Ajker Patrika

চিতলমারীতে সরকারি জমি বিক্রির অভিযোগ

চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৩৪
চিতলমারীতে সরকারি জমি বিক্রির অভিযোগ

বাগেরহাটের চিতলমারীতে সরকারি বন্দোবস্ত করা জমি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বিক্রেতা উত্তম কুমার সাহা (৫৯) ওই জমি ১৬ লাখ টাকায় বিক্রি করে গা ঢাকা দিয়েছেন। ক্রেতা মুরাদ মুন্সি (৩৬) ওই জমিতে নির্মিত দোকান ঘরে ওঠার আগেই অন্য একটি পক্ষ সাটারে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে চিতলমারী সদর বাজারে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বাজারের সওদাগর (বেদে) পট্টির ব্যবসায়ীরা জানান, ২০ থেকে ২২ বছর আগে চিতলমারী বাজারের মনোরঞ্জন সাহার ছেলে উত্তম কুমার সাহা সওদাগর পট্টির একটি খাস জমি সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নিয়ে ব্যবসা করছিলেন। গত শনিবার ওই জমি দোকান ঘরসহ ১৬ লাখ টাকায় উপজেলার খড়মখালী গ্রামের মুরাদ মুন্সির কাছে বিক্রি করে গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। উত্তম সাহা গা ঢাকা দেওয়ার পর থেকে পাওনাদারেরা ওই দোকান ঘরে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। এ ধরনের বহু বন্দোবস্তকৃত সরকারি জমি কেনাবেচা হয়েছে। যা প্রশাসন খবর নিলে বেরিয়ে আসবে।

ঘটনার পর থেকে উত্তম সাহা সপরিবারে পলাতক ও তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই দোকানে তালা লাগানো এক ব্যক্তি বলেন, তিনি উত্তম সাহার কাছে টাকা পাবেন। উত্তম জমি বিক্রি করে পালিয়েছেন শুনে তিনি টাকা পাওয়ার জন্য দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আর কোনো ঝামেলা নেই।

মুরাদ মুন্সি বলেন, ‘দোকানসহ জমি কিনেছে এটা লেখা যাবে না। আমি উত্তম সাহার কাছ থেকে দোকান ভাড়া নিয়েছি।’

এ ঘটনার মধ্যস্থতাকারী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তিনি মধ্যস্থতা করেছেন। জমি রেজিস্ট্রি করা যায়নি। ওই দোকানসহ জমি ১০ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে মাসিক ৪ হাজার টাকা ভাড়ায় স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে মুরাদ মুন্সি নিয়েছেন।

তবে গতকাল মঙ্গলবার দুপরে চিতলমারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা বলেন, বিষয়টি তাঁরা জানেন না। সরকারি বন্দোবস্তকৃত জমি বিক্রি বা ভাড়া দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। এ রকম হয়ে থাকলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত