রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
অব্যাহত লোডশেডিং ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে জমিতে সেচ দেওয়া নিয়ে যখন কৃষকেরা চিন্তিত তখন নীলফামারীর সৈয়দপুরে আশার আলো দেখাচ্ছে সৌরবিদ্যুৎচালিত পাতকুয়া। এর মাধ্যমে দুই হাজারের অধিক কৃষকের জমি যেমন সবুজ হচ্ছে তেমনি বিশুদ্ধ খাবার পানির চাহিদা মিটছে।
সৈয়দপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয় প্রান্তিক কৃষকদের সেচ সুবিধার জন্য ২০১৮ সালে পাতকুয়া প্রকল্প হাতে নেয়।প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন (বিএমডিএ) কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটির আওতায় ওই বছরই উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে নির্মাণ করা হয় সৌরবিদ্যুৎচালিত চারটি পাতকুয়া (ডাগওয়েল)। প্রতিটি কুয়ার জন্য খরচ হয়েছে ১৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই কুয়াগুলোর মাধ্যমে ২৫০ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। আর বিনা খরচে এই সেচের সুবিধা পাচ্ছেন ইউনিয়নের ২ হাজারের বেশি চাষি।
কৃষক ও প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা বলছেন, পাতকুয়ার ফলে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনমান পাল্টে গেছে। বড়দহ গ্রামের উপকারভোগী কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে সেচের অভাবে আমার প্রায় পাঁচ বিঘা জমি পতিত থাকত। সৌরবিদ্যুৎচালিত পাতকুয়ার মাধ্যমে ফসলে সেচ দেওয়ায় সেই সব জমির পানির সমস্যার সমাধান হয়েছে। এখন জমিতে বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, লাউ, মরিচ, চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, বেগুন, টমেটো, আলু চাষের জন্য পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছি। সম্পূর্ণ বিনা খরচে এই সেচ সুবিধা পাওয়ায় আমার মতো অনেক চাষি খুশি।’
একই গ্রামের আরেক কৃষক আতাউর রহমান জানান, কুয়াগুলো সৌরশক্তিতে চলার কারণে বিদ্যুৎ বা ডিজেল ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না। এ ছাড়া ইচ্ছেমতো পানি তোলা যায়।
বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান বলেন, সেচের অভাবে একসময় ফসল ফলাতে না পেরে বহু কৃষক অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাতেন। এখন এই সেচ প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ায় তাঁরা ১২ মাসই ফসল ফলাতে পারছেন। এতে তাঁদের পরিবারে সচ্ছলতা এসেছে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহীনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতিনিয়ত পানির স্তর নিচের দিকে নামছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন উপজেলার চাষিরা। একসময় কৃষি ও সুপেয় পানির নির্ভরযোগ্য আধার ছিল পাতকুয়া। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অগভীর ও গভীর নলকূপসহ নানা প্রযুক্তির কাছে হারিয়ে যায় পাতকুয়া। দীর্ঘদিন পর আবারও কৃষিকাজসহ অন্যান্য কাজের জন্য প্রয়োজন অনুভব করায় সেচসহ বহুমুখী কাজে পাতকুয়ার ব্যবহার শুরু হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তা জানান, পাতকুয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ফসল চাষে বিনা মূল্যে সেচ সুবিধা পাওয়ায় উপকৃত হচ্ছেন বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকেরা। পর্যায়ক্রমে অন্য ইউনিয়নের কৃষকেরাও এই সেচ সুবিধা পাবেন।
অব্যাহত লোডশেডিং ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে জমিতে সেচ দেওয়া নিয়ে যখন কৃষকেরা চিন্তিত তখন নীলফামারীর সৈয়দপুরে আশার আলো দেখাচ্ছে সৌরবিদ্যুৎচালিত পাতকুয়া। এর মাধ্যমে দুই হাজারের অধিক কৃষকের জমি যেমন সবুজ হচ্ছে তেমনি বিশুদ্ধ খাবার পানির চাহিদা মিটছে।
সৈয়দপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয় প্রান্তিক কৃষকদের সেচ সুবিধার জন্য ২০১৮ সালে পাতকুয়া প্রকল্প হাতে নেয়।প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন (বিএমডিএ) কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটির আওতায় ওই বছরই উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে নির্মাণ করা হয় সৌরবিদ্যুৎচালিত চারটি পাতকুয়া (ডাগওয়েল)। প্রতিটি কুয়ার জন্য খরচ হয়েছে ১৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই কুয়াগুলোর মাধ্যমে ২৫০ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। আর বিনা খরচে এই সেচের সুবিধা পাচ্ছেন ইউনিয়নের ২ হাজারের বেশি চাষি।
কৃষক ও প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা বলছেন, পাতকুয়ার ফলে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনমান পাল্টে গেছে। বড়দহ গ্রামের উপকারভোগী কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে সেচের অভাবে আমার প্রায় পাঁচ বিঘা জমি পতিত থাকত। সৌরবিদ্যুৎচালিত পাতকুয়ার মাধ্যমে ফসলে সেচ দেওয়ায় সেই সব জমির পানির সমস্যার সমাধান হয়েছে। এখন জমিতে বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, লাউ, মরিচ, চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, বেগুন, টমেটো, আলু চাষের জন্য পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছি। সম্পূর্ণ বিনা খরচে এই সেচ সুবিধা পাওয়ায় আমার মতো অনেক চাষি খুশি।’
একই গ্রামের আরেক কৃষক আতাউর রহমান জানান, কুয়াগুলো সৌরশক্তিতে চলার কারণে বিদ্যুৎ বা ডিজেল ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না। এ ছাড়া ইচ্ছেমতো পানি তোলা যায়।
বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান বলেন, সেচের অভাবে একসময় ফসল ফলাতে না পেরে বহু কৃষক অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাতেন। এখন এই সেচ প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ায় তাঁরা ১২ মাসই ফসল ফলাতে পারছেন। এতে তাঁদের পরিবারে সচ্ছলতা এসেছে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহীনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতিনিয়ত পানির স্তর নিচের দিকে নামছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন উপজেলার চাষিরা। একসময় কৃষি ও সুপেয় পানির নির্ভরযোগ্য আধার ছিল পাতকুয়া। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অগভীর ও গভীর নলকূপসহ নানা প্রযুক্তির কাছে হারিয়ে যায় পাতকুয়া। দীর্ঘদিন পর আবারও কৃষিকাজসহ অন্যান্য কাজের জন্য প্রয়োজন অনুভব করায় সেচসহ বহুমুখী কাজে পাতকুয়ার ব্যবহার শুরু হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তা জানান, পাতকুয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ফসল চাষে বিনা মূল্যে সেচ সুবিধা পাওয়ায় উপকৃত হচ্ছেন বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকেরা। পর্যায়ক্রমে অন্য ইউনিয়নের কৃষকেরাও এই সেচ সুবিধা পাবেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪