Ajker Patrika

মেয়রের সঙ্গে ‘বিরোধে’ মন্ত্রীর সংবর্ধনা বর্জন

সিলেট প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯: ১৭
মেয়রের সঙ্গে ‘বিরোধে’ মন্ত্রীর সংবর্ধনা বর্জন

সফল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের গৌরব সমুন্নত রাখা, সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প অনুমোদন ও সিলেটের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে নাগরিক সংবর্ধনা দিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। তবে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিএনপি নেতা এবং তিনি আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন, এমন অভিযোগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেওয়া সিসিকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জন করেছে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ।

গতকাল বুধবার বিকেলে সিলেট রেজিস্টারি মাঠে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সিসিক। এর আগে এদিন দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিমানে করে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে সেখানে তাঁকে বরণ করেন সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। কিন্তু তাঁরা কেউই সিসিক আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেননি। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।

জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এবং সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের ‘বিরোধ’-এর সূত্রপাত মূলত গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে। সেদিন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মৌলভীবাজারে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে সিসিক মেয়র আওয়ামী লীগের নামে কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগকে নিয়ে মেয়র আরিফের কটূক্তি এবং পরবর্তী সময়ে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা না চাওয়ার কারণেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাননি তাঁরা। অবশ্য ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের অনুষ্ঠানে আরিফুল হকের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের।

এ ব্যাপারে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, ‘আরিফ আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তি করবে, আবার আমাদের নেতাকে (আব্দুল মোমেন) সংবর্ধনাও দেবে। এটা কীভাবে সম্ভব? সে তার বক্তব্য প্রত্যাহারও করেনি। তাই আমরা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।’

জানতে চাইলে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন আরিফ। আমরা তাঁকে বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। এ ছাড়া নগরীতে পানির বিল বাড়ানো হয়েছে। এই বাড়তি বিল প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছি আমরা। কিন্তু আরিফ তাতে কর্ণপাত করছেন না। এ জন্য আমরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত