Ajker Patrika

‘একদিন আমার মেয়েরা বিশ্বকাপে খেলব’

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ১৫
‘একদিন আমার মেয়েরা বিশ্বকাপে খেলব’

খাগড়াছড়ির আনাই মগিনীর এখন দেশজোড়া খ্যাতি। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারানো দেশের জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের সদস্য তিনি। গত বুধবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় জয়সূচক গোল করেন এই পাহাড়ি কন্যা।

আনাই মগিনীর বাবা রিপ্রু মঘ বলেন, ‘একদিন আমার মেয়েরা বিশ্বকাপে খেলব এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমাদের মেয়েদের আশীর্বাদ করি, তারা অনেক দূরে এগিয়ে যাক।’

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সাত ভাইয়া পাড়ায় আনাই মগিনীদের বাড়ি গিয়ে তাঁর বাবাসহ স্বজনদের সঙ্গ কথা হয়। অন্তত ২০ ফুট বাঁশের সাঁকো পার হয়ে যেতে হয় তাঁর বাড়ি। এই সাঁকো নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ রয়েছে।

এ বিষয়ে মগিনীর বাবা বলেন বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে আসার পথে কালভার্ট নেই। জেলা পরিষদ ও সরকারি সহায়তা পেয়ে আমি বাড়ি নির্মাণ করেছি। তবে বাড়িতে আসার জন্য কোনো কালভার্ট নেই। নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয়। বর্ষায় বাঁশের সাঁকো পানিতে ভেসে যায়। তখন পারাপার বন্ধ থাকে। আমাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে সরকার যাতে একটি সেতু নির্মাণ করে দেয়।’

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘আনাই মগিনী এখন দেশের তারকা। তাঁরা দুই বোন আনাই মগিনী ও আনুচিং মগিনী বেশ কয়েক বছর ধরে জাতীয় ফুটবল দলে খেলছেন। অথচ তাঁর বাড়িতে যাওয়ার জন্য কোনো কালভার্ট নেই। নড়বড়ে বাঁশে সাঁকো পেরিয়ে সেখানে যেতে হয়। অনেকে ভয় পেয়ে সাঁকোর পরিবর্তে ঝিরি পথে হেঁটে যায়।’

পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, ‘আনাই মগিনী আমাদের জেলার গর্ব। তাঁদের বাড়িতে বাঁশের সাঁকোতে যেতে হয়, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা একটা কালভার্ট নির্মাণ করে দেব। এ ছাড়া পরিষদের পক্ষ থেকে আনাই মগিনীসহ খাগড়াছড়ির তিন তারকা ফুটবলার আনুচিং মগিনী ও মনিকা চাকমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত