Ajker Patrika

যাত্রীছাউনি থেকে আকাশ দেখা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
যাত্রীছাউনি থেকে আকাশ দেখা

পূর্বাঞ্চল রেলপথের গুরুত্বপূর্ণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন পাঁচ হাজারের অধিক যাত্রী বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। সংস্কারকাজের জন্য স্টেশনে প্ল্যাটফর্মের যাত্রীছাউনির চালা খুলে নেওয়ায় দুই মাস ধরে রোদ-বৃষ্টিতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

বিষয়টি স্বীকার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের সহকারী মাস্টার সাকির জাহান আজকের পত্রিকাকে জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাউনির চালা লাগানোর কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে প্রতিদিন ১৪ জোড়া আন্তনগর, মেইল ও কমিউটার ট্রেন যাত্রাবিরতি করে। এসব ট্রেনে পূর্বাঞ্চল রেলপথের ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন যাত্রীরা। এ ছাড়া প্রতি মাসে এসব ট্রেনের প্রায় ১ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি হয়। ফলে রাজস্ব আয়ের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ এই রেলস্টেশন।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ের কয়েকটি স্টেশনের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ হাতে নেয় কর্তৃপক্ষ। প্রায় দুই মাস আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের যাত্রীছাউনিটি সংস্কারের জন্য চালা খুলে ফেলা হয়। পুরোনোটি সংস্কার এবং ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের বর্ধিত অংশের যাত্রীছাউনির নির্মাণকাজ শুরু করে রেলওয়ের তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত যাত্রীছাউনির চালা লাগানো হয়নি।

ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিশেষ করে গরমে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা বেশি কষ্ট করছেন। বৃষ্টি হলে দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মের যাত্রীরা গাদাগাদি করে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ছাউনিতে আশ্রয় নেন।

কয়েকজন ট্রেনযাত্রী জানান, ছাউনি না থাকায় রোদে কষ্ট করতে হচ্ছে। এ ছাড়া বৃষ্টি হলে ভিজেই ট্রেনে উঠতে হয়। দ্রুত যাত্রীদের এই ভোগান্তি দূর করার দাবি জানান তারা।

ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী গিয়াস উদ্দিন জানান, এভাবে যাত্রীছাউনিটির দুই মাস ধরে চালা নেই। ফলে বৃষ্টি এলে ভিজতে হয়। আর রোদে পুড়তে হয়।

মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী পারভীন জাহান বলেন, ‘কবে এই যাত্রীছাউনি লাগবে জানি না। যাত্রীসেবার নামে আমাদের কষ্ট দেওয়া হচ্ছে।’

স্টেশনের সংস্কারকাজের তদারকি কর্মকর্তা ও সহকারী প্রকৌশলী (ব্রিজ) মো. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, ছাউনির রঙের কাজের জন্য চালা খুলে রাখা হয়েছে। কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ১০-১৫ দিনের মধ্যে চালা লাগিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন এম এ জি ওসমানীসহ ৮ জন

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত