Ajker Patrika

কমিটি নিয়ে বিজয় দিবসে সংঘর্ষে জড়াল ছাত্রলীগ

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯: ৫৮
Thumbnail image

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের অন্তত দুজন গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া ১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এর আগে কমিটি বাতিলের দাবিতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশ।

১৫ ডিসেম্বর রাতে সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। এর পর থেকে পদ না পাওয়া নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলা ছাত্রলীগের একটি পক্ষ গতকাল দুপুরে উপজেলা মোড়ে চা খাচ্ছিল। অপর পক্ষ বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শেষ করে উপজেলা মোড়ে এসে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি নিয়ে তাদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নতুন কমিটির উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউসার খানের উপস্থিতিতে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ চোকদার পাপ্পু ও রশুনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে চেয়ারের আঘাতে সাদ্দামের মাথা ফেটে যায়। অন্যদিকে দুই পক্ষের হাতাহাতিতে কাউসার খান আহত হন।

এর আগে দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশ ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের নীমতলা এলাকায় এ সময় তিন শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন। এতে নিমতলা থেকে কুচিয়া মোড়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। হাইওয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতাদের কাছে অনুরোধ করলে তাঁরা তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে রাস্তার অবরোধ ছেড়ে দেন।

বর্তমান কমিটির উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউসার খান বলেন, ‘আমরা প্রোগ্রাম শেষে উপজেলা মোড়ে যাওয়ার সময় সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের ২-৩ জন আহত হন এবং ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।’

অন্যদিকে পারভেজ চোকদার পাপ্পু বলেন, ‘আমরা মহাসড়ক থেকে মানববন্ধন শেষ করে উপজেলা মোড়ে চা দোকানে চা খাচ্ছিলাম। তখন কাওসারের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা চালান। এতে সাদ্দামের মাথা ফেটে যায় এবং আমার ছোট ভাই পাভেলের ওপর হামলা চালায়। এতে ৫-৬ জন আহত হন।’

ছাত্রলীগের আগের কমিটির সভাপতি সৈকত মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক পারভেজ চোকদার পাপ্পু জানান, যাদের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছে তাঁরা অছাত্র, মাদক সেবনকারী ও ইভটিজিং মামলায় জেল খেটেছেন।

সিরাজদিখান থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন জানান, আমরা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের হাতাহাতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে আমাদের গাড়ির শব্দ শুনে দুই পক্ষই চলে যায়। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত