাকলে। পুরো দেশটাই সিন্ডিকেটের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে গেছে। যে একবার ক্ষমতা ধরছে, তাকে মেরে না ফেলা অবধি যেন সেখান থেকে সরানো সম্ভব হচ্ছে না! চাকরিতেও এখনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে অবসরে যাওয়ার একটি রীতিনীতি রয়েছে, কিন্তু রাজনীতিতে মৃত্যু ছাড়া কোনো পথ নেই! কারণ তারা জানে ক্ষমতা গেলে বাকি জীবন জেলে থাকতে হবে। অতএব জীবন যাবে, তবু ক্ষমতা ছাড়া যাবে না।
কীভাবে তাহলে দেশের মেহনতি মানুষের জীবনের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে যদি এই হয় দেশের সর্বাঙ্গীণ পরিস্থিতি? দেশের রাষ্ট্রদূতগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড লক্ষ করলে কী দেখা যায়? খুঁজে পাওয়া দুষ্কর একজন দক্ষ কূটনীতিবিদ, যিনি দেশের এবং মানুষের কথা ভাবছেন! তবে তাঁর পরিবার কীভাবে ভালো সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে, সে বিষয়ে কূটনীতির অভাব নেই। অভাব শুধু দেশের অবকাঠামো তৈরিতে। আজীবন যারা বিলাসিতার মধ্য দিয়ে, সমাজের থেকে বাহবা পেয়ে, সেলিব্রিটি হয়ে, এসি রুমে বসে, জামাইবাবু হয়ে, পাজেরো গাড়িতে চড়ে দেশটাকে লুটেপুটে খেয়েছে, শেষে তারাই এসে সংসদের ৩৫০টি আসন দখল করে নিচ্ছে।
এরা কি কখনো দেশের সত্যিকার মেহনতি মানুষের কথা ভাববে বা ভাবতে পারে? পারলে তো ক্ষমতায় থাকাকালীনই ভাবত! তারা যে কাজের জন্য সারা জীবন সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি করল, সেই কাজ যদি সঠিকভাবে করত, তাহলে দেশের অবস্থা কি এই হতো? অথচ তারাই উড়ে এসে এখন জুড়ে বসছে সংসদ ভবনে, যাতে করে আজীবন সুযোগ-সুবিধাগুলো ভোগ করতে পারে আর দিনমজুর মানুষ তাদের আজীবন গোলাম হয়ে থাকে।
জাতির মাথায় সত্যের একটি মানচিত্র এঁকে দিলাম। যদি আমার এই মানচিত্র মনে ধরে, তবে তৃণমূলের বঞ্চিত রাজনীতিবিদদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে অন্যায়ের এই মহাসমুদ্রে এবং ধ্বংস করতে হবে এই দুর্নীতির সিন্ডিকেট।
লেখক: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন
বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ আছে বলে জানা নেই, যেখানে প্রভাব এবং প্রতাপশালী বা তাদের চৌদ্দগোষ্ঠী রাজনীতিতে উড়ে এসে জুড়ে বসে। ফলে যারা তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে আসছে, তাদের ভাগ্যের দ্বার খোলেনি। স্বাধীনতার বায়ান্ন বছর পার হয়ে গেলেও তৃণমূলের রাজনীতিবিদেরা আজীবন কর্মীতেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে।
দেশের রাজনীতির অবকাঠামো দুর্নীতি, অনীতিতে পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হলো, রাজনৈতিক যোগ্যতার মূল্যায়ন না করে অর্থ ও ক্ষমতার মূল্যায়ন এবং বড় দলগুলোর থেকে সরাসরি টিকিট সংগ্রহ। এর থেকে রেহাই পেতে হলে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের রাজনীতিতে সুযোগ দিতে হবে, সুযোগ দিতে হবে তাদের রাজনৈতিক মেধার সঠিক চর্চার। তা না হলে সমাজের স্বার্থপর, প্রভাবশালী এবং এলিট সমাজ দেশকে আজীবন শ্রেণিবিভক্ত করে রাখবে, যেখানে বেশির ভাগ লোক গোলাম হয়ে স্বৈরশাসনের শাসনাধীন হয়ে পরাধীন নাগরিক হিসেবে বসবাস করবে, হতাশার মধ্য দিয়ে।
সবার ধারণা, যারা যত শিক্ষিত, তারা তত জ্ঞানী। আমার ধারণা কিছুটা উল্টো। সেটা হলো, যত শিক্ষিত, তত আত্ম এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক, যার ফলে এই শ্রেণির শিক্ষিত সমাজ কখনো দেশের অভাগা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের কথা ভাবে না। কারণ তাদের শিক্ষায় সঠিক বা সুশিক্ষা কখনো ছিল না, হয়নি, হবেও না। দেশের অনেক ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার পুরো সময় ব্যয় করেছে পুথিগত বিদ্যা মুখস্থ করতে।
পরে চাকরিজীবনে অনেকেই বেছে নিচ্ছে সিভিল প্রশাসন। কারণ তারা জানে, সেখান থেকে যে ক্ষমতা এবং সুযোগ-সুবিধাগুলো ধরা যাবে, সেটা কখনো সম্ভব হবে না শিক্ষাগত পেশায় থাকলে। পুরো দেশটাই সিন্ডিকেটের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে গেছে। যে একবার ক্ষমতা ধরছে, তাকে মেরে না ফেলা অবধি যেন সেখান থেকে সরানো সম্ভব হচ্ছে না! চাকরিতেও এখনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে অবসরে যাওয়ার একটি রীতিনীতি রয়েছে, কিন্তু রাজনীতিতে মৃত্যু ছাড়া কোনো পথ নেই! কারণ তারা জানে ক্ষমতা গেলে বাকি জীবন জেলে থাকতে হবে। অতএব জীবন যাবে, তবু ক্ষমতা ছাড়া যাবে না।
কীভাবে তাহলে দেশের মেহনতি মানুষের জীবনের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে যদি এই হয় দেশের সর্বাঙ্গীণ পরিস্থিতি? দেশের রাষ্ট্রদূতগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড লক্ষ করলে কী দেখা যায়? খুঁজে পাওয়া দুষ্কর একজন দক্ষ কূটনীতিবিদ, যিনি দেশের এবং মানুষের কথা ভাবছেন! তবে তাঁর পরিবার কীভাবে ভালো সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে, সে বিষয়ে কূটনীতির অভাব নেই। অভাব শুধু দেশের অবকাঠামো তৈরিতে। আজীবন যারা বিলাসিতার মধ্য দিয়ে, সমাজের থেকে বাহবা পেয়ে, সেলিব্রিটি হয়ে, এসি রুমে বসে, জামাইবাবু হয়ে, পাজেরো গাড়িতে চড়ে দেশটাকে লুটেপুটে খেয়েছে, শেষে তারাই এসে সংসদের ৩৫০টি আসন দখল করে নিচ্ছে।
এরা কি কখনো দেশের সত্যিকার মেহনতি মানুষের কথা ভাববে বা ভাবতে পারে? পারলে তো ক্ষমতায় থাকাকালীনই ভাবত! তারা যে কাজের জন্য সারা জীবন সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি করল, সেই কাজ যদি সঠিকভাবে করত, তাহলে দেশের অবস্থা কি এই হতো? অথচ তারাই উড়ে এসে এখন জুড়ে বসছে সংসদ ভবনে, যাতে করে আজীবন সুযোগ-সুবিধাগুলো ভোগ করতে পারে আর দিনমজুর মানুষ তাদের আজীবন গোলাম হয়ে থাকে।
জাতির মাথায় সত্যের একটি মানচিত্র এঁকে দিলাম। যদি আমার এই মানচিত্র মনে ধরে, তবে তৃণমূলের বঞ্চিত রাজনীতিবিদদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে অন্যায়ের এই মহাসমুদ্রে এবং ধ্বংস করতে হবে এই দুর্নীতির সিন্ডিকেট।
লেখক: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪