এম শহিদুল ইসলাম, বাসাইল
সংকটে পড়েছে বাসাইলের বাথুলী সাদীর ঐতিহ্যবাহী তাঁতে বোনা চাঁদর শিল্প। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, কাঁচামাল ও উপকরণের দাম বৃদ্ধি, বাজার সংকট, আধুনিক প্রযুক্তির প্রভাব, দেশ-বিদেশে বিপণন ব্যর্থতা, চোরাই পথে আসা ভারতীয় ও চায়না চাঁদর, চাদর তৈরির কারিগরদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের অভাব ও অর্থ সংকটের কারণে বিলুপ্তির পথে সম্ভাবনাময় এই শিল্প।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত কয়েক বছর আগেই এলাকায় তাঁতকল ছিল প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। আর এ শিল্প কর্মের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল প্রায় ১১ হাজার কারিগর। কয়েক বছরের ব্যবধানে তাঁতের সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। বর্তমানে এ এলাকায় দুই হাজারের মতো তাঁতকল রয়েছে। আর এ শিল্পের সঙ্গের যুক্ত রয়েছেন প্রায় চার হাজার শ্রমিক।
পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও রয়েছেন। তাঁদের নিপুণ হস্ত শৈলীতে প্রস্তুত চাঁদরের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। এই চাঁদর দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও হতে পারে রপ্তানি যোগ্য একটি পণ্য। আর এ জন্য প্রয়োজন কারিগরদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ। আন্তর্জাতিক বাজার বিপণনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা।
উপজেলার বাথুলীসাদীর তাঁতে উৎপাদিত শাল বা চাঁদর গুণগত মানেও অতুলনীয়। দেশের বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকেরা এ পল্লির কারখানা গুলোতে মনিপুরি, পাট্টা, হাই চয়েজ, নয়ন তারা, ফ্লক প্রিন্টসহ বাহারি নাম ও ডিজাইনের প্রায় ২৫ ধরনের চাঁদর তৈরি করেন। এক সময় দম ফেলার ফুরসত ছিল না বাথুলীর তাঁত পল্লির তাঁতিদের। দিন-রাত তাঁতের খটখট শব্দে মুখর ছিল পুরো গ্রাম। এখন অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছে সে জৌলুশ। পুঁজির অভাব ও লোকসানের কারণে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কারখানাগুলো। যে সব কারখানা এখনো টিকে রয়েছে, সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা আর আর্থিক অনটনে সেগুলোও এখন চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। প্রতি বছর লোকসানের মুখে পড়ছেন। ফলে বেকার হয়ে পড়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক ও মালিক।
চাঁদর কারিগর মো. আল-আমীন বলেন, ‘গতানুগতিক শীতের চাঁদর (শাল) বানালে এ শিল্প টেকানো যাবে না। শীত, গ্রীষ্মে ব্যবহার করা যায় এমন ফ্যাশন ডিজাইনের চাঁদর তৈরি করতে হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন যুগোপযোগী আধুনিক প্রশিক্ষণের।’
সমিতির সভাপতি মো. লাল মিয়া বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পের প্রতি সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের উদাসীনতার কারণে এই শিল্প টিকিয়ে রাখা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।’
বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের টাঙ্গাইল বেসিক সেন্টারের লিয়াজোঁ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৫ শতাংশ হারে সুদে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারি।
সংকটে পড়েছে বাসাইলের বাথুলী সাদীর ঐতিহ্যবাহী তাঁতে বোনা চাঁদর শিল্প। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, কাঁচামাল ও উপকরণের দাম বৃদ্ধি, বাজার সংকট, আধুনিক প্রযুক্তির প্রভাব, দেশ-বিদেশে বিপণন ব্যর্থতা, চোরাই পথে আসা ভারতীয় ও চায়না চাঁদর, চাদর তৈরির কারিগরদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের অভাব ও অর্থ সংকটের কারণে বিলুপ্তির পথে সম্ভাবনাময় এই শিল্প।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত কয়েক বছর আগেই এলাকায় তাঁতকল ছিল প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। আর এ শিল্প কর্মের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল প্রায় ১১ হাজার কারিগর। কয়েক বছরের ব্যবধানে তাঁতের সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। বর্তমানে এ এলাকায় দুই হাজারের মতো তাঁতকল রয়েছে। আর এ শিল্পের সঙ্গের যুক্ত রয়েছেন প্রায় চার হাজার শ্রমিক।
পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও রয়েছেন। তাঁদের নিপুণ হস্ত শৈলীতে প্রস্তুত চাঁদরের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। এই চাঁদর দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও হতে পারে রপ্তানি যোগ্য একটি পণ্য। আর এ জন্য প্রয়োজন কারিগরদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ। আন্তর্জাতিক বাজার বিপণনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা।
উপজেলার বাথুলীসাদীর তাঁতে উৎপাদিত শাল বা চাঁদর গুণগত মানেও অতুলনীয়। দেশের বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকেরা এ পল্লির কারখানা গুলোতে মনিপুরি, পাট্টা, হাই চয়েজ, নয়ন তারা, ফ্লক প্রিন্টসহ বাহারি নাম ও ডিজাইনের প্রায় ২৫ ধরনের চাঁদর তৈরি করেন। এক সময় দম ফেলার ফুরসত ছিল না বাথুলীর তাঁত পল্লির তাঁতিদের। দিন-রাত তাঁতের খটখট শব্দে মুখর ছিল পুরো গ্রাম। এখন অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছে সে জৌলুশ। পুঁজির অভাব ও লোকসানের কারণে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কারখানাগুলো। যে সব কারখানা এখনো টিকে রয়েছে, সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা আর আর্থিক অনটনে সেগুলোও এখন চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। প্রতি বছর লোকসানের মুখে পড়ছেন। ফলে বেকার হয়ে পড়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক ও মালিক।
চাঁদর কারিগর মো. আল-আমীন বলেন, ‘গতানুগতিক শীতের চাঁদর (শাল) বানালে এ শিল্প টেকানো যাবে না। শীত, গ্রীষ্মে ব্যবহার করা যায় এমন ফ্যাশন ডিজাইনের চাঁদর তৈরি করতে হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন যুগোপযোগী আধুনিক প্রশিক্ষণের।’
সমিতির সভাপতি মো. লাল মিয়া বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পের প্রতি সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের উদাসীনতার কারণে এই শিল্প টিকিয়ে রাখা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।’
বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের টাঙ্গাইল বেসিক সেন্টারের লিয়াজোঁ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৫ শতাংশ হারে সুদে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪