Ajker Patrika

ফুলবাড়ীতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হাতি দিয়ে ‘চাঁদা’ আদায়

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ জুন ২০২২, ১১: ৪৫
Thumbnail image

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী শহরে হাতি দিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে শিক্ষার্থী, পথচারীসহ কোনো যানবাহনই ছাড় পাচ্ছে না। পিঠে বসে থাকেন মাহুত বা হাতির মালিক। তাঁর নির্দেশেই এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যায় হাতি। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ জানান।

এমন এক হাতির মাহুত বলেন, ‘বর্তমানে গ্রামীণ মেলা প্রায় বন্ধ, তাই হাতির খোরাক জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। হাতির ভরণপোষণের জন্য সবাই খুশি হয়ে কিছু টাকা দেয়। কেউ খুশি হয়ে টাকা দিলে তা চাঁদাবাজি হয় কীভাবে। তবে আমরা কারও ওপর কোনো ধরনের জোর করি না; যার ইচ্ছা দেয়, মন না চাইলে দেয় না।’

শহর ঘুরে দেখা গেছে, পৌর বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে দুটি হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন মাহুত। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে দোকানের ধরন অনুযায়ী ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। শুধু দোকানেই সীমাবদ্ধ নয়, সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথরোধ করেও টাকা তুলতে দেখা যায় এই মাহুতকে।

শহরের কালীবাড়ি বাজারের একটি মুদি দোকানে দেখা যায়, বিশাল দেহের হাতিটি মাহুতের ইঙ্গিতে শুঁড় এগিয়ে দেয় দোকানের মধ্যে। সঙ্গে সঙ্গে দোকানি ২০ টাকা হাতিটির শুঁড়ে গুঁজে দেন। দোকানি বলেন, ‘টাকা না দিলে হাতিটি যাবে না। তা ছাড়া অনেক সময় ভাঙচুরও করে, ক্রেতারাও দোকানে আসতে ভয় পায়। এ জন্য ঝামেলা হওয়ার আগেই টাকা দিয়ে বিদায় করলাম।’

ব্যবসায়ী শংকর মজুমদার, দুলাল সাহা, রতন শীল জানান, ‘মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন এলাকা থেকে হাতি নিয়ে এসে চাঁদা আদায় করেন মাহুত। প্রতিটি দোকান থেকে হাতি দিয়ে টাকা তোলা হয়।’

ফুলবাড়ী থানার ওসি মো. আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, ‘হাতি দিয়ে টাকা তোলার বিষয়ে এখনো কেউ আমাদের কিছু জানায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত