গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর গলাচিপায় পান চুরির অপবাদ দিয়ে সালিস বৈঠকে দুই স্কুলছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতার বিরুদ্ধে। গত শনিবার বিকেলে উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের বাংলাবাজারে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল ভুক্তভোগী এক ছাত্রের বাবা ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জামাল মোল্লাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
নির্যাতনের শিকার ওই দুজনের একজন দশম শ্রেণি এবং অন্যজন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। মারধরের পর পরিবারের লোকজন এলাকাবাসীর সহায়তায় উদ্ধার করে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জামাল ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল মোল্লার ছেলে। জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও তিনি ও তাঁর কর্মীরা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে যেকোনো ঘটনার সালিস-বিচার করেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার ওই এলাকার ননীবালা নামের একজনের পান চুরি করেছে ওই দুই শিক্ষার্থী, এমন অভিযোগ তুলে বাংলাবাজারে তাঁরা সালিস বসান। এ সময় ওই দুই শিক্ষার্থীকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে জামাল মোল্লার নেতৃত্বে আলমাস মোল্লা, জহিরুল মোল্লা, রহমান মোল্লা, কামাল মোল্লা ও সোহেল প্যাদা বেধড়ক মারধর করেন। তাঁরা জোরপূর্বক চুরির স্বীকারোক্তি আদায় করেন এবং মোবাইল ফোনে পরিবারের কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাজির হয়ে উল্টো জামালের পক্ষ নিয়ে ওই দুই শিক্ষার্থীর ওপর চড়াও হন এবং সাদা কাগজে মুচলেকা রেখে পরিবারের কাছে তুলে দেন।
মারধরের শিকার এক শিক্ষার্থী বলে, ‘আমরা পান চুরি করিনি। আমাদের মা-বাবা এমন শিক্ষা দেয়নি। তা ছাড়া আমরা পড়াশোনা করি। জামাল মোল্লা ও তাঁর সঙ্গীরা আমাদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ধরে নিয়ে মারধর করেছেন। জোরপূর্বক স্বীকার করিয়েছেন যে আমরা চুরি করেছি।’
মারধরের শিকার এক শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘আমি কাজে ছিলাম, এমন সময় জামাল ফোন দিয়ে বলেন, আপনার ছেলেরে পানসহ ধরছি। আমি অপেক্ষা করতে বললে তারা অপেক্ষা না করেই মারধর করেছে। আমার ছেলে কোনো চুরি করে নাই। তাকে মিথ্যা অপবাদে মারধর করছে। মারধরে ছেলে অনেক অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির খান বলেন, ‘সালিসে আমি উপস্থিত ছিলাম না। সালিস শেষে আমি গিয়ে তাদের উদ্ধার করে পরিবারের কাছে তুলে দিয়েছি। কোনো ধরনের সাদা কাগজে মুচলেকা রাখিনি।’
অভিযুক্ত জামাল মোল্লা বলেন, এক চাষির পান চুরির অভিযোগে স্থানীয় অনেক লোকজনের উপস্থিতিতে সালিসে বিচার করা হয়েছে। তাদের কোনো মারধর ও নির্যাতন করা হয়নি। পানচাষি ননীবালা জানান, তিনি কোনো অভিযোগ করেননি। এমনকি তাঁর পান চুরি হয়নি।
গলাচিপা থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন জানান, দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে গতকাল বিকেলে একজনের বাবা আওয়ামী লীগ নেতা জামাল মোল্লাসহ ১৩ জনের নামে মামলা করেছেন। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
পটুয়াখালীর গলাচিপায় পান চুরির অপবাদ দিয়ে সালিস বৈঠকে দুই স্কুলছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতার বিরুদ্ধে। গত শনিবার বিকেলে উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের বাংলাবাজারে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল ভুক্তভোগী এক ছাত্রের বাবা ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জামাল মোল্লাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
নির্যাতনের শিকার ওই দুজনের একজন দশম শ্রেণি এবং অন্যজন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। মারধরের পর পরিবারের লোকজন এলাকাবাসীর সহায়তায় উদ্ধার করে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জামাল ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল মোল্লার ছেলে। জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও তিনি ও তাঁর কর্মীরা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে যেকোনো ঘটনার সালিস-বিচার করেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার ওই এলাকার ননীবালা নামের একজনের পান চুরি করেছে ওই দুই শিক্ষার্থী, এমন অভিযোগ তুলে বাংলাবাজারে তাঁরা সালিস বসান। এ সময় ওই দুই শিক্ষার্থীকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে জামাল মোল্লার নেতৃত্বে আলমাস মোল্লা, জহিরুল মোল্লা, রহমান মোল্লা, কামাল মোল্লা ও সোহেল প্যাদা বেধড়ক মারধর করেন। তাঁরা জোরপূর্বক চুরির স্বীকারোক্তি আদায় করেন এবং মোবাইল ফোনে পরিবারের কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাজির হয়ে উল্টো জামালের পক্ষ নিয়ে ওই দুই শিক্ষার্থীর ওপর চড়াও হন এবং সাদা কাগজে মুচলেকা রেখে পরিবারের কাছে তুলে দেন।
মারধরের শিকার এক শিক্ষার্থী বলে, ‘আমরা পান চুরি করিনি। আমাদের মা-বাবা এমন শিক্ষা দেয়নি। তা ছাড়া আমরা পড়াশোনা করি। জামাল মোল্লা ও তাঁর সঙ্গীরা আমাদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ধরে নিয়ে মারধর করেছেন। জোরপূর্বক স্বীকার করিয়েছেন যে আমরা চুরি করেছি।’
মারধরের শিকার এক শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘আমি কাজে ছিলাম, এমন সময় জামাল ফোন দিয়ে বলেন, আপনার ছেলেরে পানসহ ধরছি। আমি অপেক্ষা করতে বললে তারা অপেক্ষা না করেই মারধর করেছে। আমার ছেলে কোনো চুরি করে নাই। তাকে মিথ্যা অপবাদে মারধর করছে। মারধরে ছেলে অনেক অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির খান বলেন, ‘সালিসে আমি উপস্থিত ছিলাম না। সালিস শেষে আমি গিয়ে তাদের উদ্ধার করে পরিবারের কাছে তুলে দিয়েছি। কোনো ধরনের সাদা কাগজে মুচলেকা রাখিনি।’
অভিযুক্ত জামাল মোল্লা বলেন, এক চাষির পান চুরির অভিযোগে স্থানীয় অনেক লোকজনের উপস্থিতিতে সালিসে বিচার করা হয়েছে। তাদের কোনো মারধর ও নির্যাতন করা হয়নি। পানচাষি ননীবালা জানান, তিনি কোনো অভিযোগ করেননি। এমনকি তাঁর পান চুরি হয়নি।
গলাচিপা থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন জানান, দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে গতকাল বিকেলে একজনের বাবা আওয়ামী লীগ নেতা জামাল মোল্লাসহ ১৩ জনের নামে মামলা করেছেন। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪