Ajker Patrika

শীতের বার্তায় জমছে আসর

এইচ এম শাহনেওয়াজ, পুঠিয়া
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২১, ১০: ০৫
শীতের বার্তায় জমছে আসর

হেমন্তের বেশির ভাগ সময় পার হয়ে গেছে। দেশজুড়ে এরই মধ্যে শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে। একই সঙ্গে আনাগোনা শুরু হয়েছে পরিযায়ী পাখিদের। রাজশাহীর পুঠিয়া, দুর্গাপুরসহ বিভিন্ন এলাকার খাল, বিল ও বড় জলাশয়ে বসতে শুরু করেছে নানা জাতের পরিযায়ী পাখি।

স্থানীয় লোকজন বলছেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার অনেক বেশি পরিযায়ী পাখি আসছে। তবে তদারকির অভাবে একশ্রেণির লোকজন বিভিন্ন কৌশলে পাখিগুলো শিকার করছেন। স্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক তারিকুজ্জামান বলেন, পরিযায়ী পাখি শীতপ্রধান অঞ্চল থেকে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে শীতের মৌসুমে বাংলাদেশে আসে। এই পাখিগুলো রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। কিন্তু কিছু অসাধু পাখিশিকারি পরিযায়ী পাখি শিকার করে। তবে পুলিশ-প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজন পাখি শিকার বন্ধে সচেষ্ট রয়েছে।

বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশনের তথ্যমতে, রাজশাহী অঞ্চলে এলাকায় আগত পরিযায়ী পাখিগুলোর মধ্যে শামুককৌড়, বুনোহাঁস, ছোট সারস, বড় সারস অন্যতম। এ ছাড়া চামুচমুখ, ধূসর ও গোলাপি রাজহাঁস, বালিহাঁস, লেঞ্জা, চিতি, সরালি, বিলুপ্তপ্রায় উদয়ী গয়ার, প্যালাস ফিশ ইগল বা বুলুয়াও দেখা যায়।

পুঠিয়ার শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কয়েক দশক ধরে প্রতিবছর শীত মৌসুমে এই অঞ্চলে নানা জাতের পরিযায়ী পাখি দেখা যায়। শিলমাড়িয়া এলাকার বেশির ভাগ বিলে প্রায় সারা বছরই জলাবদ্ধতা থাকে। এ কারণে শীতে এখানে বিভিন্ন রকমের পাখির আনাগোনা হয়। তিনি বলেন, এখানে পরিযায়ী পাখিরা যেন নিরাপদে অবস্থান করতে পারে, সে লক্ষ্যে ২০০৪ সালে পচামাড়িয়ার এক বর্গকিলোমিটার এলাকাকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। আর পাখিপ্রেমী ও দর্শনার্থীদের জন্য ইউপি ভবনের পাশে একটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০০৫ সালে পাখি সুরক্ষা কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র বলেছে, বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী পরিযায়ী বা অতিথি পাখি হত্যার দায়ে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। একইভাবে কোনো ব্যক্তি যদি পরিযায়ী পাখির মাংস, দেহের অংশবিশেষ সংগ্রহ করেন, দখলে রাখেন কিংবা ক্রয়-বিক্রয় করেন বা পরিবহন করেন, সে ক্ষেত্রে তাঁর সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ ছাড়া পাখি লালন-পালন, খামার স্থাপন, কেনাবেচা ও আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে লাইসেন্স নিতে হবে। লাইসেন্স না নিলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরিযায়ী পাখি সুরক্ষায় বিভিন্ন এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে একাধিক টিম কাজ করছে। পাশাপাশি পাখিশিকারিদের আইনের আওতায় আনতে এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

এনসিপিকে চাঁদা দিচ্ছেন ধনীরা, ক্রাউডফান্ডিং করেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে: নাহিদ ইসলাম

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত