ইজাজুল হক
শুরুর দিকে উমাইয়া শাসকেরা ইরাক-ইরানে সাসানীয় রুপার মুদ্রা এবং সিরিয়া-মিসরে বাইজানটাইনদের সোনা ও তামার মুদ্রা ব্যবহার করতেন। ৬১৫ থেকে ৭০৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করা খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানই প্রথম উমাইয়া স্বর্ণমুদ্রা চালু করেন। সম্ভবত ৬৯১-৯২ সালেই এই মুদ্রা চালু করা হয়। এতে বাইজানটাইন সম্রাট ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এবং আরব স্বর্ণমুদ্রা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।
নতুন এই মুদ্রার নাম দেওয়া হয়েছিল দিনার। ওজন ও আকারে এটি বাইজানটাইন মুদ্রা সলিডাসের মতোই। তবে এই মুদ্রায় কোনো মূর্তি বা প্রতিকৃতি ছিল না। মুদ্রায় আরবি হরফে লেখা ছিল—‘আল্লাহর নামে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি এক, মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল।’ নতুন এই মুদ্রার প্রতিক্রিয়ায় বাইজানটাইন সম্রাট ক্রুশ-সংবলিত নতুন মুদ্রা চালু করেছিলেন।
১৯৯৩ সালে খলিফা আবদুল মালিক নতুন একটি দিনার চালু করেন। যেখানে আলখেল্লা পরে তলোয়ার হাতে দাঁড়িয়ে থাকা খলিফার প্রতিকৃতি যুক্ত করা হয়। চারপাশে আরবি হরফে লেখা হয় কালেমায়ে তাইয়েবা। এই মুদ্রার প্রতিক্রিয়ায়ও বাইজানটাইন সম্রাট আরেকটি মুদ্রা চালু করেছিলেন। এ ঘটনায় খলিফা ক্ষুব্ধ হন এবং ৬৯৭
সালে প্রতিকৃতি ও অলংকরণ বাদ দিয়ে প্রথম ইসলামি মুদ্রা চালু করেন। যেখানে উভয় পাশে পবিত্র কোরআনের আয়াত খোদাই করা ছিল। মুদ্রাটি চালু করে খলিফা ফরমান জারি করেন যে উমাইয়া সাম্রাজ্যে এই মুদ্রাই ব্যবহৃত হবে এবং অন্যান্য সব মুদ্রা রাজকোষে জমা দিতে হবে। সেগুলো গলিয়ে ইসলামি মুদ্রা বানানো হয় এবং যারা এই আদেশ অমান্য করেছিল, তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। রাষ্ট্র এসব মুদ্রার মান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করত। উমাইয়া আমলের স্বর্ণমুদ্রার টাঁকশাল ছিল রাজধানী দামেস্কে। অবশ্য রৌপ্য ও তামার মুদ্রা অন্যত্রও তৈরি হতো। উত্তর আফ্রিকা ও স্পেন বিজয়ের পর সেখানেও টাঁকশাল গড়ে ওঠে।
তখনকার মুদ্রায় টাঁকশালের অবস্থান, তারিখ ও শাসকের নাম লেখা থাকত। নতুন খলিফা ক্ষমতায় এলে তিনি নিজের নামে মুদ্রা চালু করতেন। বিভিন্ন এলাকার বিদ্রোহী শাসকেরাও নিজেদের নামে মুদ্রা চালু করতেন। এসব মুদ্রা ইসলামের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
সূত্র: মুসলিম হেরিটেজ ডটকম
শুরুর দিকে উমাইয়া শাসকেরা ইরাক-ইরানে সাসানীয় রুপার মুদ্রা এবং সিরিয়া-মিসরে বাইজানটাইনদের সোনা ও তামার মুদ্রা ব্যবহার করতেন। ৬১৫ থেকে ৭০৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করা খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানই প্রথম উমাইয়া স্বর্ণমুদ্রা চালু করেন। সম্ভবত ৬৯১-৯২ সালেই এই মুদ্রা চালু করা হয়। এতে বাইজানটাইন সম্রাট ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এবং আরব স্বর্ণমুদ্রা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।
নতুন এই মুদ্রার নাম দেওয়া হয়েছিল দিনার। ওজন ও আকারে এটি বাইজানটাইন মুদ্রা সলিডাসের মতোই। তবে এই মুদ্রায় কোনো মূর্তি বা প্রতিকৃতি ছিল না। মুদ্রায় আরবি হরফে লেখা ছিল—‘আল্লাহর নামে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি এক, মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল।’ নতুন এই মুদ্রার প্রতিক্রিয়ায় বাইজানটাইন সম্রাট ক্রুশ-সংবলিত নতুন মুদ্রা চালু করেছিলেন।
১৯৯৩ সালে খলিফা আবদুল মালিক নতুন একটি দিনার চালু করেন। যেখানে আলখেল্লা পরে তলোয়ার হাতে দাঁড়িয়ে থাকা খলিফার প্রতিকৃতি যুক্ত করা হয়। চারপাশে আরবি হরফে লেখা হয় কালেমায়ে তাইয়েবা। এই মুদ্রার প্রতিক্রিয়ায়ও বাইজানটাইন সম্রাট আরেকটি মুদ্রা চালু করেছিলেন। এ ঘটনায় খলিফা ক্ষুব্ধ হন এবং ৬৯৭
সালে প্রতিকৃতি ও অলংকরণ বাদ দিয়ে প্রথম ইসলামি মুদ্রা চালু করেন। যেখানে উভয় পাশে পবিত্র কোরআনের আয়াত খোদাই করা ছিল। মুদ্রাটি চালু করে খলিফা ফরমান জারি করেন যে উমাইয়া সাম্রাজ্যে এই মুদ্রাই ব্যবহৃত হবে এবং অন্যান্য সব মুদ্রা রাজকোষে জমা দিতে হবে। সেগুলো গলিয়ে ইসলামি মুদ্রা বানানো হয় এবং যারা এই আদেশ অমান্য করেছিল, তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। রাষ্ট্র এসব মুদ্রার মান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করত। উমাইয়া আমলের স্বর্ণমুদ্রার টাঁকশাল ছিল রাজধানী দামেস্কে। অবশ্য রৌপ্য ও তামার মুদ্রা অন্যত্রও তৈরি হতো। উত্তর আফ্রিকা ও স্পেন বিজয়ের পর সেখানেও টাঁকশাল গড়ে ওঠে।
তখনকার মুদ্রায় টাঁকশালের অবস্থান, তারিখ ও শাসকের নাম লেখা থাকত। নতুন খলিফা ক্ষমতায় এলে তিনি নিজের নামে মুদ্রা চালু করতেন। বিভিন্ন এলাকার বিদ্রোহী শাসকেরাও নিজেদের নামে মুদ্রা চালু করতেন। এসব মুদ্রা ইসলামের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
সূত্র: মুসলিম হেরিটেজ ডটকম
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫