মো. ফরিদ রায়হান, অষ্টগ্রাম
বুধবার বেলা ৩টা। কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের প্রধান সড়ক। কানে ভাসছে মাইকের শব্দ। ‘যাঁরা চেইন, চিরুনি, ফিতা, চালনি, মসলার বাটি, শরীর ঘষানি, কাটার, পিঁপড়ার বিষ, পাতিলের মাজন, দাঁতের মাজন ও চকোলেট-চুইংগাম কিনতে চান; প্রচার মাইকের শব্দ শুনে চলে আসেন। কম দামে পাবেন ভালা জিনিস।’
এগোতেই দেখা গেল ভ্যানগাড়িতে কাঠ-বাঁশের খাঁচার মধ্যে ৭০-৮০ প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পসরা সাজানো। ভ্যানের ওপরে বাঁধা ছোট মাইক। মালামাল বিক্রির জন্য রেকর্ড করা শব্দ মাইকে প্রচার করে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সিরাজ মিয়া (৪১)। এই ভাসমান দোকানে চলছে তাঁর জীবন-জীবিকা।
উপজেলার কাস্তুল ইউনিয়নের মসজিদ জাম এলাকার মৃত শেখ ধনু মিয়ার ছেলে সিরাজ। স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে সিরাজের ছোট্ট সংসার। সারা দিন বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে পণ্য বিক্রি করেন তিনি। এই দোকানের আয় দিয়ে চলে তাঁর সংসার।
সিরাজ মিয়া বলেন, ‘আগে রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতাম। তিন বছর আগে এক দুর্ঘটনায় ওই পেশা ছেড়ে দিই। পরে সঞ্চিত কিছু টাকা ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে শুরু করি এই ব্যবসা। এই পেশা বিপদমুক্ত। আয়ও বেশ ভালো। ফলে আড়াই বছর ধরে এই ভাসমান দোকানের ব্যবসা ছেড়ে যাইনি।’
প্রাথমিকভাবে ভ্যানগাড়ি ও মালামালসহ সিরাজ মিয়া বিনিয়োগ করেন ৯০ হাজার টাকা। সারা দিনে বিক্রি হয় ৩-৪ হাজার টাকার পণ্য। লাভ হয় ৪০০-৫০০ টাকা। সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া মেয়ে ও সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া ছেলের লেখাপড়া ও সংসারের খরচ চলে এই ব্যবসার আয় থেকে।
ক্রেতা আমেনা খাতুন (৩৭) বলেন, ‘এই দোকানের মালামাল বাজারের চেয়ে সস্তা। তাই ভ্যানগাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে অপেক্ষায় থাকি।’
সিরাজ মিয়া বলেন, ‘বেশি বেচা-বিক্রির জন্য কম লাভে পণ্য বিক্রি করতে হয়। ভাড়া লাগে না, ফলে কম লাভেও পুষিয়ে যায়। তবে কম সুদে ঋণ পেলে আরও ভালো থাকতে পারতাম।’
বুধবার বেলা ৩টা। কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের প্রধান সড়ক। কানে ভাসছে মাইকের শব্দ। ‘যাঁরা চেইন, চিরুনি, ফিতা, চালনি, মসলার বাটি, শরীর ঘষানি, কাটার, পিঁপড়ার বিষ, পাতিলের মাজন, দাঁতের মাজন ও চকোলেট-চুইংগাম কিনতে চান; প্রচার মাইকের শব্দ শুনে চলে আসেন। কম দামে পাবেন ভালা জিনিস।’
এগোতেই দেখা গেল ভ্যানগাড়িতে কাঠ-বাঁশের খাঁচার মধ্যে ৭০-৮০ প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পসরা সাজানো। ভ্যানের ওপরে বাঁধা ছোট মাইক। মালামাল বিক্রির জন্য রেকর্ড করা শব্দ মাইকে প্রচার করে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সিরাজ মিয়া (৪১)। এই ভাসমান দোকানে চলছে তাঁর জীবন-জীবিকা।
উপজেলার কাস্তুল ইউনিয়নের মসজিদ জাম এলাকার মৃত শেখ ধনু মিয়ার ছেলে সিরাজ। স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে সিরাজের ছোট্ট সংসার। সারা দিন বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে পণ্য বিক্রি করেন তিনি। এই দোকানের আয় দিয়ে চলে তাঁর সংসার।
সিরাজ মিয়া বলেন, ‘আগে রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতাম। তিন বছর আগে এক দুর্ঘটনায় ওই পেশা ছেড়ে দিই। পরে সঞ্চিত কিছু টাকা ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে শুরু করি এই ব্যবসা। এই পেশা বিপদমুক্ত। আয়ও বেশ ভালো। ফলে আড়াই বছর ধরে এই ভাসমান দোকানের ব্যবসা ছেড়ে যাইনি।’
প্রাথমিকভাবে ভ্যানগাড়ি ও মালামালসহ সিরাজ মিয়া বিনিয়োগ করেন ৯০ হাজার টাকা। সারা দিনে বিক্রি হয় ৩-৪ হাজার টাকার পণ্য। লাভ হয় ৪০০-৫০০ টাকা। সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া মেয়ে ও সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া ছেলের লেখাপড়া ও সংসারের খরচ চলে এই ব্যবসার আয় থেকে।
ক্রেতা আমেনা খাতুন (৩৭) বলেন, ‘এই দোকানের মালামাল বাজারের চেয়ে সস্তা। তাই ভ্যানগাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে অপেক্ষায় থাকি।’
সিরাজ মিয়া বলেন, ‘বেশি বেচা-বিক্রির জন্য কম লাভে পণ্য বিক্রি করতে হয়। ভাড়া লাগে না, ফলে কম লাভেও পুষিয়ে যায়। তবে কম সুদে ঋণ পেলে আরও ভালো থাকতে পারতাম।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪