সম্পাদকীয়
ডলারের দাম বেড়ে গেছে, এ কোনো গোপন তথ্য নয়। এই সুযোগে মানি এক্সচেঞ্জগুলো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ নিয়েই একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে আজকের পত্রিকায়। রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজার টালমাটাল হয়ে উঠেছে এটা ঠিক, কিন্তু তাতে আমাদের দেশে ডলারের অবৈধ ব্যবসা রমরমা হয়ে উঠল কেন, সেটাই প্রশ্ন।
কে না জানে, আমাদের দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করা কতটা কঠিন। বিদেশে যাবেন যিনি, তিনি ব্যাংক থেকে ডলার সংগ্রহ করতে গলদঘর্ম হন। আদতে সাধারণ বিদেশগমনকারীর পক্ষে ব্যাংক থেকে ডলার কেনা সম্ভব কি না, সেটাও ভেবে দেখা দরকার। এ জন্য যে হ্যাপা পোহাতে হয়, তা এড়ানোর জন্য বিদেশগামী মানুষ মানি এক্সচেঞ্জগুলোর দ্বারস্থ হন। সেই মানি এক্সচেঞ্জগুলো এখন সুযোগ পেয়ে ব্যাংকের নিয়মনীতি ছাড়াই ডলারের অবৈধ মজুত এবং বিক্রি করে চলেছে।
ডলার-সংকটের একটা কারণ হিসেবে আমরা উল্লেখ করেছি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা। কিন্তু আরেকটু তলিয়ে দেখলে আমরা সহজেই বুঝতে পারব, দেশে ঠিকপথে রেমিট্যান্স না এসে হুন্ডির মাধ্যমে আসার কারণেও ডলারের বাজারে এই অস্থিরতা চলছে। কিছুদিন আগে একটি সংবাদে আমরা লক্ষ করেছি, প্রবাসী বাঙালিদের অনেকেই ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা না পাঠিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে টাকার লেনদেন করছেন।
ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া ডলারের রেট আর বাস্তবে কেনাকাটার মধ্যে পার্থক্য অনেক বেড়ে যাওয়ায় স্বভাবতই প্রবাসী মানুষ হুন্ডির পথ বেছে নিচ্ছেন। এটি একটি সহজ প্রবণতা। এই প্রবণতার কারণে বৈধ পথে ডলার আসছে কম। তাতে সরকারের রিজার্ভে হচ্ছে ঘাটতি। অন্যদিকে ডলারের কারবারিরা সেই ডলার অবৈধভাবে পাচার করার মওকাও পেয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া আমদানি-রপ্তানি ক্ষেত্রে ওভার ইনভয়েসিং, আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের কারসাজি আছেই, আজকের আলোচনা সে বিষয়ে নয়।
অবৈধভাবে লেনদেনে কেন অভ্যস্ত হয়ে উঠল এই মানি এক্সচেঞ্জগুলো, সে বিষয়টি একটু খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, শুধু খবরদারি আর নিয়মনীতির ধুয়া তুলে এই অন্যায় কাজ রুখে দেওয়া যাবে না। যেভাবে কাঁচাবাজার চলে গেছে সিন্ডিকেটের দখলে, সেভাবেই অবাধে ডলার বেচাকেনার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে তারা। বাজার স্থিতিশীল করতে হলে ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া রেট ও মানি এক্সচেঞ্জে ডলার কেনার রেটের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য থাকতে হবে। কিন্তু ব্যাংক থেকে ডলার কেনা না গেলে এবং মানি এক্সচেঞ্জে বেশি দামে কেনার সুযোগ থাকলে মানুষ তো সেখানেই যাবে। আর সেই সুযোগে নিজের ইচ্ছামতো ডলারের দাম ধরে বিক্রি করতে পারবে মানি এক্সচেঞ্জগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতি থোড়াই কেয়ার করে ব্যবসা করে যাবে তারা।
সরলভাবে দেখলে, মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালিয়ে এই অসামঞ্জস্য দূর করা যাবে না। ডলারের অস্থিরতা কমানোর জন্য বেছে নিতে হবে এমন একটি পথ, যে পথই মানি এক্সচেঞ্জগুলোকে এ রকম স্বাধীন অনাচার করার প্রবণতা রুখে দেবে। নীতি এবং তার প্রয়োগ হতে হবে বাস্তবসম্মত, নইলে এই অনাচারের ঘাড়ে লাগাম পরানো যাবে না।
ডলারের দাম বেড়ে গেছে, এ কোনো গোপন তথ্য নয়। এই সুযোগে মানি এক্সচেঞ্জগুলো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ নিয়েই একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে আজকের পত্রিকায়। রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজার টালমাটাল হয়ে উঠেছে এটা ঠিক, কিন্তু তাতে আমাদের দেশে ডলারের অবৈধ ব্যবসা রমরমা হয়ে উঠল কেন, সেটাই প্রশ্ন।
কে না জানে, আমাদের দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করা কতটা কঠিন। বিদেশে যাবেন যিনি, তিনি ব্যাংক থেকে ডলার সংগ্রহ করতে গলদঘর্ম হন। আদতে সাধারণ বিদেশগমনকারীর পক্ষে ব্যাংক থেকে ডলার কেনা সম্ভব কি না, সেটাও ভেবে দেখা দরকার। এ জন্য যে হ্যাপা পোহাতে হয়, তা এড়ানোর জন্য বিদেশগামী মানুষ মানি এক্সচেঞ্জগুলোর দ্বারস্থ হন। সেই মানি এক্সচেঞ্জগুলো এখন সুযোগ পেয়ে ব্যাংকের নিয়মনীতি ছাড়াই ডলারের অবৈধ মজুত এবং বিক্রি করে চলেছে।
ডলার-সংকটের একটা কারণ হিসেবে আমরা উল্লেখ করেছি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা। কিন্তু আরেকটু তলিয়ে দেখলে আমরা সহজেই বুঝতে পারব, দেশে ঠিকপথে রেমিট্যান্স না এসে হুন্ডির মাধ্যমে আসার কারণেও ডলারের বাজারে এই অস্থিরতা চলছে। কিছুদিন আগে একটি সংবাদে আমরা লক্ষ করেছি, প্রবাসী বাঙালিদের অনেকেই ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা না পাঠিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে টাকার লেনদেন করছেন।
ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া ডলারের রেট আর বাস্তবে কেনাকাটার মধ্যে পার্থক্য অনেক বেড়ে যাওয়ায় স্বভাবতই প্রবাসী মানুষ হুন্ডির পথ বেছে নিচ্ছেন। এটি একটি সহজ প্রবণতা। এই প্রবণতার কারণে বৈধ পথে ডলার আসছে কম। তাতে সরকারের রিজার্ভে হচ্ছে ঘাটতি। অন্যদিকে ডলারের কারবারিরা সেই ডলার অবৈধভাবে পাচার করার মওকাও পেয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া আমদানি-রপ্তানি ক্ষেত্রে ওভার ইনভয়েসিং, আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের কারসাজি আছেই, আজকের আলোচনা সে বিষয়ে নয়।
অবৈধভাবে লেনদেনে কেন অভ্যস্ত হয়ে উঠল এই মানি এক্সচেঞ্জগুলো, সে বিষয়টি একটু খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, শুধু খবরদারি আর নিয়মনীতির ধুয়া তুলে এই অন্যায় কাজ রুখে দেওয়া যাবে না। যেভাবে কাঁচাবাজার চলে গেছে সিন্ডিকেটের দখলে, সেভাবেই অবাধে ডলার বেচাকেনার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে তারা। বাজার স্থিতিশীল করতে হলে ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া রেট ও মানি এক্সচেঞ্জে ডলার কেনার রেটের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য থাকতে হবে। কিন্তু ব্যাংক থেকে ডলার কেনা না গেলে এবং মানি এক্সচেঞ্জে বেশি দামে কেনার সুযোগ থাকলে মানুষ তো সেখানেই যাবে। আর সেই সুযোগে নিজের ইচ্ছামতো ডলারের দাম ধরে বিক্রি করতে পারবে মানি এক্সচেঞ্জগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতি থোড়াই কেয়ার করে ব্যবসা করে যাবে তারা।
সরলভাবে দেখলে, মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালিয়ে এই অসামঞ্জস্য দূর করা যাবে না। ডলারের অস্থিরতা কমানোর জন্য বেছে নিতে হবে এমন একটি পথ, যে পথই মানি এক্সচেঞ্জগুলোকে এ রকম স্বাধীন অনাচার করার প্রবণতা রুখে দেবে। নীতি এবং তার প্রয়োগ হতে হবে বাস্তবসম্মত, নইলে এই অনাচারের ঘাড়ে লাগাম পরানো যাবে না।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৮ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৮ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৮ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫