Ajker Patrika

সেতুর মালামাল সরিয়ে নিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ মে ২০২২, ১০: ১৫
সেতুর মালামাল সরিয়ে নিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান

নেছারাবাদ উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নে লুকিয়ে রাখা পুরোনো ২১টি লোহার সেতুর মালামাল গোপন গুদাম থেকে সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ওই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কে এম সবুর তালুকদার তাঁর গুদাম থেকে নিজের লোকদের মাধ্যমে মালামাল সরিয়ে নিয়েছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। কিন্তু সবুর তালুকদার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, জাইকার কাজের সময় জব্দ করা লোহার পুলের মালামাল সবুর তালুকদার ব্যক্তিগত গুদামে লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেই মালামাল তিনি ধীরে ধীরে বিক্রি করে আসছিলেন। সর্বশেষ গত রোববার রাতে আবার মালামালগুলো ট্রলারে করে সরিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয়দের চোখে পড়ে। এ সময় তাঁরা ধাওয়া দিয়ে গুদামে এলে ট্রলারটি দ্রুতবেগে পালিয়ে যায়। পরে তাঁরা ওই ঘরে লোহার বিম, অ্যাঙ্গেল দেখে সাংবাদিকদের খবর দেন। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকেরা ইউনিয়নের সাগরকান্দা বাজারে গিয়ে মাহাবুব তালুকদারের ঘরে অবশিষ্ট বিম, অ্যাঙ্গেল দেখতে পান। ঘরমালিক মাহাবুব তালুকদার বলেন, ওই ঘর সাবেক চেয়ারম্যান সবুর তালুকদারের কাছে ভাড়া দেওয়া। মালামালও সাবেক চেয়ারম্যানের। এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।

ইউনিয়নের বাসিন্দা ফারুক ফরাজি, ফিরোজ হাওলাদারসহ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, সবুর তালুকদার চেয়ারম্যান থাকার সময় জাইকার কাজ চলাকালে পুরোনো বেশকিছু লোহার সেতুর মালামাল এনে পরিষদে জমা না দিয়ে সাগরকান্দা বাজারে নিজের ব্যক্তিগত গুদামে রাখেন। গুদাম থেকে মাঝেমধ্যে সেই মালামাল তিনি ট্রলার ভরে সরিয়েছেন। তিনি চেয়ারম্যান থাকায় সে সময় গ্রামের মানুষ তাঁর ভয়ে কথা বলেননি।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির ব্যাপারী অভিযোগ করেন, ‘২০১১-১২ অর্থবছরে জাইকার অর্থায়নে সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের সেহাংগল বুদ্ধির বাজার থেকে সাগরকান্দা হয়ে জিনুহার পর্যন্ত সড়কের ২১টি সেতু কালভার্ট নির্মাণের কাজ করে এলজিইডি। সে সময় সেতুগুলোর মালামাল জব্দ করে তালিকা করা হয়। এলজিইডির পক্ষ থেকে যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সবুর তালুকদারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে সামান্য রেখে বাকি মালামাল তাঁর নিজের হেফাজতে নিয়ে যান।’

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কে এম সবুর তালুকদার বলেন, সাগরকান্দা থেকে কোনো মালামাল ট্রলারে করে তিনি বা তাঁর লোকজন নেননি। জাইকার কাজের সময় যে মালামাল তিনি বুঝে পেয়েছেন, তা দিয়ে এলাকার সেতু করা হয়েছে। বাকি মালামাল পরিষদে রয়েছে, যা তালিকা করে চার্জ দেওয়ার সময় বর্তমান চেয়ারম্যান হুমাউন ব্যাপারীকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাহাবুব তালুকদারের ঘরে রাখা মালামাল আমার নিজের কেনা। এ ছাড়া ঘরে মাত্র দু-একটি নষ্ট বিম আছে, যা চেয়ারম্যানকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. তৌফিক আজিজ বলেন, ইউএনও তাঁকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছেন। ২০১১-১২ জাইকার কাজে সব নথিপত্র গুদামে চলে গেছে, যা বের না করে সঠিক করে কিছু বলা যাবে না। নথিপত্র ঘেঁটে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউএনও মো. মোশারেফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত নথি দেখে রিপোর্ট করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে। তিনি রিপোর্ট দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে পর্যন্ত মালামাল বর্তমান চেয়ারম্যান তাঁর নিজের জিম্মায় নিয়ে নেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত